বাংলার রূপকথার গল্প বা লোককাহিনি সাত ভাই চম্পা। ১৯০৭ সালে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার এই লোককাহিনি ঠাকুরমার ঝুলি বইয়ে উপস্থাপন করেন। বইটিতে মুখবন্ধ লিখেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপর ১৯৪৪ সালে পুনরায় বিষ্ণু দে গল্পটি প্রকাশ করেন। এই জনপ্রিয় লোককাহিনি নিয়ে বাংলা সিনামা, ধারবাহিক নাটক নির্মিত হয়েছে।
১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সাত ভাই চম্পা চলচ্চিত্র ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সেরা ১০টি বাংলা চলচ্চিত্রের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সাত ভাই চম্পা কাহিনি নিয়ে একটি ভারতীয় বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিক প্রচার করে। এটি ২৭ নভেম্বর ২০১৭ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং জি বাংলাতে প্রচারিত হয়েছিল। এটি প্রযোজনা করেছে সুরিন্দর ফিল্মস এবং শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করছেন প্রমিতা চক্রবর্তী,[১] রুদ্রজিৎ মুখার্জি এবং সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানটি হিন্দিতে "শুরভীর সিস্টার" নামে ডাব করা হয়েছে যা বিগ ম্যাজিক চ্যানেলে প্রচারিত হয়। জি স্বার্থক এটি ওড়িয়া ভাষায় ডাবিং করে প্রচার করে। এটি ২৭ নভেম্বর ২০১৭ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং জি বাংলায় প্রতিদিন সকাল ৮:০০ মিনিটে প্রচারিত হত। এটি ৩ মার্চ ২০১৯ সালে এর সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায় এবং এটি "ত্রিনয়নী" দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
সূর্যনগরের রাজা মহেন্দ্রের প্রথমা রানী মণিমল্লিকার নেতৃত্বে, স্বার্থপর রানীরা সপ্তমা রাণী পদ্মাবতীর সাত পুত্র এবং এক কন্যাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। মণিমল্লিকার জাদুতে সাত ভাই চাঁপা ফুল হয়ে যায়। মেয়ে পারুলকে উদ্ধার করে দাসী। বেশ কিছু দুঃসাহসী অভিযানের মধ্য দিয়ে রাজকুমারী পারুলকে দীর্ঘ দিনের হারিয়ে থাকা তাঁর সাত ভাইকে (যারা এখন চাঁপা ফুল) জীবিত ফিরিয়ে আনতে হবে এবং তার পরিবারকে পুনরায় একত্র করতে হবে। তিনি সাহসী সেনাপতি রাঘবকে (রাঘবেন্দ্র) তার সঙ্গী হিসাবে পান। এবং দুষ্ট জাদুকরী রাক্ষসী রানী মণিমল্লিকা তার প্রধান শত্রুতে পরিণত হয়। বিয়ের দিন রাঘব হারিয়ে যায়, একটি হাতির তাকে অন্য দেশে নিয়ে যায়। সেখানের বাসিন্দারা তাকে রাজা ভাবে। এই সমস্ত কিছুর পিছনে ছিল একজন দুষ্ট যাদুকর (জাদুকর বৃশ্চিক) এবং দুষ্ট রানী। রাজকুমারী পারুল তাকে উদ্ধার করে এবং তার বন্ধুদের সাহায্যে মণিমল্লিকাকে হত্যা করে। তিনি রাঘবকে বিয়ে করেন এবং সূর্যনগরে সুখে জীবনযাপন করতে থাকেন।