এই নিবন্ধটি দোলযাত্রা ও অন্যান্য উত্সবে ব্যবহৃত চিনির মিষ্টান্ন সম্পর্কে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য
মঠ দেখুন।
মঠকলা পাতার উপরে পিতলের থালায় প্রসাদ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। একদম মাঝ খানে কদমা এবং তার উপরে সাজ। তার দিকে লাল, হলুদ ও সাদা রঙের মঠ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। |
প্রকার | দোল পূর্ণিমার দিন দেবতার ভোগ হিসাবে ব্যবহার করা হয়, এছাড়াও নানা পুজোতে বাঙালি হিন্দুরা প্রসাদ হিসাবে ব্যবহার করেন। |
---|
উৎপত্তিস্থল | বঙ্গ |
---|
অঞ্চল বা রাজ্য | ভারতীয় উপমহাদেশ |
---|
পরিবেশন | সাধারণ তাপমাত্রায় শুকনো প্রসাদ হিসাবে |
---|
ভিন্নতা | সাদা, লাল (গোলাপি), হলুদ |
---|
|
মঠ বাংলার একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় মিষ্টি খাবার। মহেন্দ্রনাথ দত্তের কলকাতার দোল সম্বন্ধীয় লেখায় দোলের দিন মঠ ব্যবহারের উল্লেখ আছে। উঁচু স্তম্ভের মতো ৫-৬ সেন্টিমিটার উচ্চতার এর এই মিষ্টি খাবারটি চিনি থেকে তৈরি হয়। প্রাচীন কাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের হিন্দুরা মঠ প্রসাদ হিসাবে ব্যবহার করেন।[১][২]
প্রস্তুত প্রণালী
খুবই সহজ ও সাধারণ ভাবে মঠ তৈরি করা হয়। জল দিয়ে চিনি জ্বাল দিয়ে তারমধ্যে অভীষ্ট রং মিশিয়ে ছাঁচে ফেলে তৈরি করা হয়। এগুলি ৫ সেমি থেকে শুরু করে ১০ সেমি পর্যন্ত তৈরি করা হয়।[৩]
ব্যবহার
বাঙালি হিন্দুরা পুজোর প্রসাদ হিসাবে মূলত ব্যবহার করে থাকে। তবে দোল উৎসব বা হরির লুট দেওয়ার সময় এটি বেশি ব্যবহার করা হয়। দোল উৎসব, রথ, বিজয়া দশমী প্রভৃতিতে বাতাসা আবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। এছাড়া লক্ষ্মীপুজতেও এর ব্যবহার আছে।[১]
সমস্যা
বর্তমানে রঙিন মঠ তৈরি করতে গিয়ে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। বিশেষত নিষিদ্ধ রোডামিন বা কঙ্গো রেড রংও অনেক সময় ব্যবহার হয়ে থাকে যা থেকে শরীরে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।
তথ্যসূত্র
|
---|
অদুগ্ধভিত্তিক | শর্করাভিত্তিক | |
---|
শস্যভিত্তিক | গজা ও জিলিপি গোত্রীয় | |
---|
বোঁদে ও লাড্ডু গোত্রীয় | |
---|
নাড়ু ও মোয়া গোত্রীয় | |
---|
পিঠে গোত্রীয় | |
---|
অন্যান্য | |
---|
|
---|
ফলভিত্তিক | |
---|
| |
---|
দুগ্ধভিত্তিক | |
---|