ভ্রান্ত ভারসাম্য (ইংরেজিঃ False balance) হচ্ছে একপ্রকার গণমাধ্যম পক্ষপাত; যেখানে সাংবাদিকরা কোনো একটি বিষয়কে নিরপেক্ষভাবে প্রকাশ করতে গিয়ে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ প্রকাশ করার চেয়ে বিরোধীপক্ষের মত উপস্থাপনকে বেশি জোর দেন। এতে করে এক পক্ষের অন্য পক্ষের চেয়ে অত্যধিক রকমের তথ্যপ্রমাণ থাকলেও দুই পক্ষই এক কাতারে নেমে আসে। যা সাধারণ মানুষের সঠিক তথ্য জানার স্পৃহা এবং অধিকারকে বাধাগ্রস্থ করে।
ভ্রান্ত ভারসাম্যকে ভুল তথ্য ছড়ানো নামেও অভিহিত করা হয়।[৩] ভ্রান্ত ভারসাম্য এর একটি উদাহরণ হলঃ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে বিতর্ক; যদিও বৈজ্ঞানিক মহল এক বাক্যে এটা স্বীকার করেছেন যে; বৈশ্বিক উষ্ণায়ন শিল্প বিপ্লবের প্রভাবের ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে[৪][৫][৬][৭] তবুও খুবই স্বল্প সংখ্যক বিজ্ঞানী আছেন, যারা এই ব্যাখ্যাকে অস্বীকার করেন।[৮][৯][১০] যদি উভয় পক্ষের বিজ্ঞানীদের সমান সুযোগ দেওয়া হয় এবং সাধারণ মানুষের কাছে সংখ্যা উল্লেখ না করে, দুই পক্ষের বিজ্ঞানীর তথ্য উপস্থাপন করা হয়; তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে একটা ভুল তথ্য যাবে। তারা ধরেই নিবে বৈজ্ঞানিক মহলের ভিতরে এই বিষয়ে গুরুতর দ্বন্দ্ব বিরাজমান। যখন মোটের উপর বৈজ্ঞানিক মহলে সম্পুর্ণভাবে ধরে নিয়েছে মানুষ কর্তৃক বৈশ্বিক উষ্ণায়ন হচ্ছে।
ভ্রান্ত ভারসাম্য উত্তেজনাকরসন্ধিৎসার মত প্রবৃত্তিমুলক কাজের সাথে সংহতিপুর্ণ হতে পারে। যখন প্রযোজক এবং সম্পাদক যাবেন যদি চলমান বিতর্ককে ঘিরে সত্য এবং মিথ্যা তথ্যকে জগাখিচুড়ি বানিয়ে একটা গল্প তৈরী করা হয়; তাহলে গল্পটি বাণিজ্যিকভাবে বেশি সফল হবে। প্রযোজক এবং সম্পাদক দৃষ্টিকোণকে স্বচ্ছভাবে পরীক্ষণ করতে গিয়ে দ্বিধাগ্রস্থ হতে পারেন। তাদের সীমাবদ্ধ জ্ঞানের ক্ষেত্রের জন্য দুই পক্ষকে নিরপেক্ষভাবে উপস্থাপন করে থাকেন। যদিও এক পক্ষের তথ্য ভুল থাকে; তা তারা ধরতে পারেন না।[১১]