সাখালিন |
লুয়া ত্রুটি: । |
|
অবস্থান | রাশিয়ান সুদূর পূর্ব, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর |
---|
স্থানাঙ্ক | ৫১° উত্তর ১৪৩° পূর্ব / ৫১° উত্তর ১৪৩° পূর্ব / 51; 143 |
---|
আয়তন | ৭২,৪৯২ বর্গকিলোমিটার (২৭,৯৮৯ বর্গমাইল)[১] |
---|
আয়তনে ক্রম | ২৩তম |
---|
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ১,৬০৯ মিটার (৫,২৭৯ ফুট) |
---|
সর্বোচ্চ বিন্দু | লোপাটিন |
---|
|
|
বৃহত্তর বসতি | য়ুজ়নও-সাখালিনস্ক (জনসংখ্যা ১৭৪,২০৩) |
---|
|
জনসংখ্যা | 497,973[২] (২০১০) |
---|
জনঘনত্ব | ৮ /বর্গ কিমি (২১ /বর্গ মাইল) |
---|
জাতিগত গোষ্ঠীসমূহ | অনেকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রাশিয়ান, আইনু, কোরিয়ান |
---|
সাখালিন দ্বীপ (রুশ: Сахали́н) পূর্ব রাশিয়ার উপকূলের কাছে ওখোৎস্ক সাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি রাশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপ। দ্বীপটি তাতার প্রণালীর মাধ্যমে রাশিয়ার উপকূল থেকে এবং লা পেরুজ প্রণালীর মাধ্যমে জাপানের হোক্কাইদো দ্বীপ থেকে পৃথক। দ্বীপটির উত্তর-দক্ষিণে পর্বতের সারি বিস্তৃত। পোরানাই এবং তিম এখানকার প্রধান দুইটি নদী। সাখালিন দ্বীপ উত্তর-দক্ষিণে ৯৫০ কিমি দীর্ঘ এবং পূর্ব-পশ্চিমে ২৫ থেকে ১৬০ কিমি পর্যন্ত প্রশস্ত হতে পারে। এখানে মাছ ধরা, খনন, এবং কাঠ আহরণ শিল্প আছে। খনিজ তেল ও কয়লা এখানকার প্রধান খনিজ উৎপাদ।
১৮৫৫ সালে রুশ ও জাপানিরা দ্বীপটির উপর যৌথ প্রশাসন জারি করে। কিন্তু ১৮৭৫ সালের সেন্ট পিটার্সবার্গ চুক্তি অনুযায়ী জাপান কুরিল দ্বীপপুঞ্জের বিনিময়ে দ্বীপটি রাশিয়াকে দিয়ে দেয়। ১৯০৫ সালের রুশ-জাপানি যুদ্ধের শেষে সাখালিন দ্বীপ রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। ৫০ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশের দক্ষিণের অংশটি জাপানকে দেয়া হয় এবং এর নাম দেওয়া হয় কারাফুতো। ১৯৪৫ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর সমগ্র দ্বীপ সোভিয়েত ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এটি রাশিয়ার সম্পত্তিতে পরিণত হয়। ১৯৯৫ সালের মে মাসে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প দ্বীপটির উত্তর অংশে আঘাত হানে এবং এর ফলে নেফতেগর্স্ক শহরটি ধ্বংস হয়ে যায় ও ১৮০০-রও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটে।
তথ্যসূত্র