ভোপাল ছিল ভারতের একটি রাজ্য। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত এই রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল। ভোপাল দেশীয় রাজ্যটি নিয়ে এই রাজ্য গঠিত হয় এবং ১৯৫৬ সালে পার্শ্ববর্তী মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের সঙ্গে এটি একীভূত হয়। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের শঙ্কর দয়াল শর্মা ১৯৫২ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের আগে দেশীয় রাজ্য ভোপাল শাসিত হত বংশানুক্রমিক নবাবদের দ্বারা। ১৯৪৭ সালের ভারতীয় স্বাধীনতা আইনের ফলে দেশীয় রাজ্যগুলি ব্রিটিশদের সঙ্গে তাদের চুক্তিগত বাধ্যবাধ্যকতা থেকে মুক্ত হয় এবং নবগঠিত ভারত ও পাকিস্তান অধিরাজ্যে যোগদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা দেওয়া হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে শেষ নবাব একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ভোপাল শাসন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই বছর ডিসেম্বরে তাঁর শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনে জড়িত শঙ্কর দয়াল শর্মা সহ বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ গ্রেফতার হন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জানুয়ারি জনসমাবেশে বিধিনিষেধ-সংক্রান্ত নির্দেশিকা লঙ্ঘনের অপরাধে শঙ্কর দয়াল শর্মা আট মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। অন্য কয়েকজন সত্যাগ্রহীও গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয় এবং ১৯৪৯ সালেরই ৩০ এপ্রিল নবাব ভারত অধিরাজ্যের সঙ্গে একটি অন্তর্ভুক্তির সনদে সাক্ষর করেন।[১] ১৯৪৯ সালের ১ জুন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ভোপাল রাজ্য অধিগ্রহণ করে এবং রাজ্যটিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত মুখ্য কমিশনার শাসিত একটি "গ শ্রেণি"-র অন্তর্ভুক্ত রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করে।
১৯৫৬ সালের রাজ্য পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী ভোপাল রাজ্যটি মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল এবং ভোপাল শহরটিকে এই নবগঠিত রাজ্যের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
অধুনা ভোপাল, রাইসেন ও সেহোর জেলার ভূখণ্ড নিয়ে ভোপাল রাজ্য গঠিত হয়েছিল।
১৯৫২ সালে ভোপালের প্রথম বিধানসভা ও সংসদীয় নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস জয়লাভ করেছিল। এই নির্বাচনে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট ভোপাল রাজ্য বিধানসভায় দলগত অবস্থান ছিল নিম্নরূপ:[২]
১৯৫২ সালের ২০ মার্চ শঙ্কর দয়াল শর্মা রাজ্যের প্রথম (ও শেষ) মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।[২]