আর্মেনিয়া মোট এগারটি প্রশাসনিক বিভাগে বিভক্ত। এদের মধ্যে ১০ টি হচ্ছে প্রদেশ, যেগুলো আর্মেনিয়ান ভাষায় մարզեր (মার্যের, marzer; বাংলা: অঞ্চল), বা একবচনে մարզ (মার্য) নামে পরিচিত।
ইয়েরেভান শহরটিকে আলাদাভাবে, দেশের রাজধানী হিসেবে বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদা দেওয়া হয়। দশটি মার্যের এর প্রধান নির্বাহীদের বলা হয় মার্যপেট (marzpet), যারা আর্মেনিয়া সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হন। ইয়েরেভানের প্রধান নির্বাহী হচ্ছেন মেয়র, যিনি প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নিযুক্ত হন।
প্রথম স্তরের প্রশাসনিক বিভাগসমূহ
নিচের ছকে আর্মেনিয়ার সকল প্রদেশ ও তাদের জনসংখ্যা, আয়তন এবং ঘনত্ব সম্পর্কে তথ্য রয়েছে।[১] সংখ্যাগুলো আর্মেনীয় পরিসংখ্যান-বিষয়ক পরিষদ (Statistical Committee of America) হতে প্রাপ্ত।[২] উল্লেখ্য যে, জেগহার্কুনিক প্রদেশের মধ্যে সেভান হ্রদও অন্তর্ভুক্ত, যা এই প্রদেশের ১,২৭৮ বর্গকিলোমিটার (৪৯৩ মা২) আয়তন জুড়ে রয়েছে।
প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি প্রদেশে হামায়েঙ্কনার (একবচন: হামায়েঙ্ক ; পৌর সম্প্রদায় বা মিউনিসিপ্যাল কমিউনিটি) রয়েছে, যেগুলোকে বর্তমানে প্রশাসনের দ্বিতীয় স্তর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিটি পৌরসভা - যা সম্প্রদায় (গ্রামীণ বা শহুরে) হিসেবে পরিচিত, একটি স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান, এবং এক বা একাধিক বসতি (bnakavayrer, একবচন: bnakavayr) নিয়ে গঠিত। বসতি বলতে শহর (kaghakner, একবচন: kaghak) অথবা গ্রামকে (gyugher, একবচন: gyugh) নির্দেশ করে। জানুয়ারি ২০১৮ হতে, আর্মেনিয়া ৫০৩টি সম্প্রদায়ে বিভক্ত যার ৪৬টি শহুরে এবং বাকি ৪৬৭টি গ্রামীণ। রাজধানী শহর ইয়েরেভানকেও একটি সম্প্রদায়ের মর্যাদা দেওয়া হয়ে থাকে।[৩] ইয়েরেভান আবার বারোটি অর্ধ-স্বায়ত্তশাসিত জেলায় বিভক্ত।
1 ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যে প্রচলিত সীমানা জুড়ে প্রসারিত। 2 সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং ঐতিহাসিক কারণে ইউরোপীয় হিসাবে বিবেচিত, তবে ভৌগলিকভাবে পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত।