চুল অন্তস্ত্বক বা ত্বকের বহিঃস্তরে অবস্থিত ফলিকল থেকে উৎপন্ন চিকন লম্বা সুতার মতো প্রোটিন তন্তু। শুধু স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে পাওয়া যায় বলে চুল স্তন্যপায়ী প্রাণীর একটি নির্দেশক বৈশিষ্ট্য।[১] চুলের প্রধান উপাদান হচ্ছে কেরাটিন। মানুষ ব্যতীত অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে যে নরম, সুন্দর চুল পাওয়া যায় তাকে "ফার" বা লোম বলে। অন্যদিকে ভেড়া এবং ছাগলের শরীরে উৎপন্ন হওয়া কোঁকড়ানো চুলকে উল বলে। যদিও কিছু অ-স্তন্যপায়ী প্রাণী, বিশেষত পোকা মাকড়ের দেহ থেকে চুলের মত জিনিস বের হয়ে থাকতে দেখা যায়, কিন্তু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেগুলোকে "চুল" বলা হয় না। গাছের গায়ে চুলের মত রোঁয়া বের হয়ে থাকতে দেখা যায়। পোকা-মাকড় এবং মাকড়শার মত অ্যান্থ্রোপড গোত্রের কিছু প্রাণীর শরীরে যে রোঁয়া দেখা যায়, তা চিটিন নামের এক ধরনের পলিস্যাকারাইড। কিছু কিছু কুকুর, বেড়াল এবং ইঁদুর লোমবিহীন হয়। কিছু কিছু প্রজাতির ক্ষেত্রে জীবনচক্রের নির্দিষ্ট সময় শরীরে লোম থাকে না।
বিভিন্ন ধরনের চুল
গঠন ও গুণাগুণ অনুসারে মানুষের প্রধানত ৪ ধরনের চুল হয়ে থাকে। যথা- সোজা বা স্ট্রেইট চুল, ঢেউখেলানো বা ওয়েইবি চুল, কোঁকড়া চুল ও কোমল চুল। চুলের ধরন যেমনই হোক না কেন সৌন্দর্য ঠিক রাখতে ও চুল সিল্কি রাখতে চুলের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।