"মেদু" একটি কন্নড় শব্দ, যার অর্থ "নরম" ; "মেদু বড়া" এর আক্ষরিক অর্থ হলো "নরম বড়া"।[১][৩] খাবারটি প্রায়শই খাদ্য তালিকায় "বড়া" হিসাবে উল্লেখ করা হয়।[৪]
খাবারটির অন্যান্য নামগুলির মধ্যে রয়েছে - উদ্দিনা বড়া (কন্নড়), উরাদ বড়া, মেধু বড়া, উলুন্দু বড়া (তামিল), মিনাপা গারেলু (তেলুগু), এবং উঝুন্নু বড়া (মালয়ালম)।[৫][৬]
ইতিহাস
বীর সংঘভীর মতে, মেদু বড়া'র উৎপত্তি বর্তমান কর্ণাটকেরমাদ্দুর শহরে "কিছুটা নিশ্চিতভাবেই" পাওয়া যায়। খাবারটি দক্ষিণ ভারতের বাইরে মুম্বইয়ের উদুপি রেস্তোরাঁর মালিকদের দ্বারা জনপ্রিয় হয়েছিল।[৪]
প্রস্তুতি
মেদু বড়া মূলত মাষকলাই ডালের গুঁড়োর এর লেই দিয়ে তৈরি করা হয়।[১] মাষকলাই ডালগুলি কয়েক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয় এবং তারপরে গুঁড়া করে খামির বানানো হয়। অন্যান্য উপাদান, যেমন - হিং, মেথি বীজ, আদা, জিরা, কাঁচামরিচ, তরকারি পাতা, মরিচ এবং নারিকেল টুকরো দিয়ে স্বাদযুক্ত করা যেতে পারে। এরপরে খামির থেকে ডোনাট আকারে বড়া বানানো হয় এবং গরম ডুবো তেল সোনালী-বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজা হয়।[২]
এক প্রকারের মেদু বড়া ভাজার পরিবর্তে বেকিং (পোড়ানো) করা হয়।[১] খাবারটির অন্যান্য ভিন্নতার মধ্যে মাষকলাইয়ের বদলে ডালের ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, আম-বড়া (বা আমা বড়া) ছোলার ডাল দিয়ে তৈরি করা হয়; মাঝে মাঝে অড়হর এবং মসুর ডাল-ও ব্যবহার করা হয়।[৭]
প্রথমে ডাল টা কে ভিজিয়ে রাখতে হবে ৪ ঘণ্টা। তারপর পেস্ট বানাতে হবে। তারপর তাতে লবণ, পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, আদা কুঁচি, হিং, গোটা জিরা, গুলমরিচে গুঁড়ো সব মশলা দিয়ে ভালো করে মিশাতে হবে। তারপর কিছুক্ষন ঢেকে রাখতে হবে।
এবার কড়াইতে তেল দিয়ে দিয়ে তেল গরম হয়ে গেলে তাতে গোল গোল আকারে করে বল বানিয়ে মাঝের আঙ্গুল দিয়ে ফুটো করে কড়াইয়ের তেল দিয়ে দিতে হবে। তারপর কম আঁচে কিছু সময় ভাজতে হবে, এবার হাল্কা বাদামী রঙের হয়ে গেলে তুলে নিতে হবে। এরপর সাম্বার আর নারিকেলের চাটনির সাথে গরম গরম পরিবেশন করা যাবে মেদু বড়া।[৮]
পরিবেশনা
খাবারটি সাধারণত সাম্বার (মসুর ও সবজি মিশ্রিত ডাল) এবং নারিকেল চাটনি দিয়ে পরিবেশন করা হয়। ইডলির সাথে এটি প্রায়শই প্রাতঃরাশ হিসাবে খাওয়া হয়। এটি মধ্যাহ্নভোজের শুরুতে বা জলখাবার হিসাবেও খাওয়া হয়।[২][৯]