লখিমপুর খেরি জেলা লখনউ বিভাগের একটি অংশ, মোট অঞ্চল ৭,৬৮০ বর্গকিলোমিটার (২,৯৭০ মা২)।[১] জাতীয় সরকার ২০০১ সালের আদমশুমারির তথ্যের ভিত্তিতে লখিমপুর খেরিকে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা হিসাবে চিহ্নিত করেছে, যেটি এর জীবনযাত্রার মান এবং সুযোগ-সুবিধার উন্নতির জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজন চিহ্নিত করে।[২][৩]
খেরি একটি শহর, লখিমপুর থেকে ২ কিলোমিটার (১.২ মা) দূরে অবস্থিত। ১৫৬৩ সালে মৃত সৈয়দ খুরদের অবশেষের উপর নির্মিত একটি সমাধি থেকে এই নামটি এসেছে। স্বাধীনতার পূর্বে সমাধিটি ১৮৫৬ সালের XX আইনের অধীনে পরিচালিত হত, এখানে আয় ছিল প্রায় ₹ ৮০০।[৫][৬] অন্য একটি তত্ত্ব থেকে জানা যায় যে নামটি খয়ের গাছ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল, একসময় এই অঞ্চল জুড়ে এই গাছ পাওয়া যেত।
উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত
লখিমপুর খেরির দুধওয়া ব্যাঘ্র সংরক্ষণ স্থলের দুটি মূল অঞ্চল রয়েছে, দুধওয়া জাতীয় উদ্যান[৭] এবং কিশানপুর বন্যজীবন অভয়ারণ্য, যাদের ১৯৮৭ সালে একীকরণ করা হয়েছিল। দুধওয়া জাতীয় উদ্যানটি উত্তরাখণ্ড গঠনের পরে রাজ্যের প্রথম জাতীয় উদ্যান হিসাবে পরিচিত ছিল এবং এটি একটি জাতীয় সুরক্ষিত অঞ্চল। এখানে বাঘ, চিতা, গণ্ডার, শক্ত লোমযুক্ত খরগোশ, হাতি, কালো হরিণ এবং জলাভূমির হরিণ সহ অনেকগুলি বিরল এবং বিপন্ন প্রজাতির বাসস্থান। দুধওয়াতে প্রায় ৪০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে সারস, পানকৌড়ি, চক্রবাক এবং বেশ কয়েকটি প্রজাতির হাঁস, রাজহংস এবং বালি হাঁস। হিমালয় থেকে শীতে সময় কাটাতে এখানে আসা পরিযায়ী পাখিসহ জলের পাখিদের কাছে এর জলাজমি এবং হ্রদ বিশেষ আকর্ষণীয়। "বাঁকে তাল" এ পাখি পর্যবেক্ষণ সাধারণ।[৮]
১৮৬০ সালে এই অঞ্চলে স্যার ডি.বি. ব্র্যান্ডিসের পরিদর্শনের পরে, বর্তমানে দুধওয়া জাতীয় উদ্যানের ৩০৩ কিলোমিটার (১৮৮ মা) বন অঞ্চল সংরক্ষণের জন্য ১৮৬১ সালে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল।[৯] খেরি জেলায়, মোহনা এবং সুহেলি নদীর মধ্যস্থিত খারিগড় পরগনার সমস্ত সাল ও বিভিন্ন বন ও তৃণভূমি তৎকালীন উত্তর খেরি বন বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তথ্যসূত্র
↑ কখগঘ"About Lakhimpur-Kheri"। Official website Lakhimpur-Kheri। National Informatics Centre। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৩।