খালেদ মাহমুদ সুজন (জন্ম: ২৬ জুলাই ১৯৭১; ঢাকা) একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। তিনি মিডিয়াম-পেস বোলার এবং মিডল-অর্ডারের ব্যাটসম্যান। ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ দলে খেলেছেন এবং ২০০৩ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।[১] তার ক্রিকেটীয় অলরাউন্ডার দক্ষতার জন্য, তিনি তার সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে যোদ্ধা হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ২০১৮ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রযুক্তি পরিচালক হিসাবে কাজ শুরু করেন।
আশির দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মাধ্যমে উঠে আসা একজন তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান হালিম শাহ্ এর সাথে ২০০০-২০০১ সিজনে ঢাকা মেট্রোপলিসের হয়ে জাতীয় লীগে অভিষিক্ত হন খালেদ মাহমুদ সুজন। দুজনই পরে খেলেছেন ঢাকা বিভাগের হয়ে। হালিম শাহ্ একদিন আবিষ্কার করেছিলেন সুজন তার দুঃসম্পর্কের চাচা হন, সেই থেকে হালিম শাহ্ মাঠের ভেতর এবং বাইরে তাকে “চাচা” ডাকা শুরু করেন, তার দেখাদেখি আশরাফুল এবং অন্য ক্রিকেটাররাও সুজনকে চাচা ডাকতে শুরু করলেন।
এ তালিকাভুক্ত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলায় ভাওয়ালপুরের বিপক্ষে ১৪৫ রানে অপরাজিত থেকে তিনি তার একমাত্র শতকটি অর্জন করেন। এটি করার সময় তিনি মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সাথে ৫ম উইকেটে এ তালিকাভুক্ত ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন (২৬৭*)।[২][৩]
ঘরোয়া ক্রিকেটে একজন অলরাউন্ডার হলেও, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি বোলিংয়ে বেশি সাফল্য পান। ১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারাতে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এই খেলায় তিনি ২৭ রান করেন ও ১০ ওভারে ৩১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট লাভ করেন; এর জন্য তিনি ম্যাচসেরার পুরস্কার পান।[৪] ২০০৩-০৪ সালে মুলতানে পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে তিনি ৩৭ রানে ৪ উইকেট এবং ৬৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন।[৫]
২০০৬ সালে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন এবং শেষ ম্যাচে সম্মানজনক ৩৬ রান করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ ও পরে প্রধান কোচ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এখন তিনি বোর্ডের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।