মৌলভীবাজার সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের একটি আধুনিক মানগত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই ইনস্টিটিউটে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে সুযোগ রয়েছে চারটি ভিন্ন বিভাগ।[২][৩]
মৌলভীবাজার জেলার মাতারকাপন – এ চার একর জমির ওপর মৌলভীবাজার সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অবস্থিত। প্রকৌশল শিক্ষা প্রসারের লক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান ৬ ফাল্গুন ১৪১২, মোতাবেক ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সালে মৌলভীবাজার সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
১৩ অক্টোবর ২০১০ সালে কর্মস্থল পরিবর্তনে ১ জন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক প্রশাসনিক কার্যক্রম আরম্ভ হয় এবং পরবর্তীতে কম্পিউটার এবং ইলেকট্রনিক্স বিভাগে ১ জন করে শিক্ষককে একই প্রক্রিয়ায় পদায়ন করা হয়। শিক্ষাকার্যক্রম ও শিক্ষার্থী পরিসংখ্যানঃ ২৩-১০-২০১০ সাল থেকে ২০১০-২০১১ শিক্ষা সনে কম্পিউটার এবং ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজিতে যথাক্রমে ১ম শিফট ও ২য় শিফটে (৯১+৯৫) জন মোট ১৮৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের যাত্রা আরম্ভ হয়। এবং পরে আরো ২টি টেকনোলজি চালু করা হয়৷
আরএসি টেকনোলজিতে ১ম ও ২য় শিফটে(৪৮+৪৮)= ৯৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়৷ হোস্টেল সুবিধাঃ শুধুমাত্র ৯৬ জন ছাত্র ধারণক্ষম ৪ তলা বিশিষ্ট একটিমাত্র বিল্ডিং আছে। জুলাই ২০১২ থেকে ৯৬ জন ছাত্রকে সীট বরাদ্দের মাধ্যমে হোস্টেল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মৌলভীবাজার সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মৌলভীবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌমুহনী থেকে প্রায় ৪ কি.মি পূর্ব দিকে অবস্থিত। এর পাশেই রয়েছে মৌলভীবাজার ইম্পেরিয়াল মেডিকেল কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে এখানে চারটি বিভাগ চালু রয়েছে:
মূল ক্যাম্পাসে পাঁচতলা বিশিষ্ট তিনটি ভবন, এদের দুইটি প্রাতিষ্ঠানিক ভবন ও একটি প্রশাসনিক ভবন। এছাড়া ওয়ার্কশপ কক্ষ, অফিস, গ্রন্থাগার, ল্যবরেটরী, একটি ৫০০ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মিলনায়তন, হার্ডওয়্যার ল্যাব, সফটওয়্যার ল্যাব সহ একটি মাল্টিমিডিয়া নেটওয়ার্কিং ল্যাব। এছাড়া প্রতিষ্টানের মূল গেইট সংলগ্ন একটি শহীদ মিনার।