মারিয়া শব্দটি আসছে লাতিন শব্দ মারে[১] থেকে। লাতিন ভাষায় মারে মানে হচ্ছে সাগর[১]। প্রাচীনকালে যখন উন্নত মানের টেলিস্কোপ ছিলো না, তখন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এদেরকে স্পষ্ট দেখতে পেতো না বিধায় তারা চাঁদের এই অংশগুলো পানি দ্বারা পূর্ণ বলে ভাবতেন যার ধরুন এই ধরনের নামকরণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে চাঁদের কালো দাগের সঠিক রহস্য পাওয়া গেলেও এর নাম আর পরিবর্তন করা হয় নি।[২]
বর্তমান ধারণা অনুযায়ী, চাঁদের চারপাশে যেহেতু পৃথিবীর মতো বায়ুমন্ডল নেই কাজেই যখন চাঁদের দিকে কোনো গ্রহাণু, উল্কা, ধুমকেতু ছুটে যায় তখন এগুলো কোনোরকম বাধা ছাড়াই সরাসরি চাঁদের মাটিতে আঘাত করে। ফলে ছোট বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়।[৩]
আমাদের আদিম সৌরজগত আজকের মতো এতো শান্ত আর সুশৃঙ্খল ছিলো না। অনেক গ্রহাণু এলোমেলো ভাবে ছোটাছুটি করতো তখন। তখন প্রায়ই ক্রমান্বয়ে এই গ্রহাণুগুলো চাঁদের পৃষ্ঠে আঘাত করতে থাকে। ফলে সেখানে ছোট বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এই গর্তগুলো লাভায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সময়ের পরিক্রমায় পরে এই লাভাগুলো আবার ঠান্ডা হতে থাকে। আর এই ঠান্ডা লাভাতে আয়রনের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। ফলে চাঁদের এই অংশগুলো থেকে তুলনামূলক কম আলো প্রতিফলিত হয়। মূলত এই মারিয়া নামক গর্তগুলো থেকে অপেক্ষাকৃত কম আলো প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসার কারণেই আমরা পৃথিবী থেকে এগুলো কালো দাগের মতো দেখি।