জোনাথন ফেলোস-স্মিথ

জোনাথন ফেলোস-স্মিথ
১৯৬০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জোনাথন ফেলোস-স্মিথ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জোনাথন পেইন ফেলোস-স্মিথ
জন্ম(১৯৩২-০২-০৩)৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২
ডারবান, দক্ষিণ আফ্রিকা
মৃত্যু২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩(2013-09-28) (বয়স ৮১)
লাটন, বেডফোর্ডশায়ার, ইংল্যান্ড
ডাকনামপম পম
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কএইচ ফেলোস-স্মিথ (পিতা), জি পেইন (কাকা), সি পেইন (কাকা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৯৯)
৯ জুন ১৯৬০ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৮ আগস্ট ১৯৬০ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৯৪
রানের সংখ্যা ১৬৬ ৩৯৯৯
ব্যাটিং গড় ২৭.৬৬ ২৯.৪০
১০০/৫০ ০/০ ৫/২১
সর্বোচ্চ রান ৩৫ ১০৯*
বল করেছে ১১৪ ৯৪৭২
উইকেট - ১৪৯
বোলিং গড় - ২৯.৬২
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং - ৭/২৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/- ৬৯/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

জোনাথন পেইন ফেলোস-স্মিথ (ইংরেজি: Jonathan Fellows-Smith; জন্ম: ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ - মৃত্যু: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩) ডারবান এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের সূচনালগ্নে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভাল এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ার, হার্টফোর্ডশায়ার, মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন পম পম ফেলোস-স্মিথ নামে পরিচিত জোনাথন ফেলোস-স্মিথ

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

আক্রমণধর্মী ডানহাতি মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ও কার্যকর ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার ছিলেন জোনাথন ফেলোস-স্মিথ। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করলেও ইংল্যান্ডের মাটিতে ক্রিকেট খেলায় হাতেখড়ি ঘটে তার। ডারবান হাই স্কুলে বিদ্যালয় জীবন সম্পন্ন করেন। ১৯৫৩ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো খেলেন। ঐ মৌসুমে তিনি ব্লুধারী হন ও পরের দুই বছর অল-রাউন্ডারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন।

১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত জোনাথন ফেলোস-স্মিথের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। শক্তিধর ও হাল না ছাড়ার অধিকারী ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে অফের দিকেই তিনি খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। এছাড়াও, লেগ সাইডে সুইপ খেলতে পারতেন। অক্সফোর্ড থেকে তিনবার ক্রিকেটে ও একবার রাগবিতে ব্লুধারী হন।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করার পরও ইংল্যান্ডে অবস্থান করতে থাকেন। ১৯৫৭ সালে নর্দাম্পটনশায়ারের নিয়মিতভাবে পক্ষে খেলতে থাকেন। অভিষেক খেলাতেই ১০৯ ও অপরাজিত ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন। ৩১.৯৬ গড়ে ৮৬৩ রান ও লেগ স্পিন বোলিংয়ে ৩২ উইকেট পান। এ পর্যায়ে দলটি তাদের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের ইতিহাসে পয়েন্ট তালিকায় সর্বোচ্চ অবস্থান হিসেবে পুনরায় দ্বিতীয় স্থানে চলে আসে।

দেশে প্রত্যাবর্তন

১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে নিজদেশে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশ নেন তিনি। ট্রান্সভালের পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলতে শুরু করেন। পরের মৌসুমে দুইটি শতরানের ইনিংস সহযোগে ৭৩.১৪ গড়ে ৫১২ রান তুলেন। এরফলে, ১৯৬০ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে দলে রাখা হয়।[]

১৯৬০ সালে ইংল্যান্ড সফরের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনি আর একটিমাত্র প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। ইংল্যান্ডে ফ্রি ফরেস্টার্সের পক্ষে দুইটি খেলেন তিনি তার সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় দলের বিপক্ষে। ১৯৬৬ সালে মাইনর কাউন্টিজে হার্টফোর্ডশায়ারের পক্ষে খেলেছেন। এছাড়াও, রাগবি ইউনিয়নের খেলোয়াড় হিসেবে অক্সফোর্ড থেকে ব্লুধারী হন। সব মিলিয়ে ৯৪টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন তিনি। তন্মধ্যে, মাত্র ১৪টি খেলা দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জোনাথন ফেলোস-স্মিথ। সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ৯ জুন, ১৯৬০ তারিখে বার্মিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৮ আগস্ট, ১৯৬০ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

অংশগ্রহণকৃত চার টেস্টের সবকটিই এ সফরে খেলেছিলেন। সামগ্রীকভাবে এ সফরটি কোন স্বার্থকরূপ ধারণ করেনি। খারাপ আবহাওয়া ও ফাস্ট বোলার জিওফ গ্রিফিনের বোলিং ভঙ্গীমা বিতর্কের পর্যায়ে উপনীত হয়। সফরের অধিকাংশ সময়ই তিনি বেশ নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। তবে, সফর শেষে ৮৬৩ রান ও ৩২ উইকেট পেয়েছিলেন। পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের চারটিতে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। তন্মধ্যে, তিন টেস্টে সাত কিংবা আট নম্বরে খেলেন। তবে, ওভালে সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে তিন নম্বরে খেলেন তিনি। অধিকাংশ ইনিংসেই সুন্দরভাবে সূচনা করেন। তবে, সর্বোচ্চ রান করেছিলেন মাত্র ৩৫। বল হাতে নেবারও খুব কম সুযোগ পান ও কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন।[]

তার পিতা এইচ ফেলোস-স্মিথ নাটালের পক্ষে খেলেছিলেন। ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে ৮১ বছর বয়সে নাটাল এলাকায় জোনাথন ফেলোস-স্মিথের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

  1. "First-class batting and fielding in each season by Jonathan Fellows-Smith"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৭ 
  2. "South Africans in England, 1960", Wisden 1961, pp. 264-308.

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!