* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৬:৪৮, ১৯ জুলাই ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৬:৪৮, ১৯ জুলাই ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক।
মিশরীয় ফুটবল ক্লাব ইসমাইলির যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে হিজাজি ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দলের হয়ে খেলার মাধ্যমেই তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০০৯–১০ মৌসুমে, মিশরীয় ক্লাব ইসমাইলির মূল দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি ৩ মৌসুম অতিবাহিত করেছেন; ইসমাইলির হয়ে তিনি ২৮ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। অতঃপর ২০১২–১৩ মৌসুমে তিনি প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইতালীয় ক্লাব ফিওরেন্তিনায় যোগদান করেছেন, যেখানে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ৪ ম্যাচে ৩টি গোল করেছেন। অতঃপর পেরুজায় ধারে ১ মৌসুম অতিবাহিত করার পর আল আহলির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, আল আহলির হয়ে তিনি টানা দুই মৌসুমে লিগ শিরোপা জয়লাভ করেছেন। পরবর্তীকালে, তিনি ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়নের হয়ে খেলেছেন। ২০২১–২২ মৌসুমে, তিনি ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়ন হতে সৌদি ক্লাব আল ইত্তিহাদে যোগদান করেছেন।[৩]
২০০৯ সালে, হিজাজি মিশর অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে মিশরের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ২ বছর যাবত মিশরের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০১১ সালে মিশরের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; মিশরের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ৬২ ম্যাচে ২টি গোল করেছেন। তিনি মিশরের হয়ে এপর্যন্ত ১টি ফিফা বিশ্বকাপ (২০১৮) এবং ২টি আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে (২০১৭ এবং ২০১৯) অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৭ সালে এক্তোর কুপেরের অধীনে আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে রানার-আপ হয়েছে।
ব্যক্তিগতভাবে, হিজাজি বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৭ সালে আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সের টুর্নামেন্ট সেরা দলে অন্তর্ভুক্তি অন্যতম।[৪] দলগতভাবে, হিজাজি এপর্যন্ত ৩টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার সবগুলো আল আহলির হয়ে জয়লাভ করেছেন।
প্রারম্ভিক জীবন
আহমদ আল সাইদ আলি আল সাইদ হিজাজি ১৯৯১ সালের ২৫শে জানুয়ারি তারিখে মিশরেরইসমাইলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবল
হিজাজি মিশর অনূর্ধ্ব-২০ এবং মিশর অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে মিশরের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০৯ সালের ৩১শে মার্চ তারিখে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া অনূর্ধ্ব-২০ দলের বিরুদ্ধে ম্যাচে মিশর অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন।[৫] মিশর অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে তিনি ২০০৯ ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন,[৬] তবে তার দল উক্ত প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র ১৬ দলের পর্ব পর্যন্ত অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছিল; উক্ত প্রতিযোগিতায় তিনি ২ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[৭] দুই বছর পর, তিনি একই দলের হয়ে ২০১১ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-২০ কাপ অব নেশন্সে অংশগ্রহণ করেছিলেন, উক্ত প্রতিযোগিতার ফাইনালে তার দল মালি অনূর্ধ্ব-২০ দলকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে উক্ত প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করতে সক্ষম হয়েছিল। হিজাজি জাপানে অনুষ্ঠিত ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য ২০২১ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত মিশর অনূর্ধ্ব-২৩ দলে স্থান পেয়েছেন;[৮][৯] যেখানে তিনি মিশরের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি ২০০৯ সালের ১৬ই এপ্রিল তারিখে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচেস্পেন অনূর্ধ্ব-২০ দলের বিরুদ্ধে মিশরের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে প্রথমবারের মতো গোল করেছেন।[১০]
২০১১ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর তারিখে, মাত্র ২০ বছর ৭ মাস ৯ দিন বয়সে, ডান পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী হিজাজি সিয়েরা লিওনের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ২০১২ আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সের বাছাইপর্বের গ্রুপ জি-এর ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে মিশরের হয়ে অভিষেক করেছেন।[১১] তিনি উক্ত ম্যাচের মূল একাদশে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন;[১২][১৩] ম্যাচটিতে মিশর ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।[১৪] মিশরের হয়ে অভিষেকের বছরে হিজাজি সর্বমোট ৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ১ বছর ৯ মাস ২ দিন পর, মিশরের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেন; ২০১৩ সালের ৫ই জুন তারিখে, বতসোয়ানার বিরুদ্ধে ম্যাচে মিশরের হয়ে সমতাসূচক গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেন।[১৫][১৬][১৭] ২০১৫ সালের ১৪ই নভেম্বর তারিখে, তিনি চাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মিশরের হয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন, ম্যাচটি মিশর ১–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[১৮][১৯][২০]