ওওইতা প্রশাসনিক অঞ্চল (大分県? ওওইতা কেন্) হল জাপানের কিউশু দ্বীপে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[১] এর রাজধানী ওওইতা নগর।[২]
ইতিহাস
ষষ্ঠ শতাব্দী নাগাদ কিউশু দ্বীপ চারটি প্রদেশে বিভক্ত ছিল: ৎসুকুশি, হি, কুমাসো ও তোয়ো। তোয়ো প্রদেশ পরবর্তীকালে দুই ভাগে বিভক্ত হয়: উচ্চ ও নিম্ন তোয়োর নাম হয় যথাক্রমে বুঙ্গো ও বুযেন প্রদেশ।[৩]
এদো যুগে (১৬০৩-১৮৬৭ খ্রিঃ) হিতা নগরে সমগ্র কিউশু অধিরাজ্যের রাজধানী ছিল। হিতার বাইরে গড়ে ওঠা ঋণ ব্যবসার খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। হিতার মামেদা ও কুমা জেলার ব্যবসায়ীরা কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে হিতা-কিন নামে পরিচিত এই ব্যবসা গড়ে তোলে।
ফুকুযাওয়া য়ুকিচি (১৮৩৪-১৯০১ খ্রিঃ) এই অঞ্চলের ভূমিপুত্র। তিনি টোকিওতে জাপানের প্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেইও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা।
ভূগোল
ওওইতা প্রশাসনিক অঞ্চল কিউশু দ্বীপের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। এর বিস্তার পূর্ব থেকে পশ্চিমে ১১৯ কিমি ও উত্তর থেকে দক্ষিণে ১০৬ কিমি। এর আয়তন ৬৩৩৯ বর্গ কিমি। এর উত্তরে রয়েছে সুও চ্যানেল ও হোনশু দ্বীপ, পূর্বে ইয়ো চ্যানেল ও শিকোকু দ্বীপ, দক্ষিণে মিয়াযাকি প্রশাসনিক অঞ্চল এবং পশ্চিমে ফুকুওকা ও কুমামোতো প্রশাসনিক অঞ্চল।
ওওইতার মধ্য দিয়ে অনেকগুলি টেকটনিক চ্যুতিরেখা বিস্তৃত। এর মধ্যে মূল রেখাটি ওওইতার উসুকি নগর থেকে পশ্চিমে কুমামোতোর য়াৎসুশিরো নগর অবধি বিস্তৃত। ওওইতার উত্তরাংশে অধিকাংশ শিলা গ্রানাইট বা রূপান্তরিত হলেও দক্ষিণাংশে চুনাপাথর পাওয়া যায়, যার উপর ভিত্তি করে ৎসুকুমি সিমেন্ট শিল্প গড়ে উঠেছে। প্রশাসনিক অঞ্চলটির মাঝ বরাবর উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত কিরিশিমা আগ্নেয় পর্বত-বলয় অজস্র উষ্ণ প্রস্রবণের কারণ। এর কারণেই ওওইতা জাপানের সর্বাধিক উষ্ণ প্রস্রবণ সমৃদ্ধ প্রশাসনিক অঞ্চল।[৪]
বিভিন্ন পর্বতশৃঙ্গের মধ্যে য়ুফু, ৎসুরুমি, সোবো, কাতামুকি ও কুজুউ পর্বত (শেষোক্তটিকে “কিউশুর ছাদ” বলা হয়) উল্লেখযোগ্য। পর্বত অধ্যুষিত হওয়ায় ওওইতার ৭০% ভূমি অগম্য ও বন-জঙ্গলে আচ্ছাদিত। ২০১৪ এর ১লা এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী প্রশাসনিক অঞ্চলটির ২৮% ভূমি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে আসো কুজুউ ও সেতোকাইনাই জাতীয় উদ্যান; নিপ্পো কাইগান, সোবো-কাতামুকি ও য়াবা-হিতা-হিকোসান উপ-জাতীয় উদ্যান এবং পাঁচটি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৫]
অর্থনীতি
ওওইতা প্রশাসনিক অঞ্চলের অর্থনীতি মূলত কৃষিনির্ভর। তবে ক্ষেত্রবিশেষে শিল্পের বিকাশ হয়েছে। উৎপন্ন পণ্যের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কাবোসু ফল, শুকনো শিইতাকে ছত্রাক, গেরিমাটি, মাদাকে বাঁশ ইত্যাদি।[৬] এছাড়া বিভিন্ন মাছ ও খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত অন্যান্য প্রাণীর যোগানও রয়েছে।
তথ্যসূত্র
- ↑ Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Ōita-ken" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 742, পৃ. 742,.
- ↑ Nussbaum, "Ōita" in গুগল বইয়ে p. 742, পৃ. 742,.
- ↑ Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Provinces and prefectures" in গুগল বইয়ে p. 780, পৃ. 780,.
- ↑ Ōita Prefectural Government. (2009). Reassurance, Vitality & Growth of Ōita Prefecture, p. 5.
- ↑ "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (পিডিএফ)। Ministry of the Environment। ১ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Ōita Prefectural Government, Guide-O Oita Prefecture Guide Book, p. 40-41.