ফিনল্যান্ড মোট ১৯টি প্রশাসনিক অঞ্চলে (ফিনীয়: maakunta; সুইডীয়: landskap)[ক] বিভক্ত। এই অঞ্চলগুলো আঞ্চলিক পরিষদ দ্বারা পরিচালিত হয়, যেগুলো প্রতিটি অঞ্চলের পৌরসভার সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভূমিকা পালন করে। এই অঞ্চলগুলোর প্রধান কাজ হচ্ছে আঞ্চলিক পরিকল্পনা, এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগ ও শিক্ষার বিকাশ সাধন করা। এছাড়াও, এই অঞ্চলগুলোর ভিত্তিতেই জনস্বাস্থ্য সেবাসমূহ সংগঠিত হয়। এই মুহূর্তে একমাত্র কাইনু অঞ্চলেই পরিষদ গঠনের উদ্দেশ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য আঞ্চলিক পরিষদ পৌরসভা পরিষদ (municipal council) কর্তৃক নির্বাচন করা হয়, যেখানে জনসংখ্যার অনুপাতে প্রতিটি পৌরসভা থেকে প্রতিনিধি প্রেরণ করা হয়।
ওঁলান্ড নামক অঞ্চলটির একটি বিশেষ মর্যাদা এবং অন্যদের তুলনায় উচ্চতর মাত্রার স্বায়ত্তশাসন রয়েছে। অঞ্চলটির অনন্য ইতিহাস ও অধিবাসীদের মধ্যে ফিনীয়–সুয়েড জাতির আধিপত্যের কারণে, এদের নিজস্ব সংসদ এবং স্থানীয় আইন বিদ্যমান। ওঁলান্ডের একমাত্র ভাষা হচ্ছে সুয়েডীয়/ ফিনল্যান্ড সুয়েডীয়, যেখানে অন্যান্য অঞ্চলে ফিনীয় ও সুয়েডীয়– উভয় ভাষাই যৌথভাবে আনুষ্ঠানিক ভাষার মর্যাদা পেয়ে থাকে। এদের নিজস্ব নির্বাচিত সরকারপ্রধান রয়েছে যার পদবি প্রিমিয়ার এবং তিনিই আঞ্চলিক পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। মূল ভূখণ্ডে ফিনল্যান্ড সরকার কর্তৃক প্রযুক্ত ক্ষমতা এখানে ওঁলান্ড-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করে, এবং অধিকাংশ এলাকায় স্বাধীন নীতির বাস্তবায়ন করে থাকে। ওঁলান্ড দ্বীপবাসীরা জাতীয় আইনসভার জন্য একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করে, আর ফিনল্যান্ড সরকার ওঁলান্ডে জাতীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে একজন গভর্নর নিযুক্ত করে। ওঁলান্ড একটি অসামরিক এলাকা এবং এখানকার অধিবাসীরা বাধ্যতামূলক সামরিক নিবন্ধন থেকে নিষ্কৃত।
পৌরসভাগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, যার দায়িত্ব বর্তায় আঞ্চলিক পরিষদগুলোর ওপর, সেগুলো ছাড়াও ১৫টি অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরিবহন এবং পরিবেশ কেন্দ্র (ফিনীয়: elinkeino-, liikenne- ja ympäristökeskus, সংক্ষেপে ely-keskus) রয়েছে, যা শ্রম, কৃষি, মৎস্যপালন, বনপালন, এবং উদ্যোগ-সংক্রান্ত বিষয়াবলির স্থানীয় প্রশাসন হিসেবে ভূমিকা পালন করে। ফিনীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর আঞ্চলিক দপ্তরসমূহ আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি এবং অঞ্চলের সামরিক তালিকাভুক্তির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
1 ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যে প্রচলিত সীমানা জুড়ে প্রসারিত। 2 সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং ঐতিহাসিক কারণে ইউরোপীয় হিসাবে বিবেচিত, তবে ভৌগলিকভাবে পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত।