নেতিবাচক নাস্তিক্যবাদ যাকে দুর্বল নাস্তিক্যবাদ বা কোমল নাস্তিক্যবাদ বলে; তা হলো এমন প্রকার নাস্তিক্যবাদ যেখানে ব্যক্তি কোন দৈবশক্তির অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না কিন্তু স্পষ্ট ভাষায় কোন ধরনের দৈবশক্তি নেই- একথাটি যেকোনো জায়গায় জাহির করেন না। ইতিবাচক নাস্তিক্যবাদ, সবল নাস্তিক্যবাদ, দৃঢ় নাস্তিক্যবাদ হলো নাস্তিক্যবাদের এমন একটি রূপ, সেখানে ব্যক্তি স্পষ্ট ভাষায় বলে দেন যে মহাবিশ্বে কোন ঈশ্বর বা দৈব শক্তি নেই।[১][২][৩]
এন্থনি ফ্লিউ ১৯৭৬ সালে "নেতিবাচক নাস্তিক্যবাদ" এবং "ইতিবাচক নাস্তিক্যবাদ" ধারণাটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন,[১] যা পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে জর্জ এইচ স্মিথ[৪] এবং মাইকেল মার্টিনের লেখায় ব্যবহৃত হয়।[৫]
ঈশ্বর শব্দটির নমনীয়তা দেখা যায়, ঈশ্বর নিয়ে ধারণার ক্ষেত্রেও হেরফের দেখা যায়। ঈশ্বরের কিছু নির্দিষ্ট ধারণার ভিত্তিতে একজন ব্যক্তি সবল নাস্তিক ও দুর্বল নাস্তিক হতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ ধ্রুপদী বিশ্বাসের ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ, সর্বত্র বিরাজমান, অসীম দয়ালু এবং মানুষ ও মানব জাতির পালনকর্তা। কেউ এরূপ অসীম দৈব সত্তা বা শ্বরবাদী ধারণাকে প্রত্যাখান এর মাধ্যমে সবল নাস্তিক হতে পারেন। কেউবা এই দৈবশক্তির প্রতি বিশ্বাস কে প্রত্যাখ্যান এর মাধ্যমে দুর্বল নাস্তিক হতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে পার্থক্য হল তিনি দৈবশক্তির প্রতি বিশ্বাসে অনাস্থা জ্ঞাপন করলেও, দৈবশক্তির যে কোনো অস্তিত্ব নেই, এটি সর্বত্র সুষ্পষ্টভাবে দাবি করেন না।
ইতিবাচক এবং নেতিবাচক নাস্তিক্যবাদ পদবাচ্য জর্জ এইচ স্মিথ প্রকট ও প্রচ্ছন্ন নাস্তিক্যবাদের সমার্থক হিসেবে বারবার ব্যবহার করতেন। প্রকট ও প্রচ্ছন্ন নাস্তিক্যবাদের ক্ষেত্রেও ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই, এই ধারণাকে পোষণ করা হয়।[৪] "ইতিবাচক" নাস্তিক্যবাদী সুষ্পষ্টভাবে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়ে দেয়। নেতিবাচক নাস্তিকতায় ঈশ্বর নেই, এমনটা বিশ্বাস করা হয়। কিন্তু ঈশ্বর নেই, এরুপ মন্তব্য দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করা হয় না। যারা ঈশ্বর নেই, এরুপ বিশ্বাস করেন কিন্তু নিজের অ-বিশ্বাসের কথা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন না, তারা প্রচ্ছন্ন নাস্তিক। যেসব শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্করা কোন ধরনের বিশ্বাসের কথা শুনেনি অথবা যেসব মানুষ দৈবশক্তির কথা শুনেছে কিন্তু তা বিশ্বাস করতে হবে, এধরনের যুক্তির সান্নিধ্য পায় নি, অথবা যেসব সংশয়বাদী বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে ভুগেন, তারা প্রত্যেকেই প্রচ্ছন্ন নাস্তিক্যবাদ এর অন্তর্ভুক্ত।সকল প্রচ্ছন্ন নাস্তিক দুর্বল/নেতিবাচক নাস্তিক শ্রেণিবিভাগের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।[৬][৭]
এই ধরনের শ্রেণিবিভাগ বিতর্কিত হয়েছে। যাই হোক, রিচার্ড ডকিন্সের মত স্বল্পসংখ্যক প্রখ্যাত নাস্তিক এই শ্রেণী বিভাগ কে এড়িয়ে চলেছেন। গড ডিল্যুশনে তিনি বিশ্বাসের শ্রেণিবিভাগকে তিনি আস্তিকতার সম্ভাবনার বর্ণালি হিসেবে তৈরী করেন। এই বর্ণালিতে তিনি তীব্র আস্তিক, তীব্র নাস্তিক ও সংশয়বাদকে ক্রমানুসারে শ্রেণিবিভাজিত করেন। তিনি নিজেকে সবল নাস্তিক হিসেবে অভিহিত না করে "কার্যত নাস্তিক" হিসেবে উল্লেখ করেন।[৮] নেতিবাচক নাস্তিক্যবাদের মধ্যে দার্শনিক এন্থনি কেনি সংশয়বাদী এবং ধর্মতাত্ত্বিক অজ্ঞানবাদীর (ইংরেজি: theological noncognitivists) মধ্যে পার্থক্য করেন। সংশয়বাদীরা মনে করেন, ঈশ্বরের অস্তিত্ব থাকা অনিশ্চিত; পক্ষান্তরে ধর্মতাত্ত্বিক অজ্ঞানবাদীরা মনে করেম ঈশ্বর নিয়ে কোনো কথা বলাই নিরর্থক।[৯]
জ্যাকুয়াস মারিটান নেতিবাচক/ইতিবাচক নাস্তিকতা পদবাচ্যকে ১৯৪৯ সালের পূর্বে ব্যবহার করেন। কিন্তু কঠোর ক্যাথলিক ধর্মের পক্ষের যুক্তিবাদীদের প্রসঙ্গে এই পদবাচ্যকে ভিন্ন অর্থে তিনি ব্যবহার করেছিলেন।[১০]
গোপারাজু রামচন্দ্র রাও (১৯০২-১৯৭৫), গোরা নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন ভারতীয় সমাজ সংস্কারক, বর্ণ বিরোধী সক্রিয়তাবাদী এবং নাস্তিক। তিনি ১৯৭২ সালে তার বইয়ে নাস্তিক্যবাদ কে জীবনের একটি পথ হিসেবে বিবেচনা করেন, সেবইয়ে ইতিবাচক নাস্তিক্যবাদ নামের দর্শনকে তিনি প্রস্তাব করেন।[১১]
একইভাবে অস্টিনের নাস্তিক সম্প্রদায় ইতিবাচক আস্তিক্যবাদ পদবাচ্যটি ব্যবহার করেন। তাদের এই ব্যবহারের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল ধার্মিকরা নাস্তিক্যবাদের উপর জনমনে যে নেতিবাচক চিত্র এঁকে দিয়েছে, তার অপনোদন করা এবং নাস্তিক্যবাদের একটি ইতিবাচক চিত্র তৈরী করা। পজেটিভ এথিজম ম্যাগাজিন এর মতে, "নাস্তিক্যবাদ যেকোনো বিশ্বাস মূলক অবস্থা থেকে অনেক বেশি ইতিবাচক এবং স্বাস্থ্যকর দর্শন।"[১২] সংশয়বাদীরা সর্বদা শুধুমাত্র প্রচ্ছন্ন নাস্তিক হন না। উদাহরণস্বরূপ নাস্তিক্যবাদের তীব্র প্রভাব থাকা ত্রয়ী ফ্যান্টাসী হিজ ডার্ক ম্যাটেরিয়াল এর লেখক ফিলিপ পুলম্যান একজন প্রকট নাস্তিক [১৩][১৪] কিন্তু তিনি নিজেকে কৌশলগতভাবে সংশয়বাদী হিসেবে অভিহিত করেছেন।[১৫]
In this interpretation an atheist becomes: not someone who positively asserts the non-existence of God; but someone who is simply not a theist. Let us, for future ready reference, introduce the labels 'positive atheist' for the former and 'negative atheist' for the latter.
By positive atheism I mean an active struggle against everything that reminds us of God – that is to say, anti-theism rather than atheism – and at the same time a desperate, I would say heroic, effort to recast and reconstruct the whole human universe of thought and the whole human scale of values according to that state of war against God.
he is one of England’s most outspoken atheists. ... He added, “Although I call myself an atheist, I am a Church of England atheist, and a 1662 Book of Common Prayer atheist, because that’s the tradition I was brought up in and I cannot escape those early influences.”
I suppose technically, you'd have to put me down as an agnostic.