তীরনই নদী বাংলাদেশ ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আন্তঃনদী নাগর নদীর একটি শাখানদী।[১] নদীটির দৈর্ঘ্য ৪৪ কিলোমিটার, প্রস্থ ৩০ মিটার এবং গভীরতা ৪ মিটার। নদী অববাহিকার আয়তন ৯০ বর্গকিলোমিটার। নদীটিতে সারাবছরই পানিপ্রবাহ থাকে। এই নদীটি জোয়ারভাটার প্রভাবমুক্ত।[২]বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক তীরনই নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৫৪।[৩]
অবস্থান
তীরনই নদী বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলারআটোয়ারী উপজেলার আলোয়া খোয়া ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার নিম্নাঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে ঠাকুরগাঁও জেলারবালিয়াডাঙ্গী উপজেলা অতিক্রম করে রানীশংকাইল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন অবধি প্রবাহিত হয়ে নাগর নদীতে পতিত হয়েছে। নদীটির দৈর্ঘ্য ৪২ কিলোমিটার।[২][৪] এই নদীতে পানির প্রবাহ সারাবছর পরিদৃষ্ট হলেও শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রবাহ আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পায়। বর্তমানে প্রবাহের পরিমাণ অতীতের তুলনায় অনেক কমে গেছে এবং পলির প্রভাবে নদীর তলদেশ ক্রমশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে।[৩]
↑ কখড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ২২৩, আইএসবিএন৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
↑ কখমানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ১২৪। আইএসবিএন984-70120-0436-4।|সংগ্রহের-তারিখ= এর |ইউআরএল= প্রয়োজন (সাহায্য)উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ISBN ত্রুটি উপেক্ষিত (link)