বাঙলা কলেজ বধ্যভূমি ঢাকা শহরের মিরপুর এলাকায় অবস্থিত। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের নৃশংসতায় ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ শহীদ হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এটাই সবচেয়ে বড় গণহত্যা। বাংলাদেশ ১৬ ডিসেম্বের ১৯৭১ -এ আনুষ্ঠানিক বিজয় লাভ করলেও ঢাকার মিরপুর হানাদার মুক্ত হয় সবচেয়ে দেরিতে - ৩১ জানুয়ারি ১৯৭২ -এ। মিরপুর এলাকা বিহারী অধ্যুষিত হওয়ায় এখানে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপকতাও ছিল বেশি। মিরপুর ছিল মুক্তিযুদ্ধের শেষ রণক্ষেত্র। বাঙলা কলেজ বধ্যভূমি শুধু মিরপুরেই নয়, বাংলাদেশের অন্যতম একটি বধ্যভূমি।
ঘটনা
১৯৭১ -এ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহযোগীরা বাঙলা কলেজে ক্যাম্প স্থাপন করে অজস্র মুক্তিকামী মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বর্তমান বিন্যাস অনুযায়ী, কলেজের অভ্যন্তরে বড় গেট ও শহীদ মিনারের মাঝামাঝি প্রাচীর সংলগ্ন স্থানে ১৯৭১-এ পুকুর ছিল এবং হানাদার বাহিনী তার পাশে মুক্তিকামী মানুষকে লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করত। মূল প্রশাসনিক ভবনের অনেক কক্ষই ছিল নির্যাতন কক্ষ। হোস্টেলের পাশের নিচু জমিতে আটককৃতদের লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করা হতো। অধ্যক্ষের বাসভবন সংলগ্ন বাগানে আম গাছের মোটা শিকড়ের গোড়ায় মাথা চেপে ধরে জবাই করা হতো, ফলে হত্যার পর এক পাশে গড়িয়ে পড়তো মাথাগুলো, অন্যপাশে পড়ে থাকত দেহগুলো। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় জুড়েই বাঙলা কলেজ ও আশেপাশে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চলেছে, হয়েছে নারী নির্যাতন। কলেজের বর্তমান বিশালায়তন মাঠটি তখন ছিল ঝোপ-জঙ্গলে ভর্তি। বিজয়ের মুহূর্তে তখন এই মাঠসহ পুরো এলাকা ও কলেজ জুড়ে পড়ে ছিল অজস্র জবাই করা দেহ, নরকংকাল, পঁচা গলা লাশ। বিভীষিকাময় গণহত্যার চিহ্ন ফুটে ছিল সর্বত্র। [১][২][৩][৪][৫][৬][৭][৮][৯][১০][১১][১২][১৩]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ ১৯৭২ এর জানুয়ারিতে দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় এ ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
- ↑ ১৯৭২ এর জানুয়ারিতে দৈনিক বাংলা পত্রিকায় এ ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
- ↑ ডাঃ এম.এ. হাসানের “যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ”
- ↑ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত “মুক্তিযুদ্ধ কোষ”
- ↑ সুকুমার বিশ্বাস-এর “একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর”
- ↑ মিরাজ মিজু-র “মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি”
- ↑ কলেজে ১৯৭১-এ র্কমরত কর্মী আনোয়ারা বেগম
- ↑ মিরপুর এলাকার প্রথম চেয়ারম্যান ফকির শফিরউদ্দিন
- ↑ মিরপুর মুক্ত করার অপারেশনে অংশ নেওয়া সেনাসদস্য ও গেরিলারাসহ বাংলাদেশের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি
- ↑ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
- ↑ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি
- ↑ ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি
- ↑ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী-
বহিঃসংযোগ
|
---|
গণহত্যাকারী | |
---|
সংগঠন | |
---|
গণহত্যা | |
---|
বুদ্ধিজীবী হত্যার শিকার | |
---|
প্রতিবাদ | |
---|
বিচারকার্য | |
---|
সম্পর্কিত ঘটনা | |
---|