২০০১ সালের আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০১ সালের প্রথম তিন মাসেই জলদস্যুতার ৫০টি ঘটনা ঘটেছে যার মধ্যে, ১৮টি দক্ষিণ চীন সাগরে, ১৪টি মালাক্কা প্রণালীতে, ১৩টি ভারত মহাসাগরে, ৪টি পশ্চিম আফ্যিকা উপকূলে ও একটি ফিলিপাইনে।
নববর্ষের দিন, বাংলাদেশের পাথরঘাটে একটি জলদস্যু দল পাঁচটি জাহাজ আটক করে, পরবর্তীতে একই দিনে একই দল মান্দেরবারিয়াতে একটি জাহাজ আক্রোমন করে। এছাড়াও মার্চে অ্যাকচুয়ারিয়া নামে একটি জাহাজের ক্রুরা চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করা অবস্থায় জলদস্যুদের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়।
৬ই ডিসেম্বর আমাজন নদীর প্রবেশপথে জলদস্যুরা নিউজিল্যান্ডের বিশিষ্ট ইয়ট-বাইচ খেলোয়াড় ও ১৯৯৫ এবং ২০০০ সালের আমেরিকা কাপ জয়ী স্যার পিটার ব্লেকের ব্যক্তিগত ইয়ট ১১৯-ফিট সীমাস্টারে আরোহণের চেষ্টা করে, এতে পিটার তাদের বাঁধা প্রদান করলে জলদস্যুরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ও ভারতকে জলদস্যুতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় প্রথম তিনটি দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তালিকাটি তৈরির সময় ইন্দোনেশিয়ায় ১০২টি, বাংলাদেশে ৩২টি এবং ভারতে ১৮টি জলদস্যু আক্রোমন সংঘটিত হওয়াকে বিবেচনায় আনা হয়েছিল।
২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ায় ৯৩টি ও নাইজেরিয়ায় ৩৯টিসহ সাড়া বিশ্বে ৩২৫টির মত জলদস্যুতার ঘটনা ঘটেছিল। এর ফলে ৩০ জন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।
মালশিয়া উপকূলের একটি জনবসতিহীন দ্বীপ থেকে জলদস্যুরা আক্রমণ করে $২,১৭০,০০০ সমমূল্যের মালামাল নিয়ে যায় এবং ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ দুই সপ্তাহ পর জাহাজটি উদ্ধার করে ও জলদস্যুদের গ্রেফতার করে।
২০০৫ সাল থেকে সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুতার প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং জলদস্যুরা গৃহযুদ্ধের সময় জাতিসংঘের রসদ লাইন কেটে দেয় যার ফলে রসদ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে ও কমপক্ষে ১৩টি ভেসেল অপহরণ করে।