জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা রংপুর-৩ আসনে ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাদ এরশাদ বিজয়ী হয়, ঐক্যফ্রন্টের রিটা রহমান দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।
১৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে এ আসনের বর্তমান নির্বাচিত সংসদ সদস্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মৃত্যু বরণ করলে আসনটি শূন্য হয়।
২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জয়ী হয়েছিলেন। তিনি ভোট পান, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই এরশাদ সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে, ১৬ জুলাই সংসদ সচিবালয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে।
১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুন্য আসনে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে। তফসিলে, ৯ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন, ১১ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে এবং ৫ অক্টোবর ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়।
উপনির্বাচনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিয়েছে ৯ জন।[১] নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে ৬ জন। ২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে এবং একজন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়।
রাহাগির আল মাহি সাদ এরশাদ, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে জাতীয় পার্টি দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে। সাদ পূর্ব থেকে রাজনীতিতে যুক্ত না থাকায় স্থানীয় লোকজন তার বিরোধিতা করে।
রিটা রহমান, বিএনপি সমর্থিত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। পার্টি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর আসনের ১৭৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।[২][৩] সাদ এরশাদ ৪১,৯১৯ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়। মোট ভোট পড়ে ৯৩,৯৮৩টি, তার মধ্যে ১৫ টি ভোট নষ্ট বা বাতিল হয়।[৪]
নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর বিএনপি সমর্থিত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রিটা রহমান নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন আখ্যায়িত করে ফলাফল প্রতাখ্যান করেন। রিটা দাবী করেন নির্বাচনে ৯/১০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রযোগ করেছে।[৫] রিটা ছাড়াও জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ ফলাফল প্রতাখ্যান করেছেন।[৬]