ব্রোঞ্জ যুগ হল মানব সভ্যতার প্রাক ঐতিহাসিক কালের তিনটি প্রধান পুরাতাত্ত্বিক ভাগের (প্রস্তর যুগ, ব্রোঞ্জ যুগ ও লৌহ যুগ) দ্বিতীয় ভাগ। এই সময়কালে আধুনিক মানব ব্রোঞ্জ ধাতু ও চিহ্ন লিপির ব্যবহার করতে শিখেছিল। প্রাথমিক অবস্থার নগর সভ্যতা এই সময়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
ব্রোঞ্জ যুগে তামার আকরিক থেকে তামা আহরণ করে একে টিন, আর্সেনিক বা অন্য ধাতুর সাথে মিশিয়ে মিশ্র ধাতু যেমন ব্রোঞ্জ তৈরি করা হয়েছিল। ব্রোঞ্জের উৎপাদন করা স্থান ও অন্য স্থানের মধ্যে ধাতুগুলির আদান-প্রদান করা চলেছিল। তামা-টিনের আকরিক সহজে পাওয়া যেত না এবং খ্রীষ্টপূর্ব ৩য় সহস্রাব্দে আমদানি না হাওয়ায় পশ্চিম এশিয়াতে এই আকরিকসমূহ ছিল না। তখনকার বিশ্বের প্রায় সকল স্থানে নব্য প্রস্তর যুগের (ইংরেজি) পরে ব্রোঞ্জ যুগের আরম্ভ হওয়ার বিপরীতে কোনো কোনো অঞ্চলে তাম্র যুগ সেই স্থান নিয়েছিল। কিছু স্থানে, নব্য প্রস্তর যুগের পর লৌহ যুগের সূত্রপাত ঘটেছিল।[১]
ইতিহাস
ব্রোঞ্জ যুগের গোটা সময়কালের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্রোঞ্জের ব্যবহার। অবশ্য সকল স্থানে ধাতুগুলির ব্যবহার ও প্রযুক্তির সূচনা এক সময়ে হয়নি।[২] সেই সময়ে ধাতুর বহুল ব্যবহারের সঙ্গে বাণিজ্যও ধীরে ধীরে প্রসার লাভ করেছিল।
↑Bronze was independently discovered in the Maykop culture of the North Caucasus as early as the mid-4th millennium BC, which makes them the producers of the oldest known bronze. However, the Maykop culture only had arsenical bronze, a naturally occurring alloy. Other regions developed bronze and its associated technology at different periods.