কোসেম সুলতান (উসমানীয় তুর্কি: كوسم سلطان, আধ্বব: [cœˈsæmsuɫˈtan]) (আনু. ১৫৮৯[১] – ২ সেপ্টেম্বর ১৬৫১ [৭]) তিনি মাহপেকার সুলতান নামেও পরিচিত ছিলেন।[৮][৫] (তুর্কি উচ্চারণ: [mahpejˈkæɾsuɫˈtan]; ফারসি শব্দ ماه پيكر মাহপেকার অর্থ "চাঁদের মতো মুখ") [৯] তিনি ক্ষমতা লাভ ও রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন যখন থেকে তিনি সুলতান প্রথম আহমেদের (রাজত্বকাল:১৬০৩-১৬১৭)।কোসেম সুলতান ছিলেন সম্রাজ্যের সবচেয়ে ধনী নারী। তিনি একাধিক ওয়াকফ পরিচালনা করতেন।তিনি বিপুল অংকের ভাতা গ্রহণ করেছেন এবং প্রচুর দান করে গেছেন।তাকে অনেকে ক্ষমতালোভী হিসেবেও অভিহিত করে থাকে।কিন্তু,তুর্কিরা তাকে এখনো অনেক সম্মান করে।
কোসেম ছিলেন গ্রিক বংশোদ্ভূত,[১১] টিনোস দ্বীপে গ্রিক অর্থোডক্স পুরোহিতের মেয়ে যার প্রথম নাম ছিল আনাস্তাসিয়া।[১২][১৩][১৪]
যদিও সাফিয়ে সুলতান (পূর্বসূরী) সাতজন শাসকের রাজত্ব দেখেছিলেন কিন্তু তিনি সুলতান আহমেদের শাসনের প্রাথমিক সময়গুলো পর্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। অন্যদিকে কোসেম সুলতান আমৃত্যু সাম্রাজ্যের কার্যকরী শাসকের ভূমিকা পালন করেন ।
তিনি একাধিক ওয়াকফ পরিচালনা করতেন। আশ্রয়হীনদের আশ্রয় দিতেন এবং প্রতিদিন ২০০০০ জনের খাদ্য ওয়াকফ থেকে বরাদ্দ হতো৷তাই সকল প্রজা ও জেনিসেরিদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন।
পুত্র চতুর্থ মুরাদ ও নাবালক নাতি চতুর্থ মুহাম্মদের সময় তিনি নায়েব হিসেবে প্রত্যক্ষভাবে উসমানীয় সালতানাত শাসন করতেন। তবে এসব করতে গিয়ে নিজ পুত্রদের সাথে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং ফলে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে জানা যায়। অবশেষে নাতি চতুর্থ মেহমেদের শাসনকালে তার মা ও প্রাক্তন সুলতান ইব্রাহিমের হাসেকি তুরহান সুলতান এর সাথে কোসেম সুলতান ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন এবং এক পর্যায়ে তাকে তোপকাপি প্রাসাদ এর ভেতর হত্যা করা হয়। মৃত্যুর পর সেদিন রাতেই গোপনে তার লাশ পুরনো প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এরপর সুলতান আহমেদের পাশে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে পুরো সম্রাজ্যে শোক নেমে আসে।প্রজারা প্রাসাদের বাইরে বিক্ষোভ করতে থাকে। রাজধানীতে ৩ দিন অথবা ৩০ দিন শোক পালন করা হয়।
কোসেম সুলতানের দুজন পুত্র যারা সুলতান হয়েছিলেন: বামের জন চতুর্থ মুরাদ এবং ডানের জন ইব্রাহিম
তথ্যসূত্র
↑ কখBaysun, M. Cavid, s.v. "Kösem Walide or Kösem Sultan" in The Encyclopaedia of Islam vol. V (1986), Brill, p.272
↑ কখগঘঙচছSingh, Nagendra Kr (২০০০)। International encyclopaedia of Islamic dynasties (reproduction of the article by M. Cavid Baysun "Kösem Walide or Kösem Sultan" in The Encyclopaedia of Islam vol V)। Anmol Publications PVT। পৃষ্ঠা 423–424। আইএসবিএন81-261-0403-1। Through her beauty and intelligence, Kösem Walide was especially attractive to Ahmed I, and drew ahead of more senior wives in the palace. She bore the sultan five sons –Mehmed, Murad, Süleyman, Ibrahim and Kasim – and five daughters – 'Ayşe, Fatma and Djawharkhan, Hanzade and Atike. These daughters she subsequently used to consolidate her political influence by strategic marriages to different viziers.
Lucienne Thys-Senocak, ''Ottoman Women Builders'' (Aldershot: Ashgate 2006).
Piterberg, Gabriel (২০০৩)। An Ottoman Tragedy: History and Historiography at Play। California: University of California Press। পৃষ্ঠা ২৭১। আইএসবিএন0-520-23836-2।