মাইকেল পাওয়েল

মাইকেল পাওয়েল
Michael Powell
জন্ম
মাইকেল ল্যাথাম পাওয়েল

(১৯০৫-০৯-৩০)৩০ সেপ্টেম্বর ১৯০৫
মৃত্যু১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০(1990-02-19) (বয়স ৮৪)
পেশাচলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজনা কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা
কর্মজীবন১৯২৫-১৯৮৩
দাম্পত্য সঙ্গী
  • গ্লোরিয়া ম্যারি রোগার
    (বি. ১৯২৭; বিচ্ছেদ. ১৯২৭)
  • ফ্র্যাঙ্কি রেইডি
    (বি. ১৯৪৩; বিচ্ছেদ. ১৯৮৩)
  • থেলমা স্কুনমেকার
    (বি. ১৯৮৪; মৃ. ১৯৯০)

মাইকেল ল্যাথাম পাওয়েল (ইংরেজি: Michael Latham Powell; ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯০৫ - ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০) ছিলেন একজন ইংরেজ চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি এমেরিক প্রেসবার্গারের সাথে যৌথভাবে কাজের জন্য সুপরিচিত। তাদের প্রযোজনা সংস্থা "দ্য আর্চারস" থেকে তারা একসাথে একাধিক ধ্রুপদী ব্রিটিশ চলচ্চিত্র রচনা, প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছিলেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ফোর্টি নাইন্থ প্যারালাল (১৯৪১), দ্য লাইফ অ্যান্ড ডেথ অব কর্নেল ব্লিম্প (১৯৪৩), অ্যা ম্যাটার অব লাইফ অ্যান্ড ডেথ (১৯৪৫, যা স্টেয়ারওয়ে টু হেভেন নামেও পরিচিত), ব্ল্যাক নার্সিসাস (১৯৪৭), দ্য রেড শুজ (১৯৪৮), এবং দ্য টেলস অব হফম্যান (১৯৫১)। তার নির্মিত পরবর্তী চলচ্চিত্র ১৯৬০ সালের বিতর্কিত পিপিং টম, যেটিকে এখন ধ্রুপদী চলচ্চিত্র হিসেবে গণ্য করা হয় এবং প্রথম "স্ল্যাশার" হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। ছবিটি মুক্তির পর এতটাই নিন্দা ছড়িয়ে পড়ে যে তার কর্মজীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[][][]

মার্টিন স্কোরসেজি, ফ্রান্সিস ফোর্ড কোপলা, জর্জ এ. রোমেরোসহ অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতা পাওয়েলকে তাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[] ১৯৮১ সালে তিনি ও তার সহযোগী প্রেসবার্গার ব্রিটিশ ফিল্ম একাডেমির সর্বোচ্চ সম্মাননা বাফটা ফেলোশিপ লাভ করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

পাওয়েল ১৯০৫ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর কেন্টের বেকসবর্নে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার পিতামাতার দ্বিতীয় পুত্র ও সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। তার পিতা টমাস উইলিয়াম পাওয়েল ছিলেন একজন হপ চাষী এবং মাতা ম্যাবেল ছিলেন ইংল্যান্ডের ওরচেস্টারের ফ্রেডরিক করবেটের কন্যা। পাওয়েল ক্যান্টারবারির দ্য কিংস কলেজ এবং পরে ডালউইচ কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি ১৯২২ সালে ন্যাশনাল প্রভিন্সিয়াল ব্যাংকে যোগদান করেন, কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই তিনি ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেন।

কর্মজীবন

পাওয়েল ১৯২৫ সালে চলচ্চিত্র শিল্পে যোগ দেন এবং পরিচালক রেক ইনগ্রামের সাথে ফ্রান্সের নিস শহরে ভিক্টোরাইন স্টুডিওজে কাজ শুরু করেন। তাদের যোগাযোগ হয়েছিল পাওয়েলের পিতার মাধ্যমে, তিনি নিসে একটি হোটেলের মালিক ছিলেন। পাওয়েলের চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয়েছিল সাধারণ স্টুডিও সহায়ক হিসেবে, তথা স্টুডিওর মেঝে পরিষ্কার করা, কফি বানানো, জিনিসপত্র আনা-নেওয়া। অচিরেই তিনি অন্য কাজে জড়িত হয়ে পড়েন, যেমন স্থির চিত্রগ্রহণ, পর্দার জন্য নাম লেখা (নির্বাক চলচ্চিত্রের জন্য), এবং আরও অনেক কাজ, তন্মধ্যে রয়েছে কিছু হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয়। পাওয়েলের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে দ্য ম্যাজিশিয়ান (১৯২৬) চলচ্চিত্রে একজন রম্য ইংরেজ পর্যটকের ভূমিকায়।

তথ্যসূত্র

  1. ইকেল, মার্ক ডি. (২০১৪)। When the Lights Go Down (ইংরেজি ভাষায়)। ওয়েস্টবাউ প্রেস। পৃষ্ঠা ১৬৭। 
  2. ফোরশ, ব্যারি (২০ সেপ্টেম্বর ২০১২)। British Crime Film: Subverting the Social Order (ইংরেজি ভাষায়)। প্যালগ্রেভ ম্যাকমিলান। পৃষ্ঠা ৫৬। আইএসবিএন 978-1-137-18497-9 
  3. ক্রাউস, রিচার্ড (২৬ আগস্ট ২০০৩)। The 100 Best Movies You've Never Seen (ইংরেজি ভাষায়)। ইসিডব্লিউ প্রেস। পৃষ্ঠা ১৬৭। আইএসবিএন 978-1-55490-540-9 
  4. ক্রুক, স্টিভ। "Famous Fans of Powell & Pressburger" (ইংরেজি ভাষায়)। Powell-pressburger.org। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!