চিলি জাতীয় ফুটবল দল (স্পেনীয়: Selección de fútbol de Chile) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে চিলির প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম চিলির ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা চিলি ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯১৩ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯১৬ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনমেবলের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯১০ সালের ২৭শে মে তারিখে, চিলি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে চিলি আর্জেন্টিনার কাছে ৩–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
৪৮,৬৬৫ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট এস্তাদিও নাসিওনাল হুলিও মার্তিনেস প্রাদানোসে লা রোহা নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন রেইনালদো রুয়েদা এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন বোলোনিয়ার মধ্যমাঠের খেলোয়াড় গারি মেদেল।
চিলি এপর্যন্ত ৯ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৬২ ফিফা বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান অর্জন করা, যেখানে তারা যুগোস্লাভিয়াকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে। অন্যদিকে, কোপা আমেরিকায় চিলি অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ২টি (২০১৫ এবং ২০১৬) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও, চিলি ২০১৭ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে রানার-আপ হয়েছে।
আলেক্সিস সানচেজ, গারি মেদেল, ক্লাউদিও ব্রাভো, এদুয়ার্দো বার্গাস এবং আরতুরো ভিদালের। জামরানো ও সালাস মতো খেলোয়াড়গণ চিলির জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
ইতিহাস
চিলি ফুটবল ফেডারেশন হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় প্রাচীন ফুটবল ফেডারেশন, এর ইতিহাস প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো। চিলির বন্দর নগরী ভ্যালপারাইসোতে ১৮৯৫ সালে ১৯শে জুন তারিখে এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ডেভিড স্কট ছিলেন সংস্থাটির প্রথম সভাপতি।[৪]
আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং উরুগুয়ের সাথে চিলি হচ্ছে কনমেবলের চার প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দেশ। এই চারটি জাতীয় ফুটবল সংস্থা মিলেই ১৯১৬ সালের ৯ই জুলাই তারিখে দক্ষিণ আমেরিকার এই ফুটবল সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেছে।[৫] এছাড়া এই তিন দেশের সাথেই চিলি এই অঞ্চলের প্রথম আঞ্চলিক ফুটবল প্রতিযোগিতা দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ অংশগ্রহণ করে, পরবর্তীতে যার নাম হয় কোপা আমেরিকা।
র্যাঙ্কিং
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে চিলি তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৩য়) অর্জন করে এবং ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ৮৪তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে চিলির সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ২য় (যা তারা ২০১৬ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ৫৯। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
- ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং
- বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
প্রতিযোগিতামূলক তথ্য
ফিফা বিশ্বকাপ
ফিফা বিশ্বকাপ |
|
বাছাইপর্ব
|
সাল |
পর্ব |
অবস্থান |
ম্যাচ |
জয় |
ড্র |
হার |
স্বগো |
বিগো |
ম্যাচ |
জয় |
ড্র |
হার |
স্বগো |
বিগো
|
১৯৩০ |
গ্রুপ পর্ব |
৫ম |
৩ |
২ |
০ |
১ |
৫ |
৩ |
আমন্ত্রণের মাধ্যমে উত্তীর্ণ
|
১৯৩৪ |
প্রত্যাহার |
প্রত্যাহার
|
১৯৩৮
|
১৯৫০ |
গ্রুপ পর্ব |
৯ম |
৩ |
১ |
০ |
২ |
৫ |
৬ |
স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তীর্ণ
|
১৯৫৪ |
উত্তীর্ণ হয়নি |
৪ |
০ |
০ |
৪ |
১ |
১০
|
১৯৫৮ |
৪ |
১ |
০ |
৩ |
২ |
১০
|
১৯৬২ |
৩য় স্থান নির্ধারণী |
৩য় |
৬ |
৪ |
০ |
২ |
১০ |
৮ |
আয়োজক হিসেবে উত্তীর্ণ
|
১৯৬৬ |
গ্রুপ পর্ব |
১৩তম |
৩ |
০ |
১ |
২ |
২ |
৫ |
৫ |
৩ |
১ |
১ |
১৪ |
৮
|
১৯৭০ |
উত্তীর্ণ হয়নি |
৪ |
১ |
২ |
১ |
৫ |
৪
|
১৯৭৪ |
গ্রুপ পর্ব |
১১তম |
৩ |
০ |
২ |
১ |
১ |
২ |
৫ |
৩ |
১ |
১ |
৬ |
২
|
১৯৭৮ |
উত্তীর্ণ হয়নি |
৪ |
২ |
১ |
১ |
৫ |
৩
|
১৯৮২ |
গ্রুপ পর্ব |
২২তম |
৩ |
০ |
০ |
৩ |
৩ |
৮ |
৪ |
৩ |
১ |
০ |
৬ |
০
|
১৯৮৬ |
উত্তীর্ণ হয়নি |
৯ |
৫ |
২ |
২ |
১৮ |
১২
|
১৯৯০ |
৪ |
২ |
১ |
১ |
৯ |
৪
|
১৯৯৪ |
নিষিদ্ধ |
নিষিদ্ধ
|
১৯৯৮ |
১৬ দলের পর্ব |
১৬তম |
৪ |
০ |
৩ |
১ |
৫ |
৮ |
১৬ |
৭ |
৪ |
৫ |
৩২ |
১৮
|
২০০২ |
উত্তীর্ণ হয়নি |
১৮ |
৩ |
৩ |
১২ |
১৫ |
২৭
|
২০০৬ |
১৮ |
৫ |
৭ |
৬ |
১৮ |
২২
|
২০১০ |
১৬ দলের পর্ব |
১০ম |
৪ |
২ |
০ |
২ |
৩ |
৫ |
১৮ |
১০ |
৩ |
৫ |
৩২ |
২২
|
২০১৪ |
৯ম |
৪ |
২ |
১ |
১ |
৬ |
৪ |
১৬ |
৯ |
১ |
৬ |
২৯ |
২৫
|
২০১৮ |
উত্তীর্ণ হয়নি |
১৮ |
৮ |
২ |
৮ |
২৬ |
২৭
|
২০২২ |
অনির্ধারিত |
অনির্ধারিত
|
মোট |
৩য় স্থান নির্ধারণী |
৯/২১ |
৩৩ |
১১ |
৭ |
১৫ |
৪০ |
৪৯ |
১৪৭ |
৬২ |
২৯ |
৫৬ |
২১৮ |
১৯৪
|
অর্জন
শিরোপা
- ফিফা বিশ্বকাপ
- দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ/কোপা আমেরিকা
- চ্যাম্পিয়ন (২): ২০১৫, ২০১৬
- রানার-আপ (৪): ১৯৫৫, ১৯৫৬, ১৯৭৯, ১৯৮৭
- তৃতীয় স্থান (৫): ১৯২৬, ১৯৪১, ১৯৪৫, ১৯৬৭, ১৯৯১
- তৃতীয় স্থান (১১): ১৯১৬, ১৯১৭, ১৯১৯, ১৯২০, ১৯২৪, ১৯৩৫, ১৯৩৯, ১৯৪৭, ১৯৫৩, ১৯৯৯, ২০১৯
- ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ
- প্যানআমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ
|
অন্যান্য
|
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ