শাহজালাল সার কারখানা হল বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ সার কারখানা।[২] এটা সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় জনগুরুত্বপূর্ণ তজমুল আলী চত্বর হইতে দেড় কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।[৩] এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।[১][৪] চীন সরকারের সহযোগিতায় প্রায় ৩ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণসহ মোট ৫ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্ভোধন করা হয়।[৫]
ইতিহাস
১৯৭৬ সালে পি.০.২৭-এর ২য় সংশোধনীর মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ পেপার এবং বোর্ড কর্পোরেশন’, ‘বাংলাদেশ ফিটার’, ‘রাসায়নিক এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কর্পোরেশন’ এবং ‘বাংলাদেশ ট্যানারি কর্পোরেশন’কে একত্রে সংযোগ করে দেশের ইন্ডাস্ট্রি খাতে সবথেকে বড় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) গঠন করা হয়। বর্তমানে বিসিআইসির ১৩টি প্রতিষ্ঠান সক্রিয় আছে যার মধ্যে ৬টিই হচ্ছে ইউরিয়া সার কারখানা। এই ৬টি ইউরিয়া সার কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ২৩ কোটি এমটি। পুরনো হয়ে যাওয়ার কারণে ৬টি সার কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে। বর্তমানে ইউরিয়া সারের চাহিদা প্রতিবছর এক মৌসুমে শুধু ৩০ লাখ এমটি। এই চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এ চাহিদা মেটানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফেঞ্চুগঞ্জে শাহজালাল সার কারখানা নামে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন, শক্তি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব সার কারখানা নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়, যার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫,৮০,৮০০ এমটি।
এটা আশা করা হয়েছিল যে কারখানাটি ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে টার বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে। শাহজালাল সার প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর প্রতিবছর বিদেশ থেকে ৫,৮০,৮০০ এমটি ইউরিয়া সার আমদানি কমে যাবে, ফলে, কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। তাছাড়া, কারখানায় উৎপন্ন ইউরিয়া সার ব্যবহারের ফলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং উৎপন্ন সার খাদ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তথ্যসূত্র
|
---|
ইতিহাস | |
---|
সাহিত্য | |
---|
স্থাপনা | |
---|
আকর্ষণ | |
---|
অর্থনীতি | |
---|
শিক্ষা | |
---|
সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য | |
---|
প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন | |
---|
খাবারদাবার | |
---|
অন্যান্য বিষয় | |
---|
|