দিলদার আলী ১৯৮০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত, কাজী হায়াৎ পরিচালিত, হাস্যরসাত্মক বাংলাদেশী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।[১] মইনুল হকের প্রযোজনায় নির্মিত মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন টেলি সামাদ ও জুলিয়া।[২] অভিনয়ের পাশাপাশি টেলি সামাদ চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেন।[১] এটি টেলি সামাদের যেকোন চলচ্চিত্রে প্রথম মূখ্য চরিত্র রূপায়ন ছিল।[৩] এটি সেবছরের ব্যবসাসফল ছবিগুলির অন্যতম।[৪]
প্রযোজনা
কাজী হায়াৎ তার প্রথম চলচ্চিত্র দি ফাদার নির্মাণের পর রবীন্দ্রনাথের 'ক্ষুধিত পাষাণ' গল্প অবলম্বনে রাজবাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। অর্ধেক নির্মাণের পর চলচ্চিত্রটির প্রযোজক মইনুল হক ছবিটির প্রযোজনা থেকে সরে যান, এবং অবশিষ্ট বাজেটে এক মাসের মধ্যে নতুন কোন চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য কাজী হায়াৎকে অনুরোধ করেন। রাজবাড়ি অর্ধসমাপ্ত রেখে সত্যজিৎ রায়ের ফটিক চাঁদ অবলম্বনে দিলদার আলী নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়।[২]
কাজী হায়াৎ, দিলদার আলী পরিচালনার আগে কয়েকবার টেলি সামাদকে নায়ক বা মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। টেলি সামাদ রাজী হননি।[৩] কাজী হায়াতের কাছে টেলি সামাদই দিলদার আলীর মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের জন্য আদর্শ শিল্পী ছিলেন।[২] হায়াৎকে নিরুৎসাহিত করার জন্য সামাদ অতিরিক্ত পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন, তাতে হায়াৎ রাজী হয়ে সামাদকে ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ করেন। সামাদ এর আগে চলচ্চিত্রে প্বার্শ চরিত্রে কৌতুকাভিনয় করেছেন, দিলদার আলির মাধ্যমে তিনি প্রথম বার মূখ্যচরিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন।[৩][৫] তার বিপরীতে কোন নায়িকা কাজ করতে রাজী হননি। সামাদের বিপরীতে নৃত্যশিল্পী জুলিয়াকে নেওয়া হয়।[২]
সদ্য পড়া 'ফটিকচাঁদ' গল্পানুসারে তৈরী চিত্রনাট্য থেকে ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একমাসের মধ্যে দিলদার আলী নির্মাণ হয়। সম্পূর্ণ চিত্রগ্রহণ হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের অভ্যন্তরে।[২]
তথ্যসূত্র
|
---|
পরিচালিত চলচ্চিত্র | |
---|
কাহিনী ও চিত্রনাট্য | |
---|