মির্জা মুহাম্মদ ইসমাইল কান্দাহারি (১৮১৩-১৯১২), সাধারণত মির্জা মুহাম্মদ ইসমাইল নামেও পরিচিত, আফগানিস্তানের একজন ধর্মীয় পণ্ডিত এবং ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলের পশতুন সম্প্রদায়ভুক্ত লোকজনদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম আহমদিয়া বিশ্বাসের দিকে ধাবিত হন।[১] তিনি তুর্কি বংশোদ্ভূত ছিলেন। তিনি ১৮১৩ খ্রিষ্টাব্দে আফগানিস্তানের কান্দাহারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কান্দাহার শহরের কাজী ছিলেন এবং শাহ সুজা দুররানির (১৭৮৫-১৮৪২), আফগানিস্তানের রাজা, আমলে কিছু সময়ে জন্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। [২] তিনি পশতু ভাষার পাশাপাশি আরবি, ফার্সি ভাষায় পান্ডিত্য অর্জন করেন এবং উক্ত ভাষাগুলোতে কাব্য রচনা করেন। [৩] and a calligrapher.[৪]
তিনি হেনরী জর্জ রাভের্টিকে পশতু ও ফার্সি ভাষা শিক্ষা দেন এবং তাকে পশতু ভাষার উপর বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করেন।[৩][৫] ১৮৮৭ সালে তিনি আহমদীয়া ইসলামে দীক্ষিত হন। ইসমাই ১৯১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে পেশোয়ারে মৃত্যুবরণ করেন।
ইসমাইল কান্দাহারি আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরের একজন ধর্মীয় পণ্ডিত ও কাজির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পশতু ভাষায় কথা শিখে বড় হতে থাকেন এবং ধীরে ধীরে আরবি, ফার্সি এবং নিজ মাতৃভাষায় পান্ডিত্য অর্জন করেন এবং সাথে সাথে ইসলামিক আইনবিদ হয়ে উঠেন এবং পরবর্তীতে পিতার কাজীর (বিচারক) পেশায় পিতাকে সহযোগিতা করেন। তার জীবনীকার কাজি মুহাম্মদ ইউসুফের মতে তিনি অবিবাহিত ছিলেন। [১] পশতু এবং ফার্সি সাহিত্যের প্রতি তার বিশেষ আকর্ষণ ছিল এবং এই সকল ভাষায় তিনি নিজের কাব্য রচনা করেন। হেনরী জর্জ রাভের্টি তার লেখাতে পণ্ডিত হিসেবে এবং কাব্য রচনায় ইসমাইলের দক্ষতার কথা তুলে ধরেছেন। [৬]
৩২ বছর বয়সে ইসমাইল আফগানিম্তান ছেড়ে ভারতে চলে আসেন। কান্দাহার ছেড়ে তিনি চামান, পাশিন,কোয়েটা, সিব্বি, শিকারপুর এবং সিন্ধু এলাকায় ভ্রমণ করতে থাকেন। তিনি ঐ স্থানগুলোতে অবস্থান করেন এবং সেখানে তিনি তার সাহিত্যের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। কাজী মুহাম্মদ ইউসুফ শিকারপুরের এক আলোচনায় শিয়া ও সুন্নী বিষয়ক পার্থক্য লিপিবদ্ধ করেন। তিনি বোম্বেতে নিজের ভ্রমণ শেষ করেন যেখানে তিনি হেনরি জর্জ রাভের্টির পশতু ও ফার্সি ভাষা বিষয়ক গৃহশিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত হন [১][৭]
১৮৫২ সালে পেশোয়ার ও হাজারা জেলার স্কুলগুলোতে শিক্ষার নতুন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার জন্য মির্জা মুহাম্মদ ইসমাইলকে ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৮৮৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন এবং অবসরের আগ পর্যন্ত তিনি ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টরের পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি উত্তর-পশ্চিমের সীমান্ত এলাকায় প্রায় সময় বিদ্যালয় পরিদর্শনের কাজে ভ্রমণ করতেন।