জাহাঙ্গীর রতনজী দাদাভাই টাটা (সংক্ষেপে জে আর ডি টাটা হিসাবে পরিচিত; ২৯ জুলাই ১৯০৪ – ২৯ নভেম্বর ১৯৯৩) ছিলেন একজন ভারতীয় পাইলট, উদ্যোক্তা, টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং টাটা সনসের অংশীদার।
টাটা পরিবারে জন্মগ্রহণ করা জাহাঙ্গীর বিখ্যাত ব্যবসায়ী রতনজী দাদাভাই টাটা এবং সুজেইন "সনী" ব্রিয়েরের সন্তান ছিলেন। তার মা ভারতে গাড়ী চালানো প্রথম মহিলা ছিলেন। ১৯২৯ সালে তিনি ভারতের প্রথম উড়োজাহাজ চালানো লাইসেন্স লাভ করা পাইলট পরিগণিত হন। তিনি বিশেষত টাটা গ্রুপের অধীনে বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন টাটা কনসাল্টটেন্সী সার্ভিসেস, টাটা মোটরস, টাইটেন ইন্ডাস্ট্রীজ, টাটা সল্ট, ভল্টাস, এবং এয়ার ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য পরিচিত।
তার অবদানের জন্য ফ্রেন্চ সরকার তাকে ১৯৮৩ সালে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান লেজিয়ন অব অনর প্রদান করে। ভারত সরকার ভারতীয় উদ্যোগ জগতে তার অগ্রণী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৫৫ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ এবং ১৯৯২ সালে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন প্রদান করে।[২]
পুরস্কার এবং সম্মান
জাহাঙ্গীর রতনজী দাদাভাই টাটা বহু রাষ্ট্রীয় এবং আন্তরাষ্ট্রীয় পুরস্কার ও সম্মান লাভ করেছিলেন। তাকে ১৯৪৮ সালে ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেনের সম্মানীয় পদ দেয়া হয়েছিল। পরে তাকে ১৯৬৬ সালের ৪ অক্টোবর তারিখে এয়ার কমান্ডার পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।[৩] পরে আবার ১৯৭৪ সালের ১ এপ্রিল তারিখে এয়ার ভাইস মার্শাল পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। তার লাভ করা অন্যান্য পুরস্কার এবং সম্মানসমূহ হল, ১৯৭৯ সালে টনি যেনোস পুরস্কার, ১৯৮৫ সালে ফেডারেশন এরোনেটিক্স ইন্টারন্যাশনালের গোল্ড এয়ার মেডেল, ১৯৮৮ সালে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গেনাইজেশন, কানাডার এডওয়ার্ড বার্নার পুরস্কার এবং ১৯৮৮ সালে ডেনিয়েল গুগেনহেইম মেডেল।[৪] তার অবদানের জন্য ফরাসি সরকার তাকে ১৯৮৩ সালে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান লেজিওঁ দনর প্রদান করে। ভারত সরকার ভারতীয় উদ্যোগ জগতে তাকে অগ্রণী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৫৫ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ এবং ১৯৯২ সালে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন প্রদান করে।[২]
একইবছর তিনি ভারতে পরিবার পরিকল্পনা জনপ্রিয় করার জন্য রাষ্ট্রসংঘর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[৫]
তার স্মৃতিতে মহারাষ্ট্র সরকার পুণের কাছারবাদি ফাটায় অবস্থিত প্রথম দুখলপীয়া সেতুর নামকরণ করেছে।
মৃত্যু
১৯৯৩ সালের ২৯ নভেম্বর তারিখে সুইজারল্যান্ডর জেনেভাতে ৮৯ বছর বয়সে জাহাঙ্গীর রতনজী দাদাভাই টাটার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর ভারতীয় সংসদ স্থগিত করা হয়েছিল। তাকে ফ্রান্সের প্যারিস পিয়ের লেসাইস সমাধিক্ষেত্রে সমাধিস্থ করা হয়েছিল।
২০১২ সালে আউটলুক পত্রিকা সিএনএন-আইবিএন, হিস্ট্রী১৮ এবং বিবিসির সহযোগিতায় প্রকাশ করা "মহান ভারতীয়"র তালিকায় তিনি ষষ্ঠ স্থান লাভ করেছিলেন।[৬]