অক্টোবর, ২০১১ সালে ঢাকা মেট্রোপলিশের হয়ে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে তাসকিনের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে।[২] ব্যক্তিগত দ্বিতীয় টুয়েন্টি২০ খেলায় চিটাগং কিংসের হয়ে অংশগ্রহণ করে দূরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে ৩১ রানে ৪ উইকেট লাভ করেন ও ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।[৩] নিয়মিতভাবে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিংয়ে পারদর্শী তিনি।
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ৪ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে বিসিবি বাংলাদেশ দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।[৪] এতে তিনিও দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। ৫ মার্চ, ২০১৫ তারিখে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ৪র্থ খেলায় তিনি ৪৩ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট দখল করেন। ঐ খেলায় বাংলাদেশ দল বিশাল রান তাড়া করে ৬ উইকেটের কৃতিত্বপূর্ণ জয়লাভ করে।
২০২২ টি২০ বিশ্বকাপ, ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ভারত,২০২৪ টি২০ বিশ্বকাপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন মাত্র ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচত হন।[৬]
বোলিং অ্যাকশন বিতর্ক
বোলিং অ্যাকশন ‘ত্রুটিযুক্ত’ হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হন তাসকিন।[৭] ১৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে আইসিসি কর্তৃপক্ষ আরাফাত সানি ও তাসকিনের বোলিং অবৈধ বলে তাদের ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে তাদের দু’জনেরই কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বেঁকে যায় বলে জানায়। বিশ্বকাপ-টি২০ চলাকালীন তার জায়গায় বাংলাদেশ দলে স্থান পান শুভাগত হোম।
তাসকিনের বোলিং অবৈধ ঘোষণায় বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে সমালোচনায় রূপান্তরিত হয়।[৮] এ নিয়ে সরব প্রতিবাদ করেছেন সাবেক ক্রিকেটাররাও।[৯] সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রীড়ামোদীরা আইসিসির এ সিদ্ধান্ত ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন।[১০] তাসকিনের বোলিং পরীক্ষা নিয়েও গণমাধ্যমে নানা সন্দেহ[১১] প্রকাশিত হয়েছে।
১দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাকে বাদ দিয়ে বদলি হিসাবে শফিউল ইসলামকে ও ২ফিল্ডিং করতে যেয়ে কাঁধে ব্যথা পাওয়ায় তার বদলি হিসাবে ইমরুল কায়েসকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।