শ্রীলঙ্কা দলকে মাসের শুরুতে খেলা ওডিআই খেলায় জিম্বাবুয়ের সাথে পরাজিত হওয়ার পর পরবর্তী টেস্ট খেলার জন্য দিনেশ চান্ডিমালকে দলের অধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়।[৭] যদিও, প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার পূর্বেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায়, তাকে খেলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।[৮] পরে রঙ্গনা হেরাথকে প্রথম টেস্টের জন্য টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে নিশ্চিত করা হয়।[৯] চান্দিমাল ২য় টেস্টে অধিনায়ক হিসাবে দলে ফিরে আসে।[১০] ভারত টেস্ট সিরিজটি ৩-০ তে জিতে নেয়। আর এটা ছিল ভারতে জন্য বিদেশের মাঠে তিন বা বেশি ম্যাচের সিরিজে কোন দলকে হোয়াইটওয়াশ[১১] এটাও ভারতের জন্য প্রথম যে, তারা সফরকারী হিসাবে কোন দেশে ১৯৬৮ সালের পর এই প্রথমবার তিন টেস্ট সিরিজে জয় লাভ করে।[১২]
ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচটি ছিল শ্রীলঙ্কার ৮০০তম ওডিআই ম্যাচ।[১৩] প্রথম তিনটি ওডিআই এ জয়, অতঃপর সিরিজ জয়, এবং এটি ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের ৮ম ধারাবাহিক সিরিজ জয়।[১৪] এই পরাজয়, এবং বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পূর্বের সিরিজ পরাজয়ের ফলে শ্রীলঙ্কার নির্বাচক কমিটিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করে।[১৫] ভারত ৫-০ তে সিরিজ জয় করায় শ্রীলঙ্কাকে ওডিআই সিরিজে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ এর সম্মুখীন হতে হয়।[১৬] একমাত্র টি২০আই ম্যাচেও ভারত ৭ উইকেটে জয় লাভ করে,[১৭] ফলে ৯-০ ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটর সব সংস্করণে মিলিয়ে দ্বি-জাতিক সিরিজে পরিষ্কার মাত দিয়ে দেয় ভারত।[১৮]
হার্দিক পাণ্ড্য পঞ্চম ভারতীয় প্লেয়ার যিনি প্রথম শ্রেণি ক্রিকেটের অভিষেক সিরিজে সেঞ্চুরি করেন। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে তার সংগ্রহ ছিল ১০৭, যা যে কোন ভারতীয় ব্যাটসম্যানের হিসাবে সর্বাধিক। পূর্বের রেকর্ডটি ছিল ২০০৬বীরেন্দ্র শেওয়াগের ৯৯ রান।
হার্দিক পাণ্ড্য টেস্ট ক্রিকেটে কোন ভারতীয় খেলোয়াড় হিসাবে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান করেছেন (২৬)।
লক্ষ্মণ সন্দাকান (শ্রীলঙ্কা) টেস্টে নিজের প্রথম পাঁচ উইকেট দখল করেন।
↑সিরিজ শুরুর পূর্বে দিনেশ চান্ডিমালকে শ্রীলঙ্কার টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু নিউমোনিয়ার কারণে সে প্রথম টেস্টে খেলতে পারেনি, রঙ্গনা হেরাথ দলের অধিনায়কত্ব করেন উক্ত টেস্টে।
↑২য় ওডিআই-এ ধীর হারে ওভার ডেলিভারী করার কারণে ৩য় ও ৪র্থ ওডিআই-এ উপুল থারাঙ্গাকে বহিস্কার করা হয়। চামারা কাপুগেদারাকে ৩য় ওডিআইয়ের জন্য অধিনায়ক নিযুক্ত করা হলেও ব্যাক ইনজুরির কারণে সিরিজ থেকেই বাদ পড়ে যায়। পরে ৪র্থ ওডিআইয়ের জন্য লাসিথ মালিঙ্গাকে অধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়।