সাঈদ আহমদ সন্দ্বীপি (১৮৮২ – ১৯৫৫) বাংলার একজন ইসলামি পণ্ডিত ছিলেন। তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রথম শায়খুল হাদিস ছিলেন। তার মাধ্যমে কওমি ধারার মাদ্রাসায় প্রাতিষ্ঠানিক হাদিস শিক্ষার সূচনা হয়। একারণে তিনি বাংলার প্রথম শায়খুল হাদিস হিসেবেও সম্মানিত হন। তিনি মাহমুদ হাসান দেওবন্দির খলিফা ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া কাছেমুল উলুম চারিয়া।
জীবনী
সাঈদ আহমদ সন্দ্বীপি ১৮৮২ সালে চট্টগ্রামেরসন্দ্বীপ উপজেলার এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নূর বখশ একজন আলেম ছিলেন। পিতার নিকট প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা লাভের পর ১৮৯৩ সালে তিনি ভারতে চলে যান, তখন তার বয়স হয়েছিল ১১ বছর। তিনি মাহমুদ হাসান দেওবন্দির তত্ত্বাবধানে দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন। ১৯০৫ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে দাওরায়ে হাদিস (স্নাতক) সমাপ্ত করেন। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি প্রথম পর্যায়ে রশিদ আহমদ গাঙ্গুহির নিকট বায়আত গ্রহণ করেন। পরে মাহমুদ হাসান দেওবন্দির নিকট বায়আত হন ও খেলাফত লাভ করেন। ১৯০৮ সালে জমিরুদ্দিন আহমদের পরামর্শে প্রথম শায়খুল হাদিস হিসেবে তিনি দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস পদে নিযুক্ত হন। বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ববঙ্গে তার মাধ্যমেই কওমি ধারার মাদ্রাসায় প্রাতিষ্ঠানিক হাদিস শিক্ষা আরম্ভ হয়। যার কারণে তিনি বড় মুহাদ্দিস সাহেব ও বাংলার প্রথম শায়খুল হাদিস হিসেবে সম্মানিত। ১৯০৮ থেকে ১৯৪৩ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩৫ বছর হাটহাজারী মাদ্রাসায় হাদিসের শিক্ষকতা করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া কাছেমুল উলুম চারিয়া প্রতিষ্ঠা করেন এবং আমৃত্যু এখানে হাদিস শিক্ষাদান করেন। উভয় মাদ্রাসায় তার ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন: মুফতি ফয়জুল্লাহ, শাহ আবদুল ওয়াহহাব প্রমুখ। তিনি ১৯৫৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। চারিয়া মাদ্রাসার দক্ষিণে তার কবর অবস্থিত।[১][২]