ক্রেগ জন ম্যাকডারমট (ইংরেজি: Craig John McDermott; জন্ম: ১৪ এপ্রিল, ১৯৬৫) কুইন্সল্যান্ড প্রদেশে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ও কোচ। ১৯৮৭ সালে ভারত-পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ৪র্থ বিশ্বকাপ ক্রিকেটপ্রতিযোগিতায় বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম খেলোয়াড় ছিলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি সর্বাধিক ১৮ উইকেট লাভ করেছিলেন। সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৪ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করেন ‘বিলি’ ডাকনামে পরিচিত ক্রেগ ম্যাকডারমট।
বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রিকেট দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮০-এর দশকের শেষার্ধ্ব থেকে ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের অন্যতম পুরোধা ছিলেন তিনি। তার সন্তান বেন ম্যাকডারমট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ও অ্যালিস্টার ম্যাকডারমট কুইন্সল্যান্ডের পক্ষে খেলছেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
ছন্দময় বোলার হিসেবে সবিশেষ পরিচিতি রয়েছে ম্যাকডারমটের। ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে কুইন্সল্যান্ড বুলসের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন তিনি। ১৯৮৫ সালে প্রথম অ্যাশেজ সফরে যান ও ৩০ উইকেট লাভ করেন; কিন্তু বোলিংয়ে অধিক রান দেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই তিনি অধিক সফল ছিলেন। শেষ অ্যাশেজ সফরে ৩২ উইকেট পান।
টেস্ট ও ওডিআইয়ে যে-কোন কুইন্সল্যান্ডীয় ক্রিকেটারের তুলনায় তিনি সর্বাধিক উইকেট লাভের রেকর্ড গড়েছেন। অন্য কুইন্সল্যান্ডীয় মিচেল জনসন দেড়শতাধিক টেস্ট উইকেট পেয়েছেন।[১][২]
কোচিং জীবন
অসময়ে আঘাতপ্রাপ্তিজনিত কারণে ১৯৯৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর এবং ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে যোগ দিতে ব্যর্থ হন। এছাড়াও তিনি ১৯৯৩ সালে অ্যাশেজ সফরে যেতে পারেননি; ফলে শেন ওয়ার্ন ও মার্ভ হিউজ তার অনুপস্থিতিতে দলে পাকাপোক্তভাবে স্থান করে নেন।
১২ মে, ২০১১ তারিখে ঘোষণা করা হয় যে তিনি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের নতুন বোলিং কোচ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তিনি ট্রয় কুলি’র স্থলাভিষিক্ত হন।[৩] এর এক বছর পর ১১ মে, ২০১২ তারিখে ম্যাকডারমট এ পদ ত্যাগ করেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন যে, অনেক বিদেশ সফরই এর মূল কারণ।[৪] এরপর ক্রেগ ম্যাকডারমট নতুন বোলিং কোচ হিসেবে মনোনীত হন ও আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দলের পরামর্শক নিযুক্ত হন।[৫]
নভেম্বর, ২০১২ সালে তিনি ফাস্ট-বোলিং ক্লিনিকের একটি প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনের ঘোষণা দেন।[৬]