Share to: share facebook share twitter share wa share telegram print page

শশীদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়

শশীদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়
Symbol of Shahidul union high School
অবস্থান
কুমিল্লা বাইপাস রোড, শশীদল, ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা।

তথ্য
ধরনমাধ্যমিক বিদ্যালয়
নীতিবাক্যবিদ্যার জন্য এসো, সেবার জন্য বেরিয়ে পড়।
প্রতিষ্ঠাকাল২৩ জানুয়ারি ১৯৩৫; ৯০ বছর আগে (23 January 1935)
প্রতিষ্ঠাতাবাবু তারক চন্দ্র চৌধুরী
বিদ্যালয় জেলাকুমিল্লা
বিদ্যালয়ের প্রধানমোঃ রফিকুল ইসলাম
শ্রেণি৬ষ্ঠ – ১০ম
ভর্তি২০০
শিক্ষায়তন৫.৬৯ একর
ক্যাম্পাসের ধরনগ্রামীণ
পোশাকBoys:   


Girlls:   
ওয়েবসাইটshashidalhs.edu.bd

শশীদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় (Shashidal Union High School) বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের একটি ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়। উনিশ শতকের শেষভাগে শিক্ষা বিস্তারের প্রবর্তক বাবু তারক চন্দ্র চৌধুরীর উদ্যোগে এই বিদ্যালয়টির ভিত্তি স্থাপিত হয়। কালের পরিক্রমায় এটি এলাকার অন্যতম প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

ইতিহাস

প্রতিষ্ঠা ও প্রারম্ভিক পর্যায় (১৮৮০)

শশীদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে, যখন স্থানীয় জমিদার এবং প্রগতিশীল চিন্তাবিদ বাবু তারক চন্দ্র চৌধুরী এলাকার মানুষের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার মহৎ উদ্দেশ্যে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গোড়াপত্তন করেন। এই প্রাথমিক পর্যায়ে, তারক চন্দ্র চৌধুরী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের মূল্যবান জমি দান করেন, যা বিদ্যালয়ের স্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত করে।[]

শশীদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় এর উত্তর পাশ
শশীদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় এর গেইট।

তৎকালীন আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে গ্রামীণ শিক্ষাব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত সীমিত। নবপ্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যাগারটি সম্ভবত একটি স্থানীয় পাঠশালা বা বঙ্গীয় বিদ্যালয় রূপে কার্যক্রম শুরু করে। এর মূল লক্ষ্য ছিল স্থানীয় শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষার প্রাথমিক জ্ঞান, অঙ্ক এবং নৈতিক শিক্ষা প্রদান করা। পাঠ্যক্রম ছিল সরল এবং ব্যবহারিক জীবনের উপযোগী। প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাব থাকলেও, সম্ভবত স্থানীয় জ্ঞানপিপাসু ব্যক্তিরাই শিক্ষাদানের দায়িত্ব পালন করতেন। শিক্ষার্থীদের বসার জন্য মাদুর বা চাটাইয়ের ব্যবহার ছিল প্রচলিত, এবং শিক্ষাদানের উপকরণ হিসেবে স্লেট, পেন্সিল ও তালপাতার মতো সহজলভ্য বস্তুই ব্যবহৃত হতো। বিদ্যালয়ের ভবন সম্ভবত ছিল একটি সাধারণ কাঁচা ঘর অথবা টিনের তৈরি কাঠামো, যা জমিদারের দান করা জমিতে নির্মিত হয়েছিল। নারী শিক্ষার প্রতি সামাজিক অনীহা সেই সময়ে প্রবল থাকায়, বিদ্যালয়ে মেয়েদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য। তবে, তারক চন্দ্র চৌধুরীর এই স্ব-উদ্যোগী শিক্ষাকেন্দ্রটি গ্রামীণ শিক্ষার প্রবর্তক হিসেবে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল।

পূর্ণাঙ্গ উচ্চ বিদ্যালয়ের রূপলাভ (১৯৩৫)

সময়ের সাথে সাথে এলাকার শিক্ষাগত চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং বিদ্যাগারটির কলরবও বাড়তে থাকে। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাগারটি প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, উন্নত পাঠ্যক্রম এবং সরকারি স্বীকৃতির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ উচ্চ বিদ্যালয়ের রূপ লাভ করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে শশীদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরিচিতি পায়। এই সময় বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানাগার, গ্রন্থাগার এবং শ্রেণীকক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মানোন্নয়ন ঘটে।[]


অবকাঠামো

বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে বেশ কয়েকটি একাডেমিক ভবন, আধুনিক বিজ্ঞানাগার, সমৃদ্ধ কম্পিউটার ল্যাব, একটি সুবিশাল গ্রন্থাগার এবং শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য একটি বিস্তৃত খেলার মাঠ রয়েছে। সময়ের সাথে সাথে স্থানীয়দের সাহায্য ও সরকারি অনুদানে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো আরও উন্নত করা হয়েছে।

শিক্ষাব্যবস্থা

শশীদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে নিম্ন মাধ্যমিক (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী) এবং মাধ্যমিক (নবম ও দশম শ্রেণী) পর্যায়ে গুণগত শিক্ষা প্রদান করে। অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি তাদের চরিত্র গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

তথ্য

প্রতিষ্ঠানের নাম EIIN উদিত
শশীদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় 105205 ২৩ জানুয়ারী, ১৯৩৫
বোর্ড ডিসিপ্লিনের আদর্শ
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড মানবিক | বিজ্ঞান | বাবস্যাহিক শিক্ষা মাধ্যমিক
এমপিও লেবেল এমপিও নম্বর সহ-শিক্ষা
মাধ্যমিক ৮০৭০৭১৩০১ মিলিত
অবস্থান ম্যানেজমেন্ট অঞ্চল
সমভূমি পরিচালক গ্রামীণ

জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল

পাশের হার: 89,36%, এ+ রেট 6.15%
বছর  উপস্থিত  পাশ  পাশের হার  ব্যর্থ হয়েছে ব্যর্থ হার

জিপিএ 5.00

2019 192 191 99.48% 1 0.01% 4
2018 236 224 94.92% 12 0.12% 1
2017 213 151 70.89% 62 0.62% 18
2016 223 220 98.65% 3 0.03% 36
2015 203 201 99.01% 2 0.02% 19
2014 218 215 98.62% 3 0.03% 17
2013 190 158 83.16% 32 0.32% 20
2012 183 155 84.7% 28 0.28% 6
2011 193 156 80.83% 37 0.37% 1
2010 133 102 76.69% 31 0.31% 0
মোট 1792 1582 88.28% 210 0.12% 118

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল

পাসের হার 86.90%, A+ রেট 6.44%
বছর  বোর্ড উপস্থিত  পাশ  পাশের হার  ব্যর্থ হয়েছে

জিপিএ 5.00

2023 কুমিল্লা 133 119 89.47% 14 22
2023 টেকনিকাল 45 43 95.56% 2 8
2022 কুমিল্লা 145 135 93.10% 10 25
2022 টেকনিকাল 35 34 97.14% 1 7
2021 কুমিল্লা 202 197 97.52% 5 14
2020 কুমিল্লা 203 185 91.13% 18 14
2019 কুমিল্লা 248 214 86.29% 34 8
2018 কুমিল্লা 204 177 86.76% 27 5
2017 কুমিল্লা 212 153 72.17% 59 0
2016 কুমিল্লা 172 133 77.33% 39 3
2015 কুমিল্লা 145 119 82.07% 26 14
2014 কুমিল্লা 146 139 95.21% 7 13
2013 কুমিল্লা 145 122 84.14% 23 10
2012 কুমিল্লা 174 137 78.74% 37 7
2011 কুমিল্লা 150 143 95.33% 7 2
মোট 2359 2050 86.90% 309 152

সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যক্রম

বিদ্যালয়ে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়, যা শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে সহায়তা করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান মেলা এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্লাব।


বর্তমান অবস্থা

বর্তমানে শশীদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কুমিল্লা জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী ও অগ্রণী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি শিক্ষার গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রাখতে বদ্ধপরিকর এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জ্ঞানের আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে চলেছে।

উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী

শশীদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জন করে বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন।

তথ্যসূত্র

  1. "ব্রাহ্মণপাড়ায় ঐতিহ্যবাহী শশীদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাস"। ২০২৫। 
  2. শশীদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়। "প্রতিষ্ঠার ইতিহাস"worldgreynews। ৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২১ 

আরও দেখুন

  • বাবু তারক চন্দ্র চৌধুরী
  • ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা
  • কুমিল্লা জেলা
  • বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা
Prefix: a b c d e f g h i j k l m n o p q r s t u v w x y z 0 1 2 3 4 5 6 7 8 9

Portal di Ensiklopedia Dunia

Kembali kehalaman sebelumnya