রোমান সাম্রাজ্যে এগুলো বিভিন্ন খাঁজ,ফাঁকা রাখা এবং লোহা,সোনা,রূপার চেইন যুক্ত করার পদ্ধতি সংযুক্ত করে আরো সুন্দর রূপ দেয়।[৬]
ভারত বর্ষে রূপককাঠিগুলো বিভিন্ন ধরনের জ্যামিতিক আকৃতি লাভ করেছিল।
আর ভাইকিং শিল্প রূপককাঠির সমসাময়িক সব গুলো রূপ এক করে বিভিন্ন সৃজনশীল রূপ দিয়েছিল।[৭]
গোলাকৃতির বা আবদ্ধক রূপককাঠি গুলো পোশাকের ভাঁজ গুছিয়ে রাখতে ব্যবহৃত হতো।হৃদয় ও ফুল আকৃতির রূপককাঠি গুলো ভালবাসা ও বন্ধুত্বেরপ্রতিক হিসেবে উপহার দেয়া ও ব্যবহার হতো।[৮][৯]
আধুনিক যুগ শুরুর সময়ে উপনিবেশ সৃষ্টি ও বিস্তারে রূপককাঠির আধুনিক রূপ সৃষ্টি হয়। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও যুক্তরাজ্য বিভিন্ন উপনিবেশ থেকে রত্নপাথর ও জহরত নিজ দেশে নিয়ে যা রূপককাঠিতেও ব্যবহার করতো।[১১]শিল্প বিপ্লবের এইসময়ে শুধু জ্যামিতিক নকশা কিংবা দামি জহরতের ব্যবহার ছাড়াও জহরতের রং ও পোশাকের রঙে মিলিয়ে রূপককাঠি তৈরী শুরু হয়।
আধুনিক এ যুগে রূপককাঠিতে চাকতি বসিয়ে মানুষের চেহারা, মানচিত্র, নাম ও বিভিন্ন ধরনের উল্কি, প্রাকৃতিক জিনিসের চিহ্ন খচিত হতো।
[১২][১৩]ভিক্টোরিয়ান যুগে (১৮৩৫-১৯০০);
রাজার মহাপ্রয়াণের পর রাণীর শোকসূচক সব ধরনের জহরতের রং ও নকশা করা হতো। রূপককাঠিও তখন শোকসূচক এমন রং পেয়েছিল।[১৪][১৫]
এ সময়ে ইউরোপে খুব জমকালো রঙে জহরত তৈরী হতো। বিশেষত নারী ও স্বর্গ দূতের কাল্পনিক রূপ এবং বিভিন্ন ফুল-পাখি-পাতা আকৃতিতে রূপককাঠি তৈরী হতো।[১৬]
১৯২০-১৯৩১ সালের মধ্যে রূপককাঠি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়। এসময় রূপককাঠি শুধু কিছু প্রচলিত নকশায় তৈরী হতো। এগুলো কিউবিজম,জ্যামিতিক ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের আকৃতি এবং অ্যাবস্টেক আকৃতিতে তৈরী হতো।[১৭][১৮]
বর্তমান সময়ে রূপককাঠির ব্যবহার কমে গেলেও শৈল্পিক নকশার বা বিন্যাসের প্রবণতা একটুও কমেনি। আধুনিক প্রিন্টিং মেশিন,লেজার মেশিন ও প্লাজমা কাটিং প্রভৃতি যন্ত্রের মাধ্যমে নকশা,রঙের ব্যবহারের উত্তর উত্তর আধুনিক বা কাঙ্ক্ষিত অবিকল রূপ সৃষ্টি হচ্ছে।
উৎস
Hellenic Ministry of Culture: Katie Demakopoulou, "Bronze Age Jewellry in Greece"
Graham-Campbell, James (2013). Viking Art. Thames & Hudson Publishing. ISBN 978-0500204191.
Owen-Crocker, Gale R. (2004) [1986]. Dress in Anglo-Saxon England (rev. ed.). Woodbridge: Boydell Press. ISBN 9781843830818.
Owen Crocker, Gale (2011). "Chapter 7: Dress and Identity". In Hamerow, Helena; Hinton, David A.; Crawford, Sally (eds.). The Oxford Handbook of Anglo-Saxon Archaeology. Oxford University Press. pp. 91–116. ISBN 978-1-234-56789-7.
Stoodley, Nick (1999). The Spindle and the Spear: A Critical Enquiry into the Construction and Meaning of Gender in the Early Anglo-Saxon Burial Rite. British Archaeological Reports, British Series 288. ISBN 978-1841711171.
Walton-Rogers, Penelope (2007). Cloth and Clothing in Early Anglo-saxon England AD 450-700. Council for British Archaeology. ISBN 978-1902771540.
Black, J. Anderson (1988). A History of Jewellery: Five Thousand Years. Random House Publishing. ISBN 978-0517344378.
Gregorietti, Guido (1969). Jewelry Through the Ages. American Heritage. ISBN 978-0828100076.
Tait, Hugh (1986). 7000 Years of Jewellery. British Museum. ISBN 978-1554073955.
↑Adams, Sophia Anne (2013). The First Brooches in Britain:from Manufacture to Deposition in the Early and Middle Iron Age (PhD). University of Leicester.