মালুর রামস্বামি শ্রীনিবাসন ১৯৩০ সালের ৫ জানুয়ারি ভারতের বেঙ্গালুরুতে জন্মগ্রহণ করেন। তার আট ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয়। তিনি বিজ্ঞান প্রবাহে ইন্টারমিডিয়েট কলেজ, মহীশূরে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন যেখানে তিনি অধ্যয়নের জন্য তার ভাষা হিসেবে সংস্কৃত এবং ইংরেজি বেছে নেন। পদার্থবিদ্যা তার প্রথম পছন্দ হওয়া সত্ত্বেও, তিনি এম. বিশ্বেশ্বরায়র সদ্য শুরু হওয়া প্রকৌশল কলেজে (বর্তমানে ইউভিসিই) যোগ দেন, যেখানে তিনি ১৯৫০ সালে যন্ত্র প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[১] পরবর্তীকালে তিনি ১৯৫২ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এবং ১৯৫৪ সালে কানাডার মন্ট্রিয়লেরম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে ডক্টর ডিগ্রি লাভ করেন। তার গবেষণার ক্ষেত্র ছিল গ্যাস টারবাইন প্রযুক্তি।[৪]
কর্মজীবন
শ্রীনিবাসন ১৯৫৫ সালের সেপ্টেম্বরে পরমাণু শক্তি বিভাগে যোগদান করেন। তিনি হোমি ভাভার সাথে ভারতের প্রথম পারমাণু গবেষণা চুল্লি, অপ্সরা নির্মাণে কাজ করেছিলেন,[১] যা ১৯৫৬ সালের আগস্টে সমালোচিত হয়েছিল। ১৯৫৯ সালের আগস্টে, শ্রীনিবাসন ভারতের প্রথম পারমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রধান প্রকল্প প্রকৌশলী হিসেবে নিযুক্ত হন। এর পরে, ১৯৬৭ সালে, শ্রীনিবাসন মাদ্রাজ পারমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রধান প্রকল্প প্রকৌশলী হিসেবে নিযুক্ত হন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৭৪ সালে, শ্রীনিবাসন পারমাণু শক্তি বিভাগের শক্তি প্রকল্প প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক এবং পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে পারমাণু শক্তি বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। এই ক্ষমতায়, তিনি দেশের সমস্ত পারমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং পরিচালনার জন্য দায়ী ছিলেন। ১৯৮৭ সালে, তিনি পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং পরমাণু শক্তি বিভাগের সচিব নিযুক্ত হন।[৫] সেখানে তিনি ভারতীয় পরমাণু কর্মসূচির সমস্ত দিকগুলির জন্য দায়িত্ব পালন করেন। শ্রীনিবাসন ১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় পারমাণবিক শক্তি নিগমের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি মোট ১৮টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটের জন্য দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে সাতটি চালু রয়েছে, আরও সাতটি নির্মাণাধীন রয়েছে এবং চারটি এখনও পরিকল্পনাধীন পর্যায়ে রয়েছে।
অন্যান্য দায়িত্ব
শ্রীনিবাসন ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ভিয়েনারআন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার একজন জ্যোষ্ঠ্য উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ভারত সরকারেরপরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন, যেখানে তিনি শক্তি, এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পোর্টফোলিওগুলি দেখাশোনা করেন। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৪ এবং পূনরায় ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কর্ণাটকের উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের সভাপতি ছিলেন। শ্রীনিবাসন ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব নিউক্লিয়ার অপারেটরের (ওয়ানো) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য; ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল একাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের একজন ফেলো এবং ইন্ডিয়ান নিউক্লিয়ার সোসাইটির একজন ইমেরিটাস ফেলো।[৬]
↑ কখগঘ"Padma Awards"(পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল(পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৫।