আর্থার উড
|
|
পূর্ণ নাম | আর্থার উড |
---|
জন্ম | (১৮৯৮-০৮-২৫)২৫ আগস্ট ১৮৯৮ ফ্যাগলে, ব্রাডফোর্ড, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড |
---|
মৃত্যু | ১ এপ্রিল ১৯৭৩(1973-04-01) (বয়স ৭৪) মিডলটন, ইকলি, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩০৪) | ২০ আগস্ট ১৯৩৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া |
---|
শেষ টেস্ট | ১৯ আগস্ট ১৯৩৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
---|
|
---|
|
|
|
---|
|
আর্থার উড (ইংরেজি: Arthur Wood; জন্ম: ২৫ আগস্ট, ১৮৯৮ - মৃত্যু: ১ এপ্রিল, ১৯৭৩) ব্রাডফোর্ডের ফ্যাগলে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৩৮ থেকে ১৯৩৯ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[২] দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও ডানহাতে ব্যাটিং করতেন তিনি।
কাউন্টি ক্রিকেট
১৯২৭ থেকে ১৯৪৯ সময়কালে পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল আর্থার উডের। এ সময়ে ৪২০টি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।[৩] ডানহাতি ব্যাটসম্যান আর্থার উড ২১.২০ গড়ে ৮৮৪২ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। এ পর্যায়ে একটি শতরান ও ৪৩টি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন। উইকেট-রক্ষণে ৮৮৬টি ডিসমিসাল ঘটিয়েছেন। তন্মধ্যে স্ট্যাম্পিং করেছেন ২৫৫টি। ইয়র্কশায়ারের পক্ষে সর্বসাকুল্যে ৪০৮টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন আর্থার উড।[২]
ইয়র্কশায়ার ও বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার বিল বোস তার দলীয় সঙ্গী ছিলেন। ১৯২৭ মৌসুম শেষে আর্থার ডলফিনের অবসর গ্রহণের পর থেকে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে নিয়মিতভাবে উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। ১৯২৯ সালে ইয়র্কশায়ারের ক্যাপ পরিধান করার সুযোগ লাভ করেন।
তুলনামূলকভাবে আঘাতমুক্ত অবস্থায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন। ১৯৩০-এর দশকে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে উইকেট-রক্ষকের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তন্মধ্যে, ২২৫টি খেলায় একাধারে অংশ নেন। ১৯৩৫ সালে ব্যাট হাতে সফলতম মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন। ১৯৩৫ সালে অধিনায়ক ব্রায়ান সেলার্স ব্রাইটনের খেলায় তাকে জানান যে, তিনি জিমি বিঙ্কসের গড়া রেকর্ড ভঙ্গ করে একাধারে ২২২ খেলায় উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছেন। ঐ মৌসুমেই সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র সেঞ্চুরিটি করেছিলেন। শেফিল্ডে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন। একই মৌসুমে তিনি একমাত্র সহস্রাধিক রানের মাইলফলকে অতিক্রম করেন। প্রথম ইয়র্কশায়ার উইকেট-রক্ষক হিসেবে এ কৃতিত্ব অর্জন করেন। এরপর তিনি পল গিবকে উইকেট-রক্ষণে সুযোগ দিয়েছিলেন।
টেস্ট ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন আর্থার উড। নিজস্ব ৪০তম জন্মদিনের অল্প কয়েকদিন পূর্বে ২০ আগস্ট, ১৯৩৮ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে আর্থার উডের।[২]
শেষমুহুর্তে দলের সদস্য মনোনীত হওয়ায় তাকে লিডস থেকে লন্ডনে ট্যাক্সিযোগে গমন করতে হয়েছিল। ট্যাক্সির ভাড়া গুণতে হয়েছিল £৭ পাউন্ড ১৫ শিলিং। পরে চালককে জানান যে, একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে তিনি ভাড়ার অর্থ গুণেছেন; ট্যাক্সি কেনার জন্যে নয়।[১] ৯৫ বল মোকাবেলান্তে ৯২ মিনিটে ৫৩ রান তুলেছেন। ইংল্যান্ডের সংগৃহীত ৯০৩/৭ তুলে বিশ্বরেকর্ডের ঐ খেলায় প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ওভালে লেন হাটন তার ৩৬৪ রান তুলে ৭৭০/৬ তুলে আউট হন। এরপর বিখ্যাত বক্তব্য রাখেন যে, ‘আমি সর্বদাই প্রতিকূল অবস্থায় মাঠে নামি।’ জো হার্ডস্টাফের সাথে সপ্তম উইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়েন।[৪] এ বছরেই তিনি তার বাদ-বাকী তিন টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন। এ টেস্টগুলোই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বেকার সর্বশেষ টেস্টে খেলা ছিল।
অর্জনসমূহ
ঘরোয়া ক্রিকেটে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৩৯ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন।[৪] ৮-১১ জুলাই, ১৯৩৯ তারিখে ব্রাডফোর্ডের পার্ক এভিনিউতে ইয়র্কশায়ার বনাম মিডলসেক্সের মধ্যকার খেলায় আর্থিক সুবিধা গ্রহণের জন্যে মনোনীত হন।[৫] আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলায় £২৫৬৩ পাউন্ড-স্টার্লিং লাভ করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
গল্ফ খেলায়ও পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। পঞ্চাশ বয়সে এসেও বিলিয়ার্ড ও স্নুকার খেলতেন। ব্রিজ থেকে শুরু করে স্ন্যাপ পর্যন্ত কার্ড খেলতেন আর্থার উড।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন আর্থার উড। দীর্ঘ ২০ বছর স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে যেতেন। ১৯৭৩ সালে পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের মিডলটনে ৭৪ বছর বয়সে আর্থার উডের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ