খাইবার এজেন্সির বারা তহসিলে চলে যাওয়ার পর শাকিরের খ্যাতি বৃদ্ধি পায়। সেখানে তিনি একটি এফএম পাইরেট রেডিও স্টেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই ব্যবস্থাটিকে ব্যবহার করে তিনি দেওবন্দি ধর্মতত্ত্বের ভিত্তিতে তার ধর্মীয় বিশ্বাস প্রচার শুরু করেন। তার আরো বিতর্কিত ঘোষণার মধ্যে ছিল তার কথিত বিবৃতি যে আফিম হালাল, যদি এটি উত্পাদিত হয় এবং চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।[২][৩]
শাকির ২০০৪ সাল পর্যন্ত কুররাম এজেন্সিতে কাজ করেছিলেন। তাকে একটি মসজিদে বোমা হামলার পর উপজাতীয় প্রবীণদের দ্বারা বহিষ্কার করা হয়েছিল। [৪]
পীর সাইফুর রহমানের সাথে শত্রুতা
২০০৫ সালে পীর সাইফুর রহমান যিনি ইসলামের মধ্যপন্থী হানাফীবেরেলভী মাযহাবের সমর্থক, তিনি শাকিরের স্টেশনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার নিজস্ব এফএম পাইরেট রেডিও স্টেশন প্রতিষ্ঠা করেন। দুই ধর্মগুরুর মধ্যে বৈরিতা বেড়ে যায়, যার ফলে উপজাতীয় প্রবীণরা ডিসেম্বর ২০০৫ সালে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য দুজনকে নিন্দা জানায়। শাকির তার রেডিও স্টেশন এবং লস্করে ইসলাম সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ মঙ্গল বাঘের হাতে তুলে দিয়ে উভয় ধর্মগুরুই তখন আত্মগোপনে চলে যান। ২৯ শে মার্চ ২০০৬ সালের দিকে শত্রুতা চরমে ওঠে, যখন শাকিরের শত শত অনুসারী রহমানের অনুসারীদের উপর আক্রমণ করার জন্য বারা তহসিলের বাদশাকিলি এলাকায় জড়ো হয়। [৫]
লস্করে ইসলামে তার ভূমিকা
২০০৪ সালে, শাকির লস্করে ইসলাম নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এর কিছুদিন পর তাকে বারা তহসিল থেকে বহিস্কার করে দেওয়া হয় এবং সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় ড্রাইভার মঙ্গলবাঘের হাতে তুলে দেওয়া হয়।