এই নিবন্ধটি en ভাষায় লেখা হয়েছে। নিবন্ধটি যদি en ভাষার ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়ে থাকে তবে, অনুগ্রহ করে নিবন্ধটি ঐ নির্দিষ্ট ভাষার উইকিপিডিয়াতে তৈরি করুন। অন্যান্য ভাষার উইকিপিডিয়ার তালিকা দেখুন এখানে।
এই নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনি গুগল অনুবাদ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জাম দ্বারা অনুবাদকৃত লেখা উইকিপিডিয়াতে সংযোজন করবেন না, কারণ সাধারণত এই সরঞ্জামগুলোর অনুবাদ মানসম্পন্ন হয় না।
President Trump and Prime Minister Netanyahu unveiling Peace Plan, Map of proposed Israeli-Palestinian borders, Proposed areas for a Palestinian capital (yellow circles), Conditions to a Palestinian state, President Trump's opening remarks
Peace to Prosperity: A Vision to Improve the Lives of the Palestinian and Israeli People, সাধারণভাবে যা পরিচিত ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা হিসেবে ; হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত সমাধানে একটি প্রস্তাবনা। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে কথিত এই শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করে এমন কেউই সে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল না।[১]
এই পরিকল্পনা তৈরি করার দায়িত্বে ছিলেন ট্রাম্পের জামাতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সিনিয়র উপদেষ্টাজ্যারেড কুশনার.[২] ইসরায়েলের দখল অংশে (পশ্চিম তীর) বসতি স্থাপনবিষয়ক সংস্থা ইয়েশা কাউন্সিল[৩] এবং ফিলিস্তিনি নেতৃবৃন্দ উভয়েই এ পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইয়েশা কাউন্সিল একে প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রকে সুস্পষ্টভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে,[৩] এবং ফিলিস্তিন নেতৃবৃন্দের এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করার যুক্তি হচ্ছে এটি পক্ষপাতমূলক পরিকল্পনা, যা ইসরায়েলের পক্ষে প্রণীত হয়েছে।[১] এই পরিকল্পনাটি দুই ভাগে বিভক্ত। একটি হচ্ছে অর্থনৈতিক অংশ এবং অপরটি হচ্ছে রাজনৈতিক অংশ। ২০১৯ সালের ২২ জুন ট্রাম্প প্রশাসন এ পরিকল্পনার অর্থনীতি দিক প্রকাশ করেন, যার শিরোনাম ছিল "Peace to Prosperity". রাজনৈতিক দিক প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে।[১]
পরিকল্পনাটি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সময় নেতানিয়াহু জানান ইসরাইল সরকার জর্ডান উপত্যকা এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে একীভূত করে নেবেন। ফিলিস্তিনিদের জন্য বরাদ্দ অঞ্চল নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে অন্তত চার বছর আলোচনা করতে পারবে ফিলিস্তিন। ওই চার বছর ফিলিস্তিনিরা এ পরিকল্পনা নিয়ে গবেষণা ও ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যস্থতা করতে পারবে। এভাবেই ফিলিস্তিনিরা অর্জন করবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেই চারবছর সেখানে কোনো বসতি নির্মাণ হবে না। ইসরাইলে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতডেভিড ফ্রায়েডম্যান নিশ্চিত করেন, ট্রাম্প প্রশাসন ইসরাইলকে অনুমতি দিয়েছে যাতে করে তারা একীভূতের কাজ শুরু করে দেয়। ডেমোক্রেট শিবির থেকে রাষ্ট্রপতির জন্য পদপ্রার্থী[৪] এবং ট্রাম্প বিরোধীরা এই একীভূতকরণের তীব্র সমালোচনা করেন এবং পরিকল্পনাটিকে ধুম্রজাল বলে আখ্যায়িত করেন।[৫][৬]
নামকরণ
ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনাকে এর প্রবক্তা, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সংবাদ সম্মেলনে "শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চড়" বলে অভিহিত করেছেন।[৭] এই প্রস্তাবনা সমালোচকরা দ্রুততার সাথে এই শব্দপুঞ্জকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস একে অভিহিত করেছেন শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চপেটাঘাত হিসেবে। [৮]ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সায়েব এরেকাত টুইটে বলেছেন, এই পরিকল্পনা "বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাওতাবাজি" হিসেবে পরিচিত হবে।[৯]দ্য ইকোনমিস্ট একে অভিহিত করেছে "শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চৌর্যবৃত্তি" হিসেবে।[১০]বহু নেতিবাচক মন্তব্যের পর একজন হারেটজ মন্তব্যকারী লিখেছেন এই পরিকল্পনাটি "শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ রসিকতা"।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন "জেরুজালেম বিক্রির জন্য নয়, আমাদের সব অধিকার বিক্রি হবে না এবং এ নিয়ে দর কষাকষিও হবে না এবং আপনাদের চুক্তি, ষড়যন্ত্র পাস করা হবে না।"[১৮]
অঞ্চল এবং সীমানায়
ফিলিস্তিনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস যা গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করে, তারাও এই চুক্তি নাকচ করেছে এবং বলেছে, এর লক্ষ্য হচ্ছে ‘ফিলিস্তিনিদের জাতীয় প্রকল্প নিঃশেষ করে দেওয়া।’
পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ জানুয়ারী সহস্রাধিক ফিলিস্তিনি এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভ করেন।[১৮]
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ জানুয়ারী রাষ্ট্রপতি নেতানিয়াহু জানান পশ্চিম তীরের শতকরা ৩০ ভাগ দখল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে তার। এ বিষয়টি আগামী রোববার (২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রীপরিষদের ভোটে উঠতে পারে। [১৮]
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি রয়টার্স জানায় রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আব্বাসকে ফোন করতে চাইলে, আব্বাস না বলে দেন। পরবর্তীতে আব্বাসকে তিনি চিঠি পাঠাতে চাইলে …আব্বাস তাও প্রত্যাখান করেন।[১৯]
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি সহযোগিতাসহ ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তার সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।[১৯]
↑"Democratic candidates censure Trump peace plan, warn against annexation"। The Times of Israel। জানুয়ারি ২৮, ২০২০। Biden: "This is a political stunt that could spark unilateral moves to annex territory; Warren: "Trump's 'peace plan' is a rubber stamp for annexation"; Buttigieg: "Peace requires both parties at the table. Not a political green light to the leader of one for unilateral annexation.উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑"Opinion: Trump's Israel-Palestine 'deal' has always been a fraud"। Financial Times। জানুয়ারি ২৮, ২০২০। It always looked like a smokescreen to mask the burial of the two-state solution — an independent Palestinian state on the occupied West Bank, and Gaza with Arab East Jerusalem as its capital living in peace alongside Israel — and greenlight the Israeli annexation of most of the West Bank.উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑J Street, IT'S NOT A PEACE PLAN, IT'S AN ANNEXATION SMOKESCREEN, "If there was ever any doubt that the Trump-Netanyahu "peace plan" was anything other than a smokescreen for annexation, it was disabused just moments after the plan's glitzy White House announcement."