শন ফ্রান্সিস গ্রাফ (ইংরেজি: Shaun Graf; জন্ম: ১৯ মে, ১৯৫৭) মেলবোর্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০ থেকে ১৯৮১ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ার প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৮০-এর দশকে দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন শন গ্রাফ।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৭৯-৮০ মৌসুম থেকে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম পর্যন্ত শন গ্রাফের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। শেফিল্ড শিল্ডে ওয়েস্টার্ন ওয়ারিয়র্সে খেলার পাশাপাশি নিজ রাজ্য ভিক্টোরিয়ার পক্ষে খেলেছেন। উভয় দলের শেফিল্ড শিল্ডের শিরোপা বিজয়ে ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে ভিক্টোরিয়া ও ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার শেফিল্ড শিল্ডের শিরোপা বিজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। এছাড়াও, কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে খেলেন।
ভিক্টোরিয়ার সমারভিল এলাকায় শন গ্রাফের জন্ম। মেনটোনের সেন্ট বেডেস কলেজে পড়াশুনো করেন। ১৯ বছর বয়সে ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে সেন্ট কিল্ডা ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যরূপে স্তরভিত্তিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ঐ মৌসুমে তিনি অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলেন। ডানহাতে মিডিয়াম ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি দর্শনীয় ড্রাইভিং সহযোগে বামহাতে ব্যাটিং করতেন।[১]
১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ পর্যায়ে তিনি মাইনর কাউন্টিজ প্রতিযোগিতায় উইলশায়ারের পক্ষে খেলেন। তন্মধ্যে, অক্সফোর্ডশায়ারের বিপক্ষে ৫১,[২] ডরসেটের বিপক্ষে ৭/৭৩,[৩] এবং বার্কশায়ারের বিপক্ষে ৭৯ ও চার উইকেট লাভ করেছিলেন।[৪] গ্লুচেস্টারশায়ার দ্বিতীয় একাদশের সদস্যরূপে ৬/২৭ লাভ করেন।[৫]
ঘরোয়া ক্রিকেট
১৯৭৯-৮০ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় শন গ্রাফের।[৬] ঐ মৌসুমে তিনি বেশ কয়েকবার উল্লেখযোগ্য সাফল্যের সন্ধান পেয়েছেন। তন্মধ্যে, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩/২৪,[৭] ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ৫৮,[৮] ও সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাত উইকেট পেয়েছেন।[৯]
ম্যাকডোনাল্ডস কাপে তিনি কিছু ভালো খেলা উপহার দিয়েছেন। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক খেলায় ১/৪৪ ও অপরাজিত ১৯ রান তুলে ভিক্টোরিয়াকে তিন উইকেটে জয় এনে দেন।[১০][১১] চূড়ান্ত খেলায় ২/৩৪ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে ভিক্টোরিয়াকে জয়লাভে সহায়তাসহ চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয়ে ভূমিকা রাখেন।[১২] ঐ মৌসুমে ভিক্টোরিয়া দল শেফিল্ড শিল্ডের শিরোপা জয় করেছিল। গ্রেড ক্রিকেটে সেন্ট কিল্ডার পক্ষে খেলেন। মেলবোর্নের বিপক্ষে ৪/৫৪ ও ৯৩ রান তুলে দলকে জয় এনে দেন তিনি।[১৩] চূড়ান্ত খেলায় পাঁচ উইকেট পেলেও ফুটস্ক্রে খেলায় জয় পায়।[১৪]
কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ
১৯৮০ সালে হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে খেলার জন্যে প্রস্তাবনা পান। তবে, স্বাভাবিক খেলা উপহার দিতে পারেননি তিনি। মাত্র ১৯ গড়ে ২১৪ রান তুলতে পেরেছিলেন।[১৫] প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি খেলায় কেবলমাত্র একবার পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলতে পেরেছিলেন। ৪৮ গড়ে মাত্র ১৬টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান। ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ২/২৪।[১৬] এছাড়াও, অক্সফোর্ডের বিপক্ষে ৪৪ রান তুলেছিলেন।[১৭] ঐ মৌসুমে হ্যাম্পশায়ার দল তালিকায় সর্বশেষ স্থান দখল করে।[১৮] নিজস্ব সর্বশেষ কাউন্টি খেলায় এসেক্সের বিপক্ষে অপরাজিত ৫৭ রান তুলেন।[১৯] তবে, একদিনের খেলায় তার মান কিছুটা ভালো ছিল। ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ৩/৪৪,[২০]সমারসেটের বিপক্ষে ২/১২,[২১]ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ৩/২৬,[২২] ও এসেক্সের বিপক্ষে ২/২৪ পান।[২৩] এছাড়াও, হ্যাম্পশায়ার দ্বিতীয় একাদশের সদস্যরূপে কিছু ভালো খেলেন। একটি খেলায় পাঁচ উইকেট লাভসহ ৫১ রান সংগ্রহ করেন।[২৪]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে এগারোটি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন শন গ্রাফ। ২৩ নভেম্বর, ১৯৮০ তারিখে অ্যাডিলেডে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ২৪ নভেম্বর, ১৯৮১ তারিখে সিডনিতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি। তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি। তবে, ১৯৮০-৮১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে টেস্ট খেলায় দ্বাদশ খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
১৯৮০-৮১ মৌসুমে শন গ্রাফের খেলার মান ভালো ছিল। শিল্ডে নিজস্ব প্রথম খেলায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৪ ও ৬৪ রান সংগ্রহসহ চার উইকেট পান।[২৫] ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরেকটি খেলায় অপরাজিত ১০০ ও ৩/২৪ পান।[২৬] একদিনের খেলায় কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ২/৬ পান।[২৭]
এ পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়া দল অল-রাউন্ডারের সন্ধান করছিল। ফলশ্রুতিতে, সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলার জন্যে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে, গ্রাফকে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে রাখা হয় ও তিনি খেলেননি।[২৮] তবে, নভেম্বর, ১৯৮০ সালে অ্যাডিলেড ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই খেলার জন্যে মনোনীত হন।[২৯]
অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেল মন্তব্য করেন যে, এ মুহুর্তে যদিও আমরা কঠিন সময় অতিবাহিত করছি, সম্ভবতঃ প্রকৃত অল-রাউন্ডারের দলে অভাব রয়েছে। শন গ্রাফ এ স্থানের উপযুক্ত ও অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন অনুযায়ী শুধুমাত্র একদিনের ক্রিকেট নয়, বরঞ্চ টেস্ট খেলায়ও তিনি তার ক্রীড়াশৈলী তুলে ধরবেন।[৩০] খেলায় শন গ্রাফ শূন্য রান ও ১/৪০ পান।[৩১] পরের খেলার জন্যেও তাকে দলে রাখা হয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐ খেলায় ২/৪০ পান।[৩২]ভারতের বিপক্ষে ০/৩০ ও ৫ রান তুলেন।[৩৩] নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ০/১৫ পান[৩৪] এবং ভারতের বিপক্ষে ২/২৩ পান।[৩৫]
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে পিঠের আঘাতের কারণে মাঠের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। এরফলে, শিল্ডের একটি খেলায় অনুপস্থিত ছিলেন। দলের দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে থাকা ট্রেভর চ্যাপেল তার স্থলাভিষিক্ত হন।[৩৬] শারীরিক সুস্থতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ও ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে চ্যাপেলের স্থলাভিষিক্ত হন। তবে, এবারও গ্রাফকে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে থাকতে হয়েছিল।[৩৭] পরের টেস্টে ব্রুস ইয়ার্ডলি’র পরিবর্তে খেলার সুযোগ পান তিনি।[৩৮]
একদিনের খেলায় ভারতের বিপক্ষে ০/৩১,[৩৯] ও নাটকীয়ভাবে নিউজিল্যান্ডের কাছে এক রানে পরাজিত হওয়া খেলায় ২/৪০ ও ৭ রান তুলেন তিনি।[৪০] ভারতের বিপক্ষে ২ ও ১/৩৬ এবং[৪১] নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ রান তুলেন। ঐ মৌসুমের ত্রিদেশী ওডিআই প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্বের দশটি খেলার নয়টিতে শন গ্রাফের অংশগ্রহণ ছিল। কিন্তু, সিরিজের চূড়ান্ত খেলাগুলোয় মাত্র ৩.২০ গড়ে ১৬ রান করলে দলের বাইরে তাকে রাখা হয়। ব্যাটিং অল-রাউন্ডার হিসেবে সাত কিংবা আট নম্বরে রাখলেও সর্বোচ্চ করেছিলেন মাত্র ৭ রান।[৪২][৪৩] ঐ সিরিজে ৩১.৮৮ গড়ে আট উইকেট পেয়েছিলেন। তিনবার খেলায় দুই উইকেট লাভ করতে পেরেছিলেন।[৪৪] ঐ গ্রীষ্মের শেষে গ্রেইম বিয়ার্ডকে প্রাধান্য দিলে তিনি বাদ পড়েন।[৪৫] মৌসুমের শেষদিকে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ছয় উইকেট ও ৫১ রান তুলেন।[৪৬] ম্যাকডোনাল্ডস কাপের একটি খেলায় ৩/৪০ পান।[৪৭] তবে, অন্যান্য খেলায় তেমন জোড়ালো ভূমিকা রাখতে না পারায় ১৯৮১ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক উপেক্ষিত হতে হয়। গ্রেইম বিয়ার্ড ও ট্রেভর চ্যাপেলকে দলে নেয়া হয়।
দলে প্রত্যাখ্যান
পরবর্তী মৌসুমে গ্রাফের উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছিল শিল্ডের খেলায় কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ-উইকেট লাভ।[৪৮] এনএসডব্লিউ’র বিপক্ষে ৫৫ ও ৩৯ রান করেন।[৪৯]
ওডিআই সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় খেলায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। আঘাতপ্রাপ্ত ডেনিস লিলি’র স্থলাভিষিক্ত হন।[৫০]মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডেপাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ আট রান তুলেন। তবে, ঐ খেলায় তিনি কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন।[৫১] পরের খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নয় ওভারে ৫৬ রান খরচ করে ফেলেন ও কোন সফলতা পাননি।[৫২] ফলশ্রুতিতে, দল থেকে বাদ পড়েন।[৫৩] রাজ্য দলের একদিনের খেলায ৩/২৮ পান।[৫৪]
১৯৮২-৮৩ মৌসুমের পরবর্তী গ্রীষ্মে শন গ্রাফ অস্ট্রেলিয়ার একদিনের দলে ফিরতে পারেননি। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৪/৫৩ ও ৫/৯৫ পান।[৫৫] ম্যাকডোনাল্ডস কাপের সেমি-ফাইনালে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। ২৯ রান সংগ্রহের পাশাপাশি ৪/১৫ পান।[৫৬] তবে, বাদ-বাকী অধিকাংশ খেলাতেই তার খেলার মান হতাশাব্যঞ্জক ছিল।
১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ডে মাইনর কাউন্টিজ চ্যাম্পিয়নশীপে কর্নওয়ালের পক্ষে খেলেন। উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ডেভনের বিপক্ষে ৭ উইকেট লাভ,[৫৭] বাকিংহামশায়ারের বিপক্ষে ৪৬,[৫৮] চেশায়ারের বিপক্ষে ৬২ ও ৫৬,[৫৯] শ্রপশায়ারের বিপক্ষে ৬০,[৬০] ও ডরসেটের বিপক্ষে ৪/১৯ লাভ।[৬১]
১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে এক বছরের জন্যে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে খেলেন। দলের শেফিল্ড শিল্ডের শিরোপা বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।[৬২] ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩/৫৫,[৬৩] পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৪ ও চার উইকেট লাভ,[৬৪] ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ৩৪ ও ৭৩ রান সংগ্রহের পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে স্বল্প ব্যবধানে দলকে জয় এনে দেন।[৬৫] কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৪ ও অপরাজিত ৩১ রান তুলেন।[৬৬] তাসমানিয়ার বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পান।[৬৭] কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে চূড়ান্ত খেলায় শন গ্রাফ ৩/১১১ ও ৩/৩৪ এবং ১৪ ও অপরাজিত ১৭ রান তুলে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার চার উইকেটের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।[৬৮] ম্যাকডোনাল্ডস কাপের চূড়ান্ত খেলায় ইনিংসের শেষদিকে ৩৩ বলে ৩৭ রান তুলে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াকে আট রানের বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা পালন করেন।[৬৯] পরের মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন। শিল্ডের একটি খেলায় অংশ নেন। অবসর গ্রহণের পূর্বে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৯ রান ও চার উইকেট নেন তিনি।[৭০]
সব মিলিয়ে ৫৫ খেলায় ২৫.১৪ গড়ে এক সেঞ্চুরি সহযোগে ১,৫৫৯ রান তুলেন। ৩৩.৯১ গড়ে ১২৪ উইকেট দখল করেন। সেরা বোলিং করেন ৫/৯৫। সীমিত ওভারের খেলাগুলোয় ব্যাট হাতে ২৫.২২ গড়ে রান ও বল হাতে ২৫ গড়ে উইকেট পেয়েছেন।
অবসর
১৯৯০-৯১ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ১৯৯৫ সালে ভিক্টোরিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন শন গ্রাফ।
১৯৯৯-২০০০ মৌসুম পর্যন্ত সেন্ট কিল্ডা দলের পক্ষে গ্রেড ক্রিকেটে অংশ নেন।[৭১] ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমের প্রতিযোগিতায় সেন্ট কিল্ডা শিরোপা জয় করে।[৭২] ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমেও এ ধারা অব্যাহত থাকে। চূড়ান্ত খেলায় তিনি ৫৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন।[৭৩] ১৯৮৯-৯০ মৌসুমেও দলটি চূড়ান্ত খেলায় অবতীর্ণ হয়েছিল। সেমি-ফাইনালে তিনি ৫৩ ও ৬/৩৯ লাভ করেছিলেন।[৭৪] চূড়ান্ত খেলায় দুই উইকেট লাভসহ ১০২ রান তুললেও তার দল পরাজিত হয়েছিল।[৭৫] ১৯৯১-৯২ মৌসুমের প্রতিযোগিতায় ২/৪১ পান। এ প্রতিযোগিতায় শেন ওয়ার্নকে নিয়ে দলের শিরোপা বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।[৭৬]
Cashman; Franks; Maxwell; Sainsbury; Stoddart; Weaver; Webster (১৯৯৭)। The A-Z of Australian cricketers। Melbourne: Oxford University Press। আইএসবিএন0-19-550604-9।