হিল্টন উইলিয়াম রেমন্ড কার্টরাইট (ইংরেজি: Hilton Cartwright; জন্ম: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২) হারারে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ীয় বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন।
জিম্বাবুয়েরহারারে এলাকায় হিল্টন কার্টরাইটের জন্ম।[২] ম্যারোন্দেরায় তিনি তার শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। তবে, তাদের তামাকের খামার বাজেয়াপ্ত করা হলে ১১ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হন।[৩] পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে তার পরিবার বসবাস করতে থাকেন। সেখানে পার্থের ওয়েসলি কলেজে ভর্তি হন তিনি।[৪]
২০০৮-০৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন। ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সালে ফিউচার্স লীগ প্রতিযোগিতায় রাজ্যের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের খেলার সুযোগ পান।[৫] এ প্রসঙ্গে কার্টরাইট মন্তব্য করেন যে, ‘যখন আমি তরুণ ছিলাম, তখন নিজেকে ব্যাটিং অল-রাউন্ডার হিসেবে দেখতাম ও যখন কিছু উইকেট পেতে শুরু করলাম, তখন দর্শকেরা আমাকে বোলিং অল-রাউন্ডার হিসেবে বলতে শুরু করল। কেননা, ঐ সময় আমার ব্যাটিংয়ের মান দূর্বলতর হতে থাকে। ফলে, এটি কিছুটা কঠিন ছিল যে, আমি ব্যাটিং অল-রাউন্ডার ছিলাম।’[৬]
গ্রেড ক্রিকেটে সাউথ পার্থ ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন।[৭] এছাড়াও, হিল্টন কার্টরাইট ব্রিটিশ নাগরিকত্বের অধিকারী।[৮] ২০১০ সালে ডেভন ক্রিকেট লীগে সিডমাউথের পক্ষে খেলেছেন।[৯] কার্টরাইট মন্তব্য করেন যে, ‘আমি মনে করি যে সর্বদাই জিম্বাবুয়ের পক্ষে খেলতে চলেছি। কিন্তু, অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসার পর আমি যে কখনো ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলবো তা চিন্তা করতে পারিনি।’[৬]
ফিউচার্স লীগের খেলায় কুইন্সল্যান্ড স্পোর্ট একাডেমির বিপক্ষে দারুণ খেলেন। অর্ধ-শতরানের পাশাপাশি পাঁচ-উইকেটের সন্ধান পান।[১০] ২০১২-১৩ মৌসুমের রাইয়োবি ওয়ান-ডে কাপে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে অভিষেক ঘটে তার। ৭ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে খেলেন তিনি।[১১] খেলায় সাত নম্বরে নামেন তিনি। সাতটি বল মোকাবেলা করে চার রান সংগ্রহ করেন। মিডিয়াম পেস বোলিং করে ভিক্টোরিয়ার ইনিংস থেকে একটি উইকেট পান।[১২]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
২০১৩ সাল থেকে হিল্টন কার্টরাইটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে। জিম্বাবুয়েতে জন্মগ্রহণকারী কার্টরাইট কিশোর বয়সে পরিবারের সাথে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হন। ২০১২-১৩ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্রথম অংশগ্রহণ করেন। ২০১৫-১৬ মৌসুমে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশের সদস্যরূপে ম্যাটাডোর কাপে ৪৫ গড়ে ১৮০ রান তুলেন। এরপর, শেফিল্ড শিল্ডে ৬৮.১৬ গড়ে ৪০৯ রান তুলেন।
ডিসেম্বর, ২০১২ সালে পার্থ স্কর্চার্সের সদস্যরূপে ২০১২-১৩ মৌসুমের বিগ ব্যাশ লীগে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি আঘাতগ্রস্ত প্যাট কামিন্সের স্থলাভিষিক্ত হন।[১৩] ঐ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় খেলায় মেলবোর্ন স্টার্সের বিপক্ষে অভিষেক হয় তার। পার্থের সংগৃহীত ৬৯ রানের ইনিংসে ১৭ রানের সর্বোচ্চ সংগ্রহ তারই ছিল। ঐ প্রতিযোগিতায় দলীয় এ সংগ্রহটি পরবর্তীতে সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিল।[১৪] জানুয়ারি, ২০১৩ সালে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। শেফিল্ড শিল্ডের ঐ খেলায় দলের প্রতিপক্ষ ছিল নিউ সাউথ ওয়েলস দল। খেলায় তিনি ০ ও ২৯ এবং বল হাতে নিয়ে দুই ওভার ০/১৯ লাভ করেন।[১৫]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার দ্বিতীয় খেলাটি অপ্রত্যাশিত ছিল। খেলার চতুর্থ দিনে তিনি অ্যাডাম ভোজেসের পরিবর্তে খেলেন। এ পর্যায়ে ভোজেসকে আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণের জন্যে মনোনীত করা হয়। কার্টরাইট ০/২২ পান।[১৬] ২০১৩-১৪ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর পরবর্তী খেলায় অংশ নেন। ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে তিনি ২/১৪ ও ০/১৯ এবং ৫ ও ০ রান তুলেন।[১৭]
স্বর্ণালী সময়
অক্টোবর, ২০১৫ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ডে খেলার জন্যে মনোনীত হন।[১৮] ম্যাটাডোর কাপে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশের সদস্যরূপে খেলে ৯৯ রান সংগ্রহ করেন ও ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[১৯] এছাড়াও, সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।[২০][২১]
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল পারফরম্যান্স স্কোয়াডের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। অস্ট্রেলিয়া এ-দলের বিপক্ষে ৮১[২২][২৩] ও ভারত এ-দলের বিপক্ষে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।[২৪] ঐ গ্রীষ্মে শেফিল্ড শিল্ডের খেলায় এনএসডব্লিউ’র বিপক্ষে ৫৯ রান করেন।[২৫] কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৪ রানসহ ৪ উইকেট পান।[২৬] সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৩৯ রানের ইনিংসসহ ২ উইকেট দখল করেন।[২৭][২৮] এছাড়াও, কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ৯২ রান করেছিলেন তিনি।[২৯][৩০]
২০১৬ সালে সফররত ভারত এ-দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে হিল্টন কার্টরাইটকে অস্ট্রেলিয়া এ-দলের সদস্য হিসেবে রাখা হয়। ১১৭ রান ও এক উইকেট লাভ করে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।[৩১][৩২]
২০১৬-১৭ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ড প্রতিযোগিতা বেশ জোড়ালোভাবে শুরু করেন। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮০,[৩৩] এনএসডব্লিউ’র বিপক্ষে ৫৯ [৩৪] এবং কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৪ ও ৪১ রানসহ এক উইকেট পান।[৩৫][৩৬]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও দুইটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন হিল্টন কার্টরাইট। ৩ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে সিডনিতে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখে চট্টগ্রামে স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
ব্যাটিং অল-রাউন্ডার হিসেবে ২০১৫-১৬ মৌসুমের গ্রীষ্মকালে হিল্টন কার্টরাইটের আবির্ভাব ঘটে। পরবর্তী গ্রীষ্মে তাকে অস্ট্রেলিয়ার ওডিআই ও টেস্ট দলে তাকে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। নভেম্বর, ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো ওডিআই সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে, তাকে খেলানো হয়নি। পরবর্তী মৌসুমে সিডনিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ঘরোয়া একদিনের ক্রিকেটে কিছুটা দূর্বলমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করলেও ২০১৬-১৭ মৌসুমে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে তিনটি ওডিআই নিয়ে গড়া সিরিজে খেলার সুযোগ দেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে ট্রেভর হোন্স মন্তব্য করেন যে, হিল্টন কার্যকর আক্রমণাত্মক মিডিয়াম পেস বোলিং করে থাকেন ও বলকে যথেষ্ট স্ট্রাইক মারতে পারেন। তিনি অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে তরুণদের আদর্শ সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় ও আমরা তাকে কিছু সময় এ স্তরের ক্রিকেটে নজরে রাখবো।[৩৭]
দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতি ট্রেভর হোন্স বলেন, ‘আমরা ব্যাটিং অল-রাউন্ডারের সন্ধান করছি। বলে সিম আনয়ণে সক্ষম ও শীর্ষ ছয়ে ব্যাটিংকারীর জন্যে কয়েকজনকে বিবেচনায় আনা হলেও হিল্টন এ অবস্থানের জন্যে উপযুক্ত। আমরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তিনি এ মৌসুমে বেশ ভালো করেছেন ও তিনি এ দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন বলে বিশ্বাস করি।’[৩৯]
৩ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার টম মুডি তাকে ব্যাগি গ্রীন ক্যাপ প্রদান করেন। ঐ টেস্টে নিক ম্যাডিনসনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। এ পর্যায়ে তিনি ১৬ খেলায় অংশ নিয়ে ব্যাট হাতে ৪৪.৫০-এর অধিক গড়ে রান সংগ্রহ ও ৪৪ গড়ে ১৫ উইকেট লাভ করেছিলেন। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ মন্তব্য করেন যে, ‘কার্টরাইটের বোলিং গত বছর থেকে উন্নতি ঘটছে। অল্প কিছুদিন পূর্বে আমি তার বোলিংয়ের মুখোমুখি হয়েছি ও আমি মনে করে তার ওজন ১০ কিলোগ্রাম বেড়েছে। কীভাবে তাকে ব্যবহার করবো তা নির্ভর করবে খেলাটি কোনদিকে গড়াচ্ছে। তবে, এটি নিশ্চিত যে, তিনি গত বছর থেকে বেশ ভালো করছেন।’[৪০][৪১][৪২]
ঐ টেস্টে প্রথম বলেই তিনি চার রান সংগ্রহ করেন। ৯৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি চার ওভার বোলিং করে ০/১৫ লাভ করেন। খেলায় তার দল জয়লাভ করেছিল।[৪৩] একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, কার্টরাইটের বোলিং জড়তায় পরিপূর্ণ ছিল। শর্ট লেগ অঞ্চলে তার নিচুমানের বল চলে যায়। ঐ টেস্টে তিনি মাত্র চার ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন ও ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগে বোলিং করতে পারেননি। এ ধরনের পেস বোলিংয়ে তিনি খুব কমই ব্যাটসম্যানদের দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। শন মার্শ ও শেন ওয়াটসন তাদের উভয়ের বোলিং গতিবেগ ১৪০ কিলোমিটারের অধিক ছিল।[৪৪]
ভারত গমনার্থে শন মার্শ ও মিচেল মার্শ গমনের সুযোগ পেলেও তিনি উপেক্ষিত হন। তাসত্ত্বেও জানুয়ারি, ২০১৭ সালে তিনি ব্র্যাডম্যান বর্ষসেরা তরুণ ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন।[৪৫] ঐ মৌসুমের বাদ-বাকী সময় ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ ভালোভাবে খেলেন। তাসমানিয়ার বিপক্ষে ৯৪ ও ২৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[৪৬][৪৭] ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ১০১ রান তোলার পর[৪৮][৪৯] নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে ৭০ ও অপরাজিত ১৭০ রান করেন। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[৫০][৫১]
২০১৭-১৮ মৌসুমে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক কেন্দ্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় আসেন।[৫২]
বাংলাদেশ গমন
২০১৭ সালে বাংলাদেশ গমনার্থে তাকে দলে রাখা হয়। তিনি শন মার্শের স্থলাভিষিক্ত হন। প্রধান দল নির্বাচক ট্রেভর হোন্স মন্তব্য করেন যে, ‘প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার গড় প্রায় ৬০-এর কাছাকাছি। গত মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ড প্রতিযোগিতায় ৮৬১ রান তুলে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। তিনি বেশ মানসম্পন্ন খেলোয়াড়। আমরা বিশ্বাস করি যে, তিনি অস্ট্রেলিয়া দলকে ভবিষ্যতে বেশ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন ও উপমহাদেশে তার সেরা খেলার প্রত্যাশায় রয়েছিল।’[৫৩]
প্রথম টেস্টে তাকে খেলানো হয়নি। তবে, দ্বিতীয় টেস্টে উসমান খাওয়াজার পরিবর্তে তাকে প্রথম একাদশে রাখা হয়। ঐ টেস্টে তিনজন স্পিনার - অ্যাস্টন অ্যাগার, স্টিভ ও’কিফ ও নাথান লায়নকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কার্টরাইটের সংযুক্তির ফলে স্টিভ স্মিথ আরও একজন অতিরিক্ত পেস বোলারের সহায়তা পাবেন। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে তিনি মাত্র পাঁচ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পান। ০/১৬ বোলিং পরিসংখ্যানসহ ১৮ রান সংগ্রহ করলেও তার দল ইনিংস ব্যবধানে বিজয়ী হয়।[৫৪]
২০১৭ সালে ভারত গমনে অস্ট্রেলিয়ার একদিনের আন্তর্জাতিক দলে তাকে রাখা হয়।[৫৫] এ সফরের প্রথম খেলায় ভারতীয় বোর্ড একাদশের বিপক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নেমে শূন্য রানে বিদেয় নেন।[৫৬]
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখে চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম দিবা-রাত্রির ওডিআইয়ে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে রানে বিদেয় নেন।[৫৭] দ্বিতীয় ওডিআইয়েও একইসংখ্যক রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হন।[৫৮] ফলশ্রুতিতে, সিরিজের বাদ-বাকী খেলাগুলোয় অংশগ্রহণ করা থেকে তাকে বিরত রাখা হয়।
কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ
২০১৭ সালের জেএলটি ওয়ান-ডে প্রতিযোগিতার শিরোপা বিজয়ী ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সদস্য ছিলেন। তাসমানিয়ার বিপক্ষে ১/১৩,[৫৯] কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ০/২৯,[৬০] সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ০/২৬ ও ৫,[৬১] ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে ৩৪[৬২] ও চূড়ান্ত খেলায় অপরাজিত ১৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।[৬৩]
২০১৭-১৮ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ড প্রতিযোগিতায় তেমন সুবিধে করতে পারেননি। তাসত্ত্বেও, মৌসুমের শেষদিকে বেশ ভালো খেলা উপহার দেন। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৩ ও অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[৬৪]বিবিএলে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল স্টার্সের বিপক্ষে ৫৩ বলে ৫৮ রান তুলে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করা।[৬৫]
২০১৮ সালের গ্রীষ্মকালে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। মিডলসেক্সের সাবেক খেলোয়াড় অ্যাডাম ভোজেস ও জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সাথে আলোচনাক্রমে তাকে দলের সদস্য করা হয়।[৬৬] ঐ মৌসুমে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ৪/৩৩ লাভ করা ছিল ঐ মৌসুমে হিল্টন কার্টরাইটের সেরা সাফল্য।[৬৭] এছাড়াও,
প্রথম পাঁচটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৯.৭৫ গড়ে ৭৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন।[৬৮]