মহিউদ্দিন আহমেদ (২ ডিসেম্বর ১৯৪৪ – ২২ জুন ২০২১) একজন বাংলাদেশী লেখক, প্রকাশক, অধ্যাপক ও সাংবাদিক ছিলেন। তিনি দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা।
প্রারম্ভিক জীবন
মহিউদ্দিন আহমেদ ১৯৪৪ সালের ২ ডিসেম্বর ফেনীর পরশুরামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ব্রিটিশ ভারতীয় ডাক বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন।[১]
শিক্ষাজীবন
মহিউদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ছিলেন।[২] পিতার চাকরির সুবাদে ১৯৫৬ সালে তিনি পাঞ্জাবের সারগোদায় গিয়ে পিএএফ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং ১৯৬০ সালে সেখান থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ঢাকায় এসে নটর ডেম কলেজে ভর্তি হন। এ সময় কলেজটির বার্ষিকী ব্লু অ্যান্ড গোল্ড-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
কলেজ জীবন শেষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা করেন। পরবর্তীতে তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় ছাত্র-সংসদের সাধারণ সম্পাদক এবং পরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনিই ছিলেন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-সংসদের একমাত্র বাঙালি সাধারণ সম্পাদক।[১][৩]
কর্মজীবন
মহিউদ্দিন আহমেদ পাকিস্তান টাইমসের শিক্ষানবিশ প্রতিবেদক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে প্রায় ৪ বছর অধ্যাপনা করেন। এরপর ১৯৬৯ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস পাকিস্তানের সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন এবং ১৯৭২ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। তারপর তিনি ঢাকায় এসে প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা শাখার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব নেন। কিন্তু এর মাত্র দুই বছর পর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের ঢাকা কার্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মহিউদ্দিন আহমেদকে প্রতিষ্ঠানটির করাচি শাখায় যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস বাংলাদেশের উত্তরসূরি হিসেবে দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন।[১][৪]
১৯৭৭-৭৮ সালে মহিউদ্দিন আহমেদ নিজ সম্পাদনায় সানডে স্টার নামে একটি ইংরেজি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন, তবে এটি বেশি দিন প্রকাশিত হয়নি।[৫]
ব্যক্তিগত জীবন
মহিউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী মেহতাব খানম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। তাদের মেয়ে মাহরুখ মহিউদ্দিন ও শামারুখ মহিউদ্দীন।[৬]
মৃত্যু
মহিউদ্দিন আহমেদ প্রায় ২০ বছর পারকিনসন রোগে ভুগে, ২০২১ সালের ২২ জুন ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। পরের দিন গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।[৭]
তথ্যসূত্র
|
---|
২০১০ | |
---|
২০১১ | |
---|
২০১২ | |
---|
২০১৩ | |
---|
২০১৪ | |
---|
২০১৫ | |
---|
২০১৬ | |
---|
২০১৭ | |
---|
২০১৮ | |
---|
২০১৯ | |
---|