চিং হ্লা মং চৌধুরী মারি স্টেডিয়াম, ১৯৮০ সালে নির্মিত[১] বাংলাদেশের একটি জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটি রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি পৌরসভায় প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত, তবে রাঙ্গামাটি জেনারেল (সরকারি) হাসপাতাল সড়কের উত্তরে স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশদ্বার রয়েছে। এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস সমূহে কুচকাওয়াজ ও জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া যেমনঃ ফুটবল, ক্রিকেট[২], রাগবী[৩], কাবাডি[৪], ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ[৫] কার্যক্রম ও কনসার্ট[৬] অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমত এই ভেন্যুটি রাঙ্গামাটি জেলা স্টেডিয়াম নামে তৈরি হলেও পরবর্তীতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক ০৫ ডিসেম্বর, ২০১২ তারিখে নাম পরিবর্তন করে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত, তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান ফুটবল দলের অধিনায়ক[৭] প্রয়াত ফুটবলার চিং হ্লা মং চৌধুরী মারীর নামে পরিবর্তন করা হয়[৮][৯]। স্টেডিয়ামটি রাঙ্গামাটি জেলার দ্বিতীয় স্টেডিয়াম। প্রথম স্টেডিয়ামটি রাঙ্গামাটি পৌরসভার রিজার্ভ বাজারে অবস্থিত শহীদ শুক্কুর স্টেডিয়াম[৮][৯]। বাংলাদেশের অন্যান্য সকল ক্রীড়া ভেন্যুর মতই এই স্টেডিয়ামটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত[১০] ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
১৯৮০ সালে এই স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০০ সালে পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন গ্যালারি নির্মাণ করা হয়।[১][১১]
স্টেডিয়ামের উত্তর ও দক্ষিণ গ্যালারি গোলাকার, তবে মাঠটি আয়তাকার যা অ্যাথলেটিক ট্র্যাক বসানোর উপযোগী। স্টেডিয়ামের দক্ষিণ অংশে একটি টিনের ছাউনিসহ প্যাভিলিয়ন রয়েছে। গ্যালারি কংক্রিট নির্মিত। স্টেডিয়ামের উত্তর-পশ্চিমাংশে ক্রীড়াবিদদের শরীর চর্চা ও ইন্ডোর খেলাধুলার জন্য একটি জিমনাসিয়াম রয়েছে যা অধ্যাপক কুমার সমিত রায়ের নামে পরিচিত। এই জিমনাশিয়ামে জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন ইন-ডোর স্পোর্টস যেমন- জিমন্যাস্টিকস[১২], ব্যাডমিন্টন, জুডো, কারাতে, তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়।
লিমিটেড
এই ভেন্যুতে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে:
২০১৪-২০১৬ এর মধ্যে স্টেডিয়ামটির গ্যালারি সংস্কার, পুরনো ভবন সংস্কার, জিমনেসিয়াম সংস্কার করা হয়েছে।[১] ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই স্টেডিয়ামের ২০০ ফুট 'এপ্রোচ' সহ ১০০ ফুট গ্যালারি বর্ধিত করার জন্য ২০১৬-২০১৯ মেয়াদে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে।[৩৬] বর্তমানে স্টেডিয়ামটির পুর্নাঙ্গ গ্যালারি নির্মিতব্য অবস্থায় রয়েছে।[৩৭]
বর্তমানে স্টেডিয়ামের গ্যালারি ৬০০০ দর্শক ধারণ করতে পারে।[১] তবে স্টেডিয়ামের মাঠে কনসার্ট বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলে গ্যালারির ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত লোক সমাগম হয়।