সাইফুল ইসলাম একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ। বর্তমানে তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ এর উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত আছেন।[২][৩] তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর ত্রয়োদশ উপাচার্য ছিলেন।[৪] এরআগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশলের অধ্যাপক ও ডিন ছিলেন।[৫]
সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে যথাক্রমে ১৯৭৫ এবং ১৯৭৭ সালে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর অর্জন করেছেন। ১৯৮৬ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[৬]
সাইফুল ইসলাম ১৯৭৫ সালের মে মাসে বুয়েটের বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক হিসাবে তার শিক্ষক জীবন শুরু করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি অধ্যাপক হয়েছিলেন। ১৯৯৫-৯৭ সালে তিনি বৈদ্যুতিক প্রকৌশল অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৬] ২২ জুন ২০১৬, সাইফুল ইসলামকে বুয়েটের ১৩ তম উপাচার্য হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল। ২৪ মে ২০১৬ খালেদা একরাম মারা যাওয়ার পর থেকে এই পদটি শূন্য ছিল।[৭] ২৫ জুন ২০২০ সালে মেয়াদ শেষ হলে অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার তার স্থলাভিষিক্ত হন।[৮]
মার্চ ২০০২ থেকে আগস্ট ২০০৬ তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের প্রথম ডিন এবং অধ্যাপক ছিলেন। আগস্ট ২০১৩ থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত, সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশের প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রো-উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৬]
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে ২২ মে ২০২৪ পর্যন্ত তিনি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ছিলেন।[৯]
২০২৪ সালের ২৩ মে তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ এর উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত হন।[১০][১১]
৭ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলে সংঘটিত আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়।[১২][১৩] কিন্তু সাইফুল শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করেন না, বুয়েট মসজিদে হওয়া জানাজাতেও অংশ নেননি।[১৪] ফলশ্রুতিতে সারা দেশে তীব্র নিন্দা শুরু হয়।[১৫][১৬] প্রধানমন্ত্রী তাঁর নীরবতাকে সমালোচনা করেন।[১৭] পরবর্তীতে ৯ অক্টোবর নিহত আবরারের বাড়ি কুষ্টিয়াতে গেলে তিনি এলাকাবাসীর বাধার সম্মুখীন হন।[১৮] বুয়েট শিক্ষক সমিতি এবং অ্যালামনাইস অ্যাসোসিয়েশন ব্যর্থতার জন্য তার অপসারণ দাবি করে।[১৯][২০] এরপর তিনি বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেন।[২১] কিন্তু তার কোনো ব্যর্থতা ছিল না বলে তিনি দাবি করেন।[২২][২৩]