চার্লি ম্যাকলিওড
আনুমানিক ১৯০০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে চার্লি ম্যাকলিওড |
|
পূর্ণ নাম | চার্লস এডওয়ার্ড ম্যাকলিওড |
---|
জন্ম | (১৮৬৯-১০-২৪)২৪ অক্টোবর ১৮৬৯ স্যান্ড্রিজ, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া |
---|
মৃত্যু | ২৬ নভেম্বর ১৯১৮(1918-11-26) (বয়স ৪৯) টুরাক, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম |
---|
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার |
---|
সম্পর্ক | বব ম্যাকলিওড (ভ্রাতা) ড্যানিয়েল ম্যাকলিওড (ভ্রাতা) |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬৭) | ১৪ ডিসেম্বর ১৮৯৪ বনাম ইংল্যান্ড |
---|
শেষ টেস্ট | ১৪ আগস্ট ১৯০৫ বনাম ইংল্যান্ড |
---|
|
---|
|
প্রতিযোগিতা |
টেস্ট |
এফসি |
---|
ম্যাচ সংখ্যা |
১৭ |
১১৪ |
রানের সংখ্যা |
৫৭৩ |
৩৩২১ |
ব্যাটিং গড় |
২৩.৮৭ |
২১.২৮ |
১০০/৫০ |
১/৪ |
২/১৭ |
সর্বোচ্চ রান |
১১২ |
১১২ |
বল করেছে |
৩৩৭৪ |
২০১৫০ |
উইকেট |
৩৩ |
৩৩৫ |
বোলিং গড় |
৪০.১৫ |
২৪.২৫ |
ইনিংসে ৫ উইকেট |
২ |
২২ |
ম্যাচে ১০ উইকেট |
০ |
৪ |
সেরা বোলিং |
৫/৬৫ |
৭/৩৪ |
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং |
৯/০ |
৬২/০ | |
|
---|
|
চার্লস এডওয়ার্ড ম্যাকলিওড (ইংরেজি: Charlie McLeod; জন্ম: ২৪ অক্টোবর, ১৮৬৯ - মৃত্যু: ২৬ নভেম্বর, ১৯১৮) ভিক্টোরিয়ার স্যান্ড্রিজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯৪ থেকে ১৯০৫ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন চার্লি ম্যাকলিওড।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
নরম্যান ম্যাকলিওড ও জানেট দম্পতির সন্তান তিনি। তার আরও চার ভাই ছিল। ১৮৯৩-৯৪ মৌসুম থেকে ১৯০৫ সাল পর্যন্ত চার্লি ম্যাকলিওডের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সেরা অল-রাউন্ডার হিসেবে যে-কোন একাদশে নিঃসন্দেহে ঠাঁই করে নিতে পারতেন। অতি সতর্কতার সাথে নিশ্ছেদ্র রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমায় ব্যাট হাতে মাঠে নামতেন। তবে, খেলার ভঙ্গীমা সুন্দর ছিল না। চার্লি ম্যাকলিওড ধৈর্যশীল ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এছাড়াও, নিখুঁতমানের বোলার ছিলেন তিনি।
১৮৯৩ থেকে ১৯০৫ সময়কালে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছেন। এ সময়কালে অনেকগুলো বছর ভিক্টোরিয়া একাদশের সদস্য হিসেবে আন্তঃরাজ্যীয় খেলায় অংশ নেন। বধিরতার কারণে তার ফিল্ডিং ও উইকেটের প্রান্তে বদলে বিরূপ প্রভাব পড়ে।[১] ১৮৯৬ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে ১০০ রান সংগ্রহ করেছিলেন চার্লি ম্যাকলিওড।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সতেরোটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন চার্লি ম্যাকলিওড। ১৪ ডিসেম্বর, ১৮৯৪ তারিখে সিডনিতে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৪ আগস্ট, ১৯০৫ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৮৯৭-৯৮ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে ইংরেজ দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে। প্রথম টেস্টে নো-বলে আউট হন। আম্পায়ার নো-বল ডাকলেও তিনি শুনতে পাননি। উইকেট ছেড়ে চলে আসেন তিনি। ফলশ্রুতিতে, উইকেট-রক্ষক বিল স্টোরার তাকে রান-আউট করেন।[২] ১৮৯৮ সালে নববর্ষের দিনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আয়োজন করা হয়। মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে ২৪৫ মিনিটে ১১২ রান তুলেন। এটিই তার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র শতরানের ঘটনা ছিল। এছাড়াও, খেলায় এটি একমাত্র শতরান ছিল। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দল ঐ খেলায় ইনিংস ব্যবধানে জয় তুলে নেয়।[৩] ১৮৯৭-৯৮ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজই তার সেরা টেস্ট সিরিজ ছিল। এ সিরিজে ৫৮.৬৬ গড়ে ৩৫২ রান তুলেছিলেন।[৪]
ইংল্যান্ড গমন
১৮৯৯ ও ১৯০৫ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৮৯৯ সালের সফরে দলের অনেক সেরা ব্যাটসম্যানদের ভীড়ে তিনি ঢাকা পড়ে যান। তাসত্ত্বেও, ১৭ গড়ে ৫৪৫ রান তুলেছিলেন। সফরকারী দলটি এতোটাই শক্তিধর ছিল যে, পাঁচ টেস্টের ঐ সিরিজে তিনি মাত্র একটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। ওভালের ঐ টেস্টে অপরাজিত ৩১ ও ৭৭ রান তুলেন। বেশ ভালোমানের বোলিং করলেও একাশি উইকেট লাভে বেশ রান খরচ করতে হয়।
১৯০৫ সালে দ্বিতীয়বার ইংল্যান্ড গমনে আসেন। তবে, উভয় সফরেই তেমন সফলতা পাননি। ১৯০৫ সালের সফরেও তাকে একইমানের ক্রিকেটার হিসেবে দেখা যায়। ৭২২ রান ও একানব্বুই উইকেট লাভ করেন। তবে এ সফরে পাঁচ টেস্টের সবকটিতেই তার সপ্রতিভ অংশগ্রহণ ছিল। এবারও তিনি তেমন কিছু করতে পারেননি।
২৬ নভেম্বর, ১৯১৮ তারিখে ৪৯ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়ার টুরাক এলাকায় চার্লি ম্যাকলিওডের দেহাবসান ঘটে। তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বব ম্যাকলিওড অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৬ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। তার তুলনায় নিজ ভাই কম পরিচিত ছিলেন। ১৮৯৯ ও ১৯০৫ সালে তার ভাই ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ