সুকন্যা হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, ভারতনাট্যম নৃত্যশিল্পী, নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও কণ্ঠাভিনেত্রী। তিনি তামিল, মালয়ালম, কন্নড় ও তেলুগু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে থাকেন। তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রধান অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি চিন্না গোউন্ডার (১৯৯২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ইন্নাথে চিন্তা বিশ্বম (২০০৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ মালয়ালম পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেছেন। তিনি দুটি বৈষ্ণব ভক্তিমূলক গানের অ্যালবাম - আজাগু ও তিরুপতি তিরুকুডাই তিরুবিজা প্রকাশ করেছেন।
প্রারম্ভিক জীবন
সুকন্যার জন্মনাম সুকন্যারানী। তিনি তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রমেশ একজন ব্যবসায়ী এবং মাতা ভারতী গৃহিণী। মায়ের সহায়তায় তিনি কালক্ষেত্রে ভারতনাট্যমের প্রশিক্ষণ লাভ করেন। তিনি প্রথমে বিভিন্ন গণমাধ্যমের অনুষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন এবং পরে চলচ্চিত্রে যুক্ত হন। তিনি ২০০২ সালের ১৭ই মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরনিউ জার্সির বালাজি মন্দিরে হিন্দু বিবাহের রীতি অনুসারে শ্রীধরন রাজাগোপালনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[১] ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে,[২] এবং তিনি পুনরায় চলচ্চিত্রে অভিনয়ের উদ্দেশ্যে চেন্নাই ফিরে আসেন।
কর্মজীবন
লায়লার তামিল চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে পি. ভারতীরাজারপুদু নেল্লু পুদু নাতু (১৯৯১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। তিনি তামিল ভাষার চিন্না গোউন্ডার (১৯৯২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯২ সালে জগপতি বাবুর বিপরীতে পেড্ডারিকম চলচ্চিত্র দিয়ে তার তেলুগু চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে।[৩] একই বছর রহমানের বিপরীতে অপারত (১৯৯২)-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার মালয়ালম চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এরপর তিনি মম্মুটির বিপরীতে সাগরম সাক্ষী (১৯৯৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি চন্দ্রলেখা চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন।
তিনি ২০০৮ সালে মালয়ালম ভাষার ইন্নাথে চিন্তা বিশ্বম চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ মালয়ালম পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেছেন। ২০১২ সালে তাকে নন্দমুরি বলকৃষ্ণ অভিনীত আদিনায়াকুডু চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে দেখা যায়।[৩] ২০১৫ সালে তিনি তেলুগু চলচ্চিত্র শ্রীমানতুডু-এ মহেশ বাবুর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন।[৩][৪]
তিনি দুটি বৈষ্ণব ভক্তিমূলক গানের অ্যালবাম আজাগু প্রকাশ করেন, যা সফলতা লাভ করে। এরপর ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি নিজের লেখা ও গাওয়া তামিল ভাষায় তিরুপতি তিরুকুডাই তিরুবিজা ও তেলুগু ভাষায় তিরুপতি উৎসবম অ্যালবাম প্রকাশ করেন।[৫]
২০১৯ সালে তিনি এশিয়ানেট চ্যানেলের কমেডি নাইটস অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় মৌসুমে অতিথি বিচারক হিসেবে দেখা যায়।[৬]