বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ১৯৬৭ সালের ১নং সংসদীয় কারিগরি শিক্ষা আইনবলে স্থাপিত হয়। বাংলাদেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মান প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রণ, মূল্যায়ন ও উন্নয়নের সার্বিক দায়িত্ব বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের উপর ন্যস্ত। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের সকল পলিটেকনিক পরিচালনা করে। একজন অধ্যক্ষের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে উপাধ্যক্ষের সহযোগিতায় যাবতীয় একাডেমিক, প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।
পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট একটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োগ ঘটে। এটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত শিক্ষাক্রমগুলো হলো ডিপ্লোমা ইন ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার, ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রি, ডিপ্লোমা ইন মেরিন টেকনোলজি, এইচএসসি(ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা), এইচএসসি(ভোকেশনাল) ও এসএসসি(ভোকেশনাল)। বোর্ড এর অধীনে চার(৪) বছর মেয়াদী শিক্ষাক্রম পরিচালিত হয়। চার বছর মেয়াদী শিক্ষাক্রম আটটি(৮) পর্বে বিভক্ত যাদের সেমিষ্টার বলা হয়। এক একটি সেমিষ্টারের কার্য দিবস ১৬-১৮ সপ্তাহ। সে হিসেবে প্রতি বর্ষের কার্য দিবস ৩২-৩৬ সপ্তাহ। নির্ধারিত কার্য দিবস শেষ হওয়ার পর পর্ব সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কলেজ অব লেদার টেকনোলজি বাংলাদেশের একটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যা ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের একমাত্র খনিজ সম্পদ বিষয়ক অনুষদ যা ২০০৬ সালে খসড়া কয়লা নীতির সুপারিশ অনুসারে বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে কার্যক্রম শুরু করে।
বাংলাদেশের ১৮ টি এটিআইতে ডিপ্লোমা-ইন-এগ্রিকালচার (৪ বছর মেয়াদী)কোর্সটি পড়ানো হয়।এছাড়াও বেসরকারিভাবে ১৬০মতো প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা-ইন-এগ্রিকালচার (৪ বছর মেয়াদী)কোসটি পড়ানো হয়।
১।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (ATI), শেরে বাংলা নগর, ঢাকা।
২।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (ATI), তাজহাট রংপুর।
৩।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (ATI), রহমতপুর, বরিশাল।
৪।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (ATI), খাদিমনগর, সিলেট।
৫।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (ATI), শেরপুর।
৬।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (ATI), দৌলতপুর, খুলনা।
৭।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (ATI), হমনা, কুমিল্লা
৮।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (ATI), ঈশ্বরদী,পাবনা
৯।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (ATI), রাঙ্গামাটি।
১০।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (ATI), গাজীপুর।
১১।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (ATI), নোয়াখালী ।
১।আবুল বাশার কৃষি কলেজ, ঢাকা।
২।তমালতলা কৃষি ও কারিগরি কলেজ,বাগাতি পাড়া, নাটোর।
৩।এম.এস.জোহা কৃষি কলেজ,হারদী,আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা।
৪। খান জাহান আলী কৃষি কলেজ,ডুমুরিয়া, খুলনা।
৫।ব্রেইলী ব্রীজ এগ্রিকালচার এন্ড পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট,মীরবাগ,কাউনিয়া রংপুর।"
বাংলাদেশের ০৫ টি (আই,এল,এস,টি) তে ডিপ্লোমা-ইন-লাইভস্টক (৪ বছর মেয়াদী)কোর্সটি পড়ানো হয়।
১। ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
২।ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (ILST), সদর গাইবান্ধা।
৩।ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (ILST), সদর, গোপালগঞ্জ।
৪।ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (ILST), সদর, নেত্রকোনা।
৫।ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (ILST), খুলনা।
৬।ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (ILST), সিলেট।
৭।ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (ILST), লালমনিরহাট।
বর্তমানে ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রয়েছে।[২] এর মধ্যে পুরোনো ইন্সটিটিউটের সংখ্যা ২০টি, যেগুলো পুরোপুরি সরকারি। নতুন রাজস্বভুক্ত ইন্সটিটিউটের সংখ্যা ০৫টি, মনোটেকনিক ইন্সটিটিউট ০৩টি, প্রকল্পভুক্ত ১৮টি ও মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সংখ্যা ০৪টি।
বেসরকারি পলিটেকনিকের সংখ্যা ৩৮৭টি[৩]