সিয়েরা লিওন জাতীয় মহিলা ফুটবল দল আন্তর্জাতিক মহিলা ফুটবলে সিয়েরা লিওনের প্রতিনিধিত্বকারী দল। দলটি সিয়েরা লিওন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয় যা কনফেডারেশন অব আফ্রিকান ফুটবল (সিএএফ) এর সদস্য। সিয়েরা লিওন ফিফা স্বীকৃত চারটি ম্যাচ খেলেছে, যার দুটি ১৯৯৪ সালে এবং দুটি ২০১০ সালে। দেশে জাতীয় দলের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৭ এবং অনূর্ধ্ব-২০ দল রয়েছে। সিয়েরা লিওনে মহিলা ফুটবল আফ্রিকা মহাদেশের অন্যান্য দেশের মত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আভ্যন্তরীণভাবে, নিজের মধ্যে যেসকল সমস্যার সম্মুখীন তাহল দেশে অভ্যন্তরীণ নারী প্রতিযোগিতার অভাব এবং নারীদের মাঝে খেলাধুলার জনপ্রিয়তা হ্রাস।
সিয়েরা লিওন জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের ডাকনাম সিয়েরা কুইন্স।[১] ১৯৮৫ সালে, সিয়েরা লিওনসহ বিশ্বে এমন কোন দেশ ছিল না, যার একটি জাতীয় মহিলা ফুটবল দল ছিল।[২] ১৯৯৪ সালের আগে সিয়েরা লিওন কোন আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেনি। ১৯৯৫ ফিফা মহিলা বিশ্বকাপের বাছাইপর্বি খেলার মাধ্যমে সিয়েরা লিওন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা দেয়,[৩] ১৯৯৪ সালের ৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার সাথে প্রথম খেলা অনুষ্ঠিত হয়, যাতে সিয়েরা লিওন ০ - ৯ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়। এ খেলার প্রথমার্ধের ব্যবধান ছিল ০ - ৬।[৪] ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর সিয়েরা লিওন তাদের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফ্রিটাউনে পুনরায় নাইজেরিয়ার সাথে খেলে। এবং এ খেলাও তারা ০ - ২ গোলে পরাজিত হয়। [৪] এই খেলা দুটি সকল খেলার প্রথমার্ধের একটি ঐতিহাসিক প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টি করে।[৪] দলটি তাদের অন্য দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আফ্রিকার ২০১০ আন্তর্জাতিক মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাথমিক পর্বে খেলে, যা অলিম্পিক বাছাইপর্বের একটি অংশ। সেখানে সিয়েরা লিওন ২০১০ সালের ৭ মার্চ গিনির কোনাক্রিতে গিনির মোকাবেলা করে এবং ২ - ৩ গোলে পরাজিত হয়। ২০ মার্চ ২০১০ সালে ফ্রিটাউনে অনুষ্ঠিত অপর ম্যাচে ১ - ১ গোলে টাই করে।[৪][৫][৬][৭][৮] এ ম্যাচের দলটি কমপক্ষে ১ বছর কোন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ম্যাচ খেলেনি[১] এবং তারা ২০১১ অল আফ্রিকা গেমসেও অংশগ্রহণ করেনি।[৯] মার্চ ২০১২ সালে, সিয়েরা লিওন বিশ্ব ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৩৫ তম এবং আফ্রিকার ২৬ তম অবস্থানে ছিল।[১০] জুন ২০১২ সালে তাদের র্যাঙ্কিং উন্নিত হয়ে ১৩০ তম অর্জন করেছিল। কিন্তু বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের অন্যান্য ৪৬ দেশের এখনও নিচে রয়েছে।[১০][১১] দলের সবচেয়ে সেরা র্যাঙ্কিং ছিল ২০১০ সালে ১২৮তম এবং সবচেয়ে খারাপ র্যাঙ্কিং ছিল ২০১১ সালে ১৩৬ তম।[১২]