শিকারি[২][৩] ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন জাকির হোসেন সীমান্ত ও জয়দীপ মুখার্জী।[৪] জাজ মাল্টিমিডিয়া ও এসকে মুভিজের ব্যানারে আব্দুল আজিজ ও হিমাংশু ধানুকার যৌথভাবে প্রযোজনায় করেছেন। চলচ্চিত্রটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং সব্যসাচী চক্রবর্তী। এছাড়াও সহশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রটিতে অমিত হাসান, খরাজ মুখোপাধ্যায়, সুপ্রিয় দত্ত এবং রাহুল দেব অভিনয় করেছেন।[৫] চলচ্চিত্রটির গানের অ্যালবাম এবং ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্ত রচনা করেছেন।।[২][৬][৭]
কলকাতার একটি স্থানে হঠাৎ করে কিছু নিখোঁজ বাচ্চার লাশের কঙ্কাল, হাড়গোড় খুঁজে পাওয়া গেল। এরপর সেই কেসের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হলো জজ রুদ্র চৌধুরীর উপর। রুদ্র চৌধুরী একজন সৎ মানুষ ও আইনের প্রতি আস্থাশীল। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সব কিছু করতে পারেন। তাই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ভয় পেয়ে গেল যে তার গোমর ফাঁস হয়ে যেতে পারে! তাই নিজের মিশন ঠিক ঠাক রাখতে সে জজকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলো। কিন্তু ভারতের কোন কন্টাক্ট কিলারকে কাজটা দিলে ষড়যন্ত্রের ব্যাপারটা ফাঁস হয়ে যেতে পারে, এই ভয়ে জজকে মারা দায়িত্ব দেওয়া হলো বাংলাদেশের কন্ট্রাক্ট কিলার সুলতানকে। এই সুলতানের আসল নাম হচ্ছে রাঘব। ছোটবেলা থেকেই জজ বাবার অবাধ্য ছেলে রঘু ওরফে রাঘব। ঘটনাচক্রে একদিন বাবার হাতেই গুলি করে পালিয়ে যায় বাড়ি থেকে। এবার বন্ধুর মাকে খুন করে শুরু হয় তার কিলিং মিশন! সেখান থেকে পালিয়ে এসে পরে বাংলাদেশে। হয়ে ওঠে সুলতান। নিজেকে অপ্রতিরোধ্য করে তোলে সুলতান। টার্গেট কিলিংয়ে যার তুল্য আর কেউ নেই। কিন্তু জজকে শ্যূট করতে গিয়ে সে আবিষ্কার করে যে এটা তার নিজের বাবা! এরপর কাহিনীর মোড় ঘুরে গেল! পিতাকে বাঁচানোর জন্য অভিনব কায়দায় জজের বাড়িতে বাবুর্চি হিসেবে আশ্রয় নেয় সুলতান। লোক দেখানো একের পর এক টার্গেট মিস চলতে থাকে। এদিকে আস্তে আস্তে বেড়িয়ে আসে ছোটবেলার রঘুর পরিচয়। নায়িকার কাছেই সবার আগে ধরা দেয় সুলতান। বাবার নিকট প্রচন্ড ঘৃণীত রাঘব তার আসল পরিচয় প্রকাশ করতে পারে না পিতার কাছে। এগোতে থাকে নায়ক-নায়িকার প্রেম আর বাড়তে থাকে কাহিনীর গভীরতা…
শিকারি চলচ্চিত্রটির শুটিং তালিকা ২০১৫ সালের ১৬ই মার্চ[১১] শুরু করা হয়। ছবির প্রথম পর্ব ১২ দিন ধরে কলকাতাতে ধারণ করা হয়।[১২]লন্ডন থেকে ছবির দ্বিতীয় পর্ব ধারণ করা হয়। এবং ছবির শেষ পর্ব ২৬ দিন ধরে ঢাকাতে ধারণ করা হয়। সম্পূর্ণ ছবিটি ধারণ করা হয় ৪৮ দিনে। চিত্রগ্রহণের সময় কলকাতায় নির্মাণ কলাকুশলীদের ধর্মঘটের কারণে ২ দিন স্থগিত রাখা হয়।[১৩]