কেট উইন্সলেট

কেট উইন্সলেট
জন্ম
কেট এলিজাবেথ উইন্সলেট

(1975-10-05) ৫ অক্টোবর ১৯৭৫ (বয়স ৪৯)
পেশাঅভিনেত্রী, গায়িকা
কর্মজীবন১৯৯১—বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গী
  • জিম থ্রিপলেটন (বি. ১৯৯৮; বিচ্ছেদ. ২০০১)
  • স্যাম ম্যান্ডেস (বি. ২০০৩; বিচ্ছেদ. ২০১১)
  • নেড রকনরোল (বি. ২০১২)
সন্তান

কেট এলিজাবেথ উইন্সলেট (জন্মঃ ৯ অক্টোবর, ১৯৭৫) একজন ইংরেজ অভিনেত্রী এবং অনিয়মিত গায়িকা। নিজ পেশাজীবনে বিভিন্ন রকম চরিত্রে রূপদানের জন্য তিনি সুপরিচিত; বিশেষ করে কিছু চলচ্চিত্রে তার অভিনয়শৈলী সমালোচকদের দৃষ্টিতে সংবর্ধিত হয়েছিলো। যেমন: সেন্স এন্ড সেন্সসিবিলিটি-তে মারিয়ান ড্যাশউড, টাইটানিকরোজ ডুয়েটবুকেটর, ইটারনাল সানশাইন অফ দ্য স্পটলেস মাইন্ড-এ ক্লিমেনটাইন ক্রুজিনস্কি, লিটল চিলড্রেন-এ সারাহ পিয়ারস্, রেভ্যুলশনারি রোড-এ এপ্রিল হুইলার এবং দ্য রিডার-এ হ্যানা শিমিট্জ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য।

উইন্সলেট ছয়বার অ্যাকাডেমি পুরস্কার-এর জন্য মনোনীত হয়েছেন এবং দ্য রিডার-এ অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা অভিনেত্রী বিভাগে অ্যাকাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড, ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি অফ ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন আর্টস (বাফটা) এবং হলিউড ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন থেকেও পুরস্কার পেয়েছেন। সেই সাথে তিনি একবার এমির জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন। তার বাইশ বছর বয়সে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ অভিনেত্রী, যিনি দুটো অস্কার মনোনয়ন পেয়েছেন।[] তেত্রিশ বছর বয়সে তিনি হন সর্বকনিষ্ঠ অভিনয়শিল্পী যিনি লিঙ্গ নির্বিশেষে ছয়বার অস্কার মনোনয়ন পেয়েছেন।[]

প্রাথমিক জীবন

উইন্সলেটের জন্ম যুক্তরাজ্যের, বার্কশায়ারের রিডিং-এ। তার মা স্যালি অ্যান (জন্মসূত্রে ব্রিজেস) ছিলেন পানশালার একজন পরিবেশনকারিনী এবং বাবা রজার জন উইন্সলেট ছিলেন একজন সুইমিং পুল ঠিকাদার।[] তার বাবা-মা দুজনই ছিলেন “খুচরো অভিনেতা”, এছাড়াও উইন্সলেট যেমনটি বলেন, “শিক্ষাদীক্ষার সুযোগসুবিধা খুব একটা পাওয়া যায় নি” এবং তাদের অবস্থা ছিলো অনেকটা “দিন আনি দিন খাই”-এর মতো।[] উইন্সলেটের নানা-নানী, লিন্ডা (জন্মসূত্রে প্লাম্ব) ও আর্চিবাল্ড অলিভার ব্রিজেস, রিডিং রির্পেটরি থিয়েটার[] নামে একটি নাট্যদল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং এটা তারাই চালাতেন। তার মামা রবার্ট ব্রিজেসকে ওয়েস্ট এন্ড-এর প্রযোজিত অলিভার! নাটকে দেখা গিয়েছিলো। এবং তার দুই বোন, বেথ উইন্সলেটঅ্যানা উইন্সলেট - উভয়েই অভিনয়শিল্পী।[]

উইন্সলেট বড়ো হন একজন অ্যাঙ্গলিকান হিসেবে। এগারো বছর বয়সে তিনি রেডরুফস থিয়েটার স্কুল[]-এ নাটক বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। বিদ্যালয়টি ছিলো বার্কশায়ার-এর মেইডেনহেড-এ অবস্থিত একটি স্বাধীন বিদ্যালয়। সেখানে সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিলো এবং উইন্সলেট ছিলেন সেখানকার হেড গার্ল, এবং সেখানে অধ্যয়নরত অবস্থায় তাকে প্রথমবারের মতো টেলিভিশনের জন্য নির্মিত একটি বাণিজ্যিক সিরিয়ালে দেখা যায়। সিরিয়ালটির নাম ছিলো সুগার পাফ্স এবং পরিচালনায় ছিলেন টিম পোপ

পেশাজীবন

প্রাথমিক কাজ

টেলিভিশনে অভিনয়ের মাধ্যমে উইন্সলেট তার পেশাজীবন শুরু করেন। তার শুরুটা ছিলো ১৯৯১ সালে, বিবিসি-তে শিশুদের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর ধারাবাহিক ডার্ক সিজন-এ সহঅভিনেত্রী হিসেবে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সালে তাকে দেখা যায় অ্যাঙ্গলো-স্যাক্সন অ্যাটিটিউডস চলচ্চিত্রে, যা টেলিভিশনে সম্প্রচারের জন্য নির্মিত হয়েছিলো। এছাড়া তিনি ১৯৯৩-এ চিকিৎসা বিষয়ক নাটক ক্যাজ্যুয়্যালিটির একটি পর্বেও অভিনয় করেছিলেন। আর এ সব কাজই ছিলো বিবিসি’র জন্য।

১৯৯২-১৯৯৭

২০০৬ সালে টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে উইন্সলেট

১৯৯২ সালে, লন্ডনে, উইন্সলেট পিটার জ্যাকসন-এর হ্যাভেনলি ক্রিয়েচারস চলচ্চিত্রে নির্বাচিত হবার জন্য ডাক পান। তিনি অডিশন দিয়েছিলেন জুলিয়েট হালমে চরিত্রটির জন্য। চরিত্রটি ছিলো একটি প্রাণচঞ্চল ও কল্পনাপ্রবণ কিশোরীর, যে তার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু পলিন পারকার-এর মাকে হত্যা করতে সহায়তা করেছিলো। পলিন পারকার চরিত্রটিতে রূপদান করেছিলেন মেলানি লিনস্কি। অডিশনে অন্য ১৭৫ জন মেয়ের মধ্য থেকে উইন্সলেট নির্বাচিত হন।[] চলচ্চিত্রটি ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় এবং জ্যাকসন ও তাঁর সহকর্মী ফ্র্যান ওয়ালশ শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য বিভাগে অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পান।[] এ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য উইন্সলেট একটি সনি এরিকসন এমপায়ার পুরস্কার এবং একটি লন্ডন সমালোচক গোষ্ঠীর চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[] দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর লেখক ডেসন থম্পসন মন্তব্য করেন: “জুলিয়েট হিসেবে, উইন্সলেট একটি উজ্জল আগুনের গোলা, তাঁর করা প্রতিটি দৃশ্যে সে আলো ছড়িয়েছে।”[] চলচ্চিত্রের পরিবেশ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ উইন্সলেট, তার তখনকার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন: “হ্যাভেনলি ক্রিয়েচারস এ অভিনয়ের সময় আমি যেটুকু জানতাম তা হলো, আমাকে পুরোপুরি ঐ ব্যক্তিটির মতো হয়ে যেতে হবে। এক অর্থে এটি (চলচ্চিত্রটি) ছিলো একটি খুব সুন্দর একটা কাজ এবং যা আমি করেছি কোনো কিছু না জেনেই।”[১০][১১]

২০০১-২০০৬

তার অভিনীত চলচ্চিত্র “আইরিশ” মুক্তি পায় ২০০১ সালে , যার গল্প ঔপন্যাসিক আইরিশ মারডক ও তার স্বামী জন বেয়লির ভালোবাসা নিয়ে । চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন রিচার্ড আয়ার । ২০০৪ সালে মুক্তি পায় চলচ্চিত্র “ফাইন্ডিং নেভারল্যান্ড” , এতে জনি ডেপ এর সাথে তিনি অভিনয় করেন , যা একটি পরিবার ও একজন মানুষের সাথে সেই পরিবার নিয়ে গল্প । ছবিটি পরিচালনা করেন মার্ক ফরস্টার ।“ইটারনাল সানসাইন অফ স্পটলেস মাইন্ড” চলচ্চিত্রে কেট অভিনয় করেন জিম ক্যারির সাথে । ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটির গল্প লেখেন –মাইকেল গন্ড্রি , চার্লি কফম্যান,প্যারি বিসমাথ ।আর ছবিটি পরিচালনা করেন ফরাসি পরিচালক মাইকেল গন্ড্রি। এটি মূলত একটি রোমান্টিক সাইন্স ফিকশন চলচ্চিত্র ।

২০০৬ সালে নির্মিত “লিটেল চিলড্রেন” চলচ্চিত্রটির গল্প শুরু হয়েছে সারাহ পিরসকে দিয়ে , যিনি একজন উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহিণী ও মা । যার স্বামী একজন পর্ণস্টার এর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে । এ নিয়েই ছবির শুরু ।ছবিটির গল্প নেয়া হয়েছে লেখক টম প্যারিটা লেখা গল্প অবলম্বনে । ছবিটি পরিচালনা করেছেন- টড ফিল্ড । লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও এর সাথে অভিনীত কেট উইন্সলেট এর আরেকটি চলচ্চিত্র হচ্ছে -“রেভুলেশানারি রোড”। রিচার্ড ইয়ারটস এর উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটিতে উঠে এসেছে ১৯৫০ দশকে কানেকটি শহরে জীবন সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়া এক অল্প বয়সী দম্পতিকে ঘিরে , যারা তাদের দুটি বাচ্চাকে প্রতিপালনের সময় ব্যক্তিজীবনে যে সমস্যায় পড়তে হয় তাকে নিয়ে ।

২০০৭-বর্তমান

ফেব্রুয়ারি, ২০০৯-এ ৮১তম অ্যাকাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠানে কেট উইন্সলেট

২০০৭ সালে, রেভ্যুলশনারি রোড চলচ্চিত্রে উইন্সলেটকে আবার দেখা যায় লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর সাথে। চলচ্চিত্রটির পরিচালক ছিলেন উইন্সলেটের স্বামী স্যাম মেন্ডেজ। উইন্সলেট, ডিক্যাপ্রিও ও মেন্ডেজ উভয়কেই তার সাথে এ চলচ্চিত্রে কাজ করার পরামর্শ দেন। ১৯৬১ সালে রিচার্ড ইয়েটস-এর লেখা রেভ্যুলশনারি রোড নামের একটি উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি পড়েই তিনি এটির ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। পাণ্ডুলিপিটি তৈরি করেছিলেন জাস্টিন হেইথ। এই চলচ্চিত্রেই উইন্সলেট প্রথমবারের মতো মেন্ডেজের সাথে কাজ করেন, যার ফলাফল দুজনেই “একটি আর্শীবাদ ও অতিরিক্ত চাপ”-এর মধ্যে ছিলেন। চলচ্চিত্রটিতে ফুটে উঠেছে ১৯৫০-এর দশকের একটি দম্পত্তির ব্যর্থ দাম্পত্যজীবন। এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে উইন্সলেট সপ্তমবারের মতো মনোনয়ন পান এবং অবশেষে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতে নেন।

২০০৮ সালের বসন্তে আরো মুক্তি পায় উইন্সলেট অভিনীত চলচ্চিত্র দ্য রিডার। মুক্তির পর এ চলচ্চিত্রটি রেভ্যুলশনারি রোড-এর সাথে প্রতিযোগীতায় অবতীর্ণ হয়। বার্নাড শিলিংক-এর ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত উপন্যাস দ্য রিডার অনুসারে একই নামের এই চলচ্চিত্রটি তৈরি হয়। এর পরিচালক ছিলেন স্টিফেন ড্যালড্রাই এবং এখানে পাশ্বচরিত্রে রূপদানের জন্য রাল্ফ ফিয়েন্নেসডেভিড ক্রস নামে দুজনকে আনা হয়। দ্য রিডার-এ অভিনয়ের জন্য উইন্সলেট পরিচালকের প্রথম পছন্দ থাকলেও রেভ্যুলশনারি রোড-এর সাথে শেডিউল জটিলতার কারণে চলচ্চিত্রটিতে তার বদলে নেওয়া হয় নিকোল কিডম্যানকে। চলচ্চিত্রের কাজ শুরু হওয়ার এক মাস পর কিডম্যান তার গর্ভধারণের কারণে চরিত্রটি ছেড়ে দেন, ফলে উইন্সলেট আবার চরিত্রটিতে কাজ করার সুযোগ পান। এখানে তিনি একজন জার্মানভাষীর ধাঁচে ইংরেজিতে কথা বলেন। তিনি এখানে ফুটিয়ে তোলেন একজন নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প-এর পাহারাদারের চরিত্র যে কিনা পরে প্রেমে পড়ে এক যুবকের (ক্রস)। ঐ যুবক পরে তার প্রেমিকার যুদ্ধ-অপরাধের বিভিন্ন মহড়া প্রত্যক্ষ করে। উইন্সলেট জন্য এ চরিত্রটিতে রূপদান করা একটু কঠিন হয়েছিলো, কারণ স্বাভাবিক ভাবে একজন এসএস পাহারাদার-এর প্রতি তার সহমর্মিতা নেই। চলচ্চিত্রটি সাধারণের মধ্যে মিশ্র সমালোচনার শিকার হয়, এবং উইন্সলেট তার কাজের জন্য আক্রমণাত্মক সমালোচনার শিকার হন। এ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যে সেবছর তিনি তার ষষ্ঠ অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পান এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে অ্যাকাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। আরো যেসকল পুরস্কার তিনি পান তার মধ্যে, মূল চরিত্রে রূপদানকারী শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার, নারী পার্শ্বচরিত্র বিভাগে অসাধারণ অভিয়ের জন্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার এবং শ্রেষ্ঠ নারী পার্শ্বচরিত্র বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার

সঙ্গীত

সাউন্ডট্র্যাক ক্রিসমাস ক্যারল: দ্য মুভি-তে তার একক সঙ্গীত হোয়াট ইফ পরিবেশনের মাধ্যমে উইন্সলেট তার গান গাওয়াটা উপভোগ করা শুরু করেছিলেন। এটি আইরিশ একক তালিকাতে প্রথম ও যুক্তরাজ্য একক তালিকায় ষষ্ঠ স্থান দখল করেছিলো। তিনি এ গানটির জন্য নির্মিত একটি মিউজিক ভিডিওতেও পারফর্ম করেছিলেন। তিনি “উইয়ার্ড অল” ইয়ানকোভিচ-এর মাধ্যমে সান্ড্রা বয়নটন-এর সিডি ডগ ট্রেইন-এ একটি দ্বৈত সঙ্গীতেও কন্ঠ দিয়েছেন এবং গান গেয়েছেন ২০০৬ সালে রোমান্স এন্ড সিগারেটস চলচ্চিত্রে।

ব্যক্তিগত জীবন

ডার্ক সিজন-এ উইন্সলেট যখন কাজ করছিলেন তখন তার সাথে পরিচয় হয় অভিনেতা ও লেখক স্টিফেন ট্রিডের-এর সাথে। সেখান থেকে তাদের সম্পর্ক পাঁচ বছর স্থায়ী হয়েছিলো। উইন্সলেট টাইটানিক-এর কাজ সম্পূর্ণ করার কিছুদিনের মধ্যেই স্টিফেন ট্রিডের হাড়ের ক্যান্সার-এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আর লন্ডনে তার অন্তেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবার জন্যে তিনি টাইটানিক-এর প্রথম প্রদর্শনীতে যোগ দিতে পারেননি। উইন্সলেট ও টাইটানিক-এ তার সহশিল্পী লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, তারা দুজনে এখন পর্যন্ত পরস্পরের ভালো বন্ধু।[১২]

উইন্সলেট পরে রাফাস সিউয়েল[১৩]-এর সাথে সম্পর্কে জড়ান, কিন্তু ১৯৯৮ সালের ২২ নভেম্বর তিনি বিয়ে করেন পরিচালক জিম থ্রিপলেটনকে। তাদের একটা মেয়ে আছে, যার নাম মিয়া হানি থ্রিপলেটন এবং জন্ম হয়েছিলো লন্ডনে, ২০০০ সালের ১২ অক্টোবর। তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের পরে ২০০১ সালে উইন্সলেট সম্পর্কে জড়ান পরিচালক স্যাম মেন্ডেজ-এর সাথে, যাকে তিনি ২০০৩ সালে ২৪ মে বিয়ে করেন। তাদের বিয়েটা হয়েছিলো ক্যারিবিয়ান-এর অ্যাঙ্গিলা দ্বীপে। এই ঘরে উইন্সলেটের একটা ছেলে আছে, যার নাম জো আলফি উইন্সলেট-মেন্ডেজ, এবং জন্ম হয়েছিলো ২০০৩ সালের ২২ ডিসেম্বর, নিউ ইয়র্ক শহরে।

মেন্ডেজ ও তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নিল স্ট্রিট প্রডাকশন্স, অনেক দিন ধরে পড়ে থাকা মেবেল শার্ক[১৪] চলচ্চিত্রটির স্বত্ত্ব কিনে নেয়। ছবিটি সার্কাসের একজন বাঘ প্রশিক্ষকের জীবনীর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিলো। এ সম্পর্কে এই দম্পতির মুখপাত্র বলেন, “এটা খুব সুন্দর একটা গল্প। তাঁরা অনেকক্ষণ ধরে এই ছবিটি দেখেছেন। যদি তাঁরা স্ক্রিপ্টটা ঠিকভাবে তৈরি করতে পারেন তবে তাঁরা একটা দারুণ ছবি তৈরি করতে পারবেন।”[১৪]

উইন্সলেট ও মেন্ডেজ বর্তমানে বাস করছেন নিউ ইয়র্ক সিটির গ্রীনিচ ভিলেজ-এ। এছাড়া ইংল্যান্ড-এর গ্লুচেস্টারশায়ার-এর চার্চ ওয়েস্টকোট-এর ছোটো একটা গ্রামে তাদের একটা কাছারি বাড়ি আছে। ওয়েস্টকোটের এই কাছারি বাড়িটি একটি দ্বিতীয় শ্রেণীর স্থাপনা এবং এর আশেপাশের রাস্তাঘাট পরিকল্পিত নয় এবং বাইশ একর জায়গার ওপর অবস্থিত, আট বেডরুমের এই বাড়ির পিছনে তারা ব্যয় করেছেন তিন মিলিয়ন পাউন্ড।

বিমানভ্রমণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় উইন্সলেট ও মেন্ডেজ নানা রকম ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন এবং তাদের সন্তানেরা পিতৃ-মাতৃহীন হয়ে পড়তে পারে, এই ভয়ে তারা কখনো একই বিমানে ভ্রমণ করেন না।[১৫] অ্যামেরিকান এয়ারলাইন্স-এর ফ্লাইট ৭৭-এ মেন্ডেজের ভ্রমণ করার কথা ছিলো, যেটা ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১-এ ছিনতাই হয় এবং পেন্টাগনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এবং অক্টোবর, ২০০১-এ উইন্সলেট, তার মেয়ে মিয়া’র সাথে লন্ডন-ডালাস-এ ভ্রমণ করার সময় ঐ ফ্লাইটের একজন যাত্রী নিজেকে মুসলিম সন্ত্রাসী হিসেবে দাবি করে। পরবর্তীতে ঐ যাত্রীর বিরুদ্ধে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগ আনা হয় এবং বলা হয় যে, তিনি দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেছেন, “আমরা সবাই মারা যাচ্ছি।”[১৫]

চলচ্চিত্র তালিকা

বছর চলচ্চিত্র চরিত্র মন্তব্য
১৯৯১ ডার্ক সিজন রীট (টিভি ধারাবাহিক)
১৯৯২ গেট ব্যাক এলিয়ানর সুইট ((টিভি ধারাবাহিক))
১৯৯৪ হ্যাভেনলি ক্রিয়েচারস জুলিয়েট হালমে সেরা ব্রিটিশ অভিনেত্রী বিভাগে এম্পায়ার পুরস্কার
London Film Critics' Circle Awards — Best British Actress of the Year
New Zealand Film and TV Awards — Best Foreign Performer
১৯৯৫ A Kid in King Arthur's Court Princess Sarah
Sense and Sensibility Marianne Dashwood BAFTA Award for Best Actress in a Supporting Role
Evening Standard British Film Awards (also for Jude)
Screen Actors Guild Award for Outstanding Performance by a Female Actor in a Supporting Role
Nominated — Academy Award for Best Supporting Actress
Nominated — Golden Globe Award for Best Supporting Actress - Motion Picture
Nominated — Screen Actors Guild Award for Outstanding Performance by a Cast in a Motion Picture
১৯৯৬ Jude Sue Bridehead Evening Standard British Film Awards (also for Sense and Sensibility)
Hamlet Ophelia Empire Award for Best British Actress
Nominated — Satellite Award for Best Supporting Actress - Motion Picture
১৯৯৭ Titanic Rose DeWitt Bukater Blockbuster Entertainment Awards — Favorite Actress — Drama
Empire Award for Best British Actress
European Film Awards — Jameson Audience/People's Choice Award for Best British Actress
Golden Camera — Germany — Film — International (Exceptional work in a non-German production)
Nominated — Academy Award for Best Actress
Nominated — Golden Globe Award for Best Actress – Motion Picture Drama
Nominated — London Film Critics' Circle Awards — British Actress of the Year
Nominated — MTV Movie Award for Best Performance
Nominated — MTV Movie Award for Best Kiss (shared with Leonardo DiCaprio)
Nominated — MTV Movie Award for Best On-Screen Duo (shared with Leonardo DiCaprio)
Nominated — Online Film Critics Society Awards — Best Actress
Nominated — European Film Awards — Outstanding Achievement in World Cinema
Nominated — Satellite Award for Best Actress - Motion Picture Drama
Nominated — Screen Actors Guild Award for Outstanding Performance by a Female Actor in a Leading Role
Nominated — Screen Actors Guild Award for Outstanding Performance by a Cast in a Motion Picture
১৯৯৮ Hideous Kinky Julia
১৯৯৯ Faeries Brigid (voice)
Holy Smoke! Ruth Barron
২০০০ Quills Madeleine 'Maddy' LeClerc Evening Standard British Film Awards — Best Actress (also for Enigma and Iris)
Las Vegas Film Critics Society Award for Best Supporting Actress
Nominated — Blockbuster Entertainment Awards — Favorite Actress — Drama
Nominated — London Film Critics Circle Awards — British Actress of the Year
Nominated — Satellite Award for Best Supporting Actress - Motion Picture Drama
Nominated — Screen Actors Guild Award for Outstanding Performance by a Female Actor in a Supporting Role
২০০১ Enigma Hester Wallace British Independent Film Award for Best Actress
Evening Standard British Film Awards — Best Actress (also for Iris and Quills)
Christmas Carol: The Movie Belle (voice)
Iris Young Iris Murdoch Empire Award for Best British Actress
Evening Standard British Film Awards — Best Actress (also for Enigma and Quills)
European Film Awards — Jameson Audience/People's Choice Award for Best British Actress
Los Angeles Film Critics Association Award for Best Supporting Actress
Nominated — Academy Award for Best Supporting Actress
Nominated — BAFTA Award for Best Actress in a Supporting Role
Nominated — Golden Globe Award for Best Supporting Actress – Motion Picture
Nominated — Satellite Award for Best Supporting Actress - Motion Picture
২০০৩ The Life of David Gale Bitsey Bloom
২০০৪ Eternal Sunshine of the Spotless Mind Clementine Kruczynski Empire Award for Best British Actress
Las Vegas Film Critics Society Award for Best Actress (also for Finding Neverland)
London Film Critics Circle Awards — British Actress of the Year (tied with Eva Birthistle for Ae Fond Kiss...)
Online Film Critics Society Awards — Best Actress
Santa Barbara International Film Festival — Outstanding Performance of the Year Award (also for Finding Neverland)
Nominated — Academy Award for Best Actress
Nominated — BAFTA Award for Best Actress in a Leading Role
Nominated — Broadcast Film Critics Association Award for Best Actress
Nominated — Golden Globe Award for Best Actress – Motion Picture Musical or Comedy
Nominated — People's Choice Awards — Favorite Leading Lady
Nominated — People's Choice Awards — Favorite On-Screen Chemistry (shared with Jim Carrey)
Nominated — Satellite Award for Best Actress - Motion Picture Musical or Comedy
Nominated — Saturn Award for Best Actress (film)
Nominated — Screen Actors Guild Award for Outstanding Performance by a Female Actor in a Leading Role
Finding Neverland Sylvia Llewelyn Davies Las Vegas Film Critics Society Award for Best Actress (also for Eternal Sunshine)
Santa Barbara International Film Festival — Outstanding Performance of the Year Award (also for Eternal Sunshine)
Nominated — Broadcast Film Critics Association Award for Best Supporting Actress
Nominated — Screen Actors Guild Award for Outstanding Performance by a Cast in a Motion Picture
Nominated — BAFTA Award for Best Actress in a Leading Role
Nominated — Teen Choice Awards — Choice Movie Actress — Motion Picture Drama
২০০৫ Romance & Cigarettes Tula
২০০৬ All the King's Men Anne Stanton
Little Children Sarah Pierce BAFTA Awards — The Britannia Award for British Artist of the Year
Gotham Awards — Tribute Award
Palm Springs International Film Festival — Desert Palm Achievement Award
Nominated — Academy Award for Best Actress
Nominated — BAFTA Award for Best Actress in a Leading Role
Nominated — Broadcast Film Critics Association Award for Best Actress
Nominated — Chicago Film Critics Association Award for Best Actress
Nominated — Golden Globe Award for Best Actress - Motion Picture Drama
Nominated — London Film Critics Circle Award for British Actress of the Year
Nominated — Online Film Critics Society Award for Best Actress
Nominated — Satellite Award for Best Actress - Motion Picture Drama
Nominated — Screen Actors Guild Award for Outstanding Performance by a Female Actor in a Leading Role
Flushed Away Rita (voice)
The Holiday Iris Simpkins
Deep Sea 3D Narrator (voice)
২০০৮ The Fox and the Child Narrator (voice)
The Reader Hanna Schmitz Academy Award for Best Actress
BAFTA Award for Best Actress in a Leading Role
Broadcast Film Critics Association Award for Best Supporting Actress
Chicago Film Critics Association Award for Best Supporting Actress
Golden Globe Award for Best Supporting Actress - Motion Picture
Screen Actors Guild Award for Outstanding Performance by a Female Actor in a Supporting Role
Las Vegas Film Critics Society Award for Best Actress also for Revolutionary Road
London Film Critics Circle Award for Best Actress also for Revolutionary Road
RopeofSilicon Movie Award for Best Supporting Actress
San Diego Film Critics Society Award for Best Actress
Nominated — London Film Critics Circle Award for British Actress of the Year
Nominated — MTV Movie Award for Best Performance
Nominated — Satellite Award for Best Actress - Motion Picture Drama
Nominated — Southeastern Film Critics Association Award for Best Actress
Revolutionary Road April Wheeler Alliance of Women Film Journalists — Best Actress
Detroit Film Critics Society Awards — Best Actress
Golden Globe Award for Best Actress - Motion Picture Drama
Las Vegas Film Critics Society Award for Best Actress also for The Reader
London Film Critics Circle Award for Best Actress also for The Reader
Palm Springs International Film Festival — Best Cast Performance
St. Louis Film Critics Association Awards — Best Actress
Santa Barbara International Film Festival — Montevito Award
Nominated — BAFTA Award for Best Actress in a Leading Role
Nominated — Screen Actors Guild Award for Outstanding Performance by a Female Actor in a Leading Role

তথ্যসূত্র

  1. James Lipton (host) (২০০৪-০৩-১৪)। "Kate Winslet"Inside the Actors Studio। 10 মৌসুম। পর্ব 11। Bravo। ২০০৭-০৮-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-১৮ 
  2. "'Tis the Season…"New York Magazine। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-১০  অজানা প্যারামিটার |= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  3. "Family detective: Kate Winslet"Daily Telegraph। ২০০৫-১২-০৫। ২০০৮-০৩-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৫ 
  4. Boshoff, Alison (2009-02-230=2009-02-23)। "The Other Winslet Girls"Daily Mail  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  5. "Redroof Associates FAQ: Is it true that Kate Winslet went to Redroofs?"। ২০১০-০১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-১৪ 
  6. Rollings, Grant (২০০৯-০১-২৮)। "I was the fat kid at the back of the line"The Sun। ২০০৯-০২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-০২ 
  7. "Heavenly Creatures (1994)"Rotten Tomatoes। ২০১৫-০৪-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-০২ 
  8. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; two নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  9. Howe, Desson (১৯৯৪-১১-২৫)। "Heavenly Creatures review"The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-০২ 
  10. Obst, Lynda (২০০০-১১-০১)। "Kate Winslet - Interview"। ২০১৩-০১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-০২ 
  11. Rollings, Grant (২০০৮-১২-২২)। "Why Kate Winslet Is Our Best Actress"The Sun। ২০০৯-০২-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-০৪ 
  12. Thornton, Michael (২০০৮-০৯-২৩)। "DiCaprio, Winslet reunite on 'Road'"। ২০০৯-০৯-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-১০ 
  13. "Winslet's 'friendly' reunion with Sewell"। Breaking News। ২০০৬-১১-২৫। ২০০৯-০৩-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৮ 
  14. "Winslet Teams Up with Mendes for Circus Film"। WENN। ২০০৭-০২-২১। ২০১৩-০১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১২ 
  15. "Kate Winslet and Sam Mendes never fly together for fear of crash that would orphan their children"Daily Mail Online। ২০০৯-০২-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-১০ 

বহিঃসংযোগ

সাধারণ

সাক্ষৎকার

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!